শ্রদ্ধা ভালবাসা ও চোখের জলে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান তোতাকে শেষ বিদায় জানালেন পাবনার সর্বস্তরের মানুষ। তার জানাজায় মানুষের ঢল নামে।
পাবনা জেলা বিএনপির তিন বারের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতার নামাজে জানাজা গতকাল সকাল দশটায় আরিফপুর সদর গোরস্থান ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। সদালাপী ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবীদ বিএনপি নেতা তোতার নামাজে জানাজায় ছিলো মানুষের ঢল। বিএনপি আওয়ামীলীগসহ সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সাধারন মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এর আগে সকাল আটটা থেকে সাড়ে নয়টা পর্যন্ত জেলা বিএনপির লাহিড়িপাড়াস্থ কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীসহ সাধারনের শেষ শ্রদ্ধা জানানো ও শেষ দেখা দেখার জন্য তার মরদেহ রাখা হয়। সেখানে বিএনপিসহ তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা ফুলেল শ্রদ্ধা জানান বিএনপির দলীয় পতাকায় আবৃত মরহুম খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতার কফিনে। নামাজে জানাজায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চন্দন, সাবেক এমপি কে এম আনোয়ারুল ইসলাম, সাবেক এমপি এ কে এম সেলিম রেজা হাবিব, জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ মোশারফ হোসেন, পাবনা পৌরসভার মেয়র শরীফ উদ্দিন প্রধান, জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মান্নান মাষ্টার, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক আব্দুস সামাদ খান মন্টু, আবু ওবায়দা শেখ তুহিন, নূর মোহাম্মদ মাসুম বগা, আনিসুল হক বাবু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাসুদ খন্দকার, সাবেক সদস্য সচিব ছিদ্দিকুর রহমান ছিদ্দিকসহ অসংখ্য মানুষ শরিক হন। তাকে আরিফপুর সদর গোরস্থানে দাফন করা হয়েছে। মরহুম খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতার পরিবার সকল পরিচিত শুভানুধ্যায়ীদের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থনা করেছেন।
গতকাল রোববার সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পাবনা জেলা বিএনপির তিনবারের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রিয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার হাবিবুর রহমান তোতা (৬৩) ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহে —রাজেউন)। আর নেই। তিনি স্ত্রী ১ ছেলে ১ মেয়ে ৫ ভাইসহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
হাবিবুর রহমান তোতা বেশ কিছুদিন ধরে নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তাকে স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকাল পৌনে ১১টায় ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। এ ছাড়া পাবনার আওয়ামীলীগ, বিএনপি, সাংবাদিক মহলসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ তোতার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। -বার্তা সংস্থা পিপ
টিটিই শফিকুল ইসলাম
রেলমন্ত্রীর আত্মীয়ের বিনা টিকেটে রেল ভ্রমণ এবং তাদেরকে জরিমানা করে বরখাস্ত হওয়া সেই ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম কর্মস্থলে ফিরেছেন। বরখাস্ত প্রত্যাহার করে স্বপদে ফিরিয়ে দেয়ার পরদিন গতকাল সোমবার (৯ মে) তিনি তার নিজ দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে টিটিই শফিকুল ইসলাম জানান, রোববার পুনর্বহালের আদেশ হলেও আমি আনুষ্ঠানিক কোনও চিঠি পেয়েছিলাম না। সোমবার আদেশের কপি হাত পাওয়ার ডিআরএম স্যারের বরাবর কাজে যোগদানের আবেদন করি। আবেদন মঞ্জুর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমি ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে আমার নিজ অফিসে চলে আসি।
তিনি আরও বলেন, এখনও আমি কোনও ট্রেনের দায়িত্ব পাইনি। তবে আমি অফিসেই অবস্থান করছি। আশা করছি মঙ্গলবার থেকে হয়তো কোনও ট্রেনে ডিউটি পাবো। ডিউটি পাওয়ার সঙ্গেই আমার দায়িত্ব ও কর্তব্য যথারীতি পালন করবো ইনশাল্লাহ। সাংবাদিকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আলোচিত এই টিটিই বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) ধন্যবাদ দেয়ার মতো ভাষা আমার জানা নেই। আমি সারাজীবন আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবো।’ আপনারা সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
এর আগে রোববার (৮ মে) দুপুরে দেশব্যাপী আলোচিত-সমালোচিত এই ঘটনায় তদন্ত কমিটির কার্যক্রমের শুরুতেই টিটিই শফিকুল ইসলামের বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়। এদিন নিজ ক্ষমতাবলে টিটিই’র বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করে তাকে স্বপদে বহাল করেন পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ের ব্যবস্থাপক শাহিদুল ইসলাম। একই সঙ্গে তিনি বরখাস্তকারী পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (ডিসিও) নাসির উদ্দিনকে শো-কজ করেন। তাকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
গত শনিবার (৭ মে) ঘটনার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। এতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী পরিবহণ কর্মকর্তা (এটিও) সাজেদুল ইসলামকে প্রধান এবং সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী (এইএন) শিপন আলী ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সহকারী কমান্ডেন্ট (এসিআরএনবি) আবু হেনা মোস্তফা কামালকে সদস্য করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে খুলনা থেকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে বিনা টিকিটে এসি রুমে উঠেন রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের আত্মীয় পরিচয়ে তিন যাত্রী। মাঝপথে তাদের বিনা টিকিটে রেলভ্রমণের দায়ে জরিমানা করে সাময়িক বরখাস্ত হোন ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরীক্ষক (টিটিই) শফিকুল ইসলাম। এনিয়ে গণামধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে দেশব্যাপী সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়।
এ ঘটনায় সমালোচনা সৃষ্টি হলেও ওই তিন আত্মীয় পরিচয় অস্বীকার করে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘বিনা টিকিটে ট্রেনে ভ্রমণ করা যাত্রীরা আমার আত্মীয় নয়; ওদের সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে কেউ হয়তো সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করেছে। ঘটনার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।’
রেলমন্ত্রী পরিচয় অস্বীকার করলেও সরেজমিনে গিয়ে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। ট্রেনযাত্রীরা হলেন, রেলপথমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজনের স্ত্রী শাম্মি আক্তার মনি’র দুই মামাতো ভাই ওমর ফারুক ও হাসান আলী এবং অপরজন মামাতো বোনের ছেলে ইমরুল কায়েস প্রান্ত। ওমর ফারুক পাবনার ঈশ্বরদীর শহরের নুর মহল্লার মৃত আব্দুর রহমান ও হাসান আলী একই এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে। আর প্রান্ত ঈশ্বরদীর ফতেহমোহাম্মদপুর এলাকার কবির আহমেদের ছেলে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত প্রান্তর মা ইয়াসমিন আক্তার নিপা রেলমন্ত্রীর স্ত্রী শাম্মি আক্তার মনি’র খুবই ঘনিষ্টজন। মনি ঈদুল ফিতর তার বাসায় উদযাপন করেছেন। এ সব ঘটনার পর স্বল্প সময়ে রেলমন্ত্রীর স্ত্রী উর্ধতন কর্মকতার্েেদর ফোন করে টিটিইকে সাময়িক বরখাস্ত করান। -বার্তা সংস্থা পিপ
ফেসবুকে অস্ত্র হাতে ভাইরাল পাবনার সেই ছাত্রলীগ নেতা রাতুল রাজশাহী থেকে গ্রেফতার আবু বক্কার সিদ্দিক রাতুল (মাঝখানে)
ফেসবুকে বিদেশী অস্ত্র হাতে ছবি পোষ্ট করে ভাইরাল হওয়া পাবনার ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কার সিদ্দিক রাতুলকে রাজশাহী থেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পিস্তল হাতে ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করে আলোচনা সমালোচনায় আসেন রাতুল। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বসহ প্রকাশিত হয়। এ নিয়ে পাবনার পুলিশ রাতুলকে খুজে না পেলেও র্যাব রোববার বিকেলে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
র্যাব জানায়, পিস্তল হাতে ছাত্রলীগ নেতা আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল সুজানগর উপজেলার মানিকহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও সদ্য বিলুপ্ত হওয়া পাবনা জেলা ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক। এ ছাড়া আবু বক্কার সিদ্দিকী রাতুল পাবনার সুজানগর উপজেলার নাজিরগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ও মানিকহাট ইউনিয়নের গাবগাছী গ্রামের মোস্তফা কামাল বাবুর ছেলে। ফেসবুকের ছবিতে দেখা যায় হাতে পিস্তল নিয়ে দাড়িয়ে আছেন রাতুল। আরেকটি দেখা যায় শুধু হাতের উপর পিস্তল এবং অপরটিতে গুলিসহ দাড়িয়ে আছেন রাতুল। ছবিগুলো সাম্প্রতিক সময়ে তার নিজ ফেসবুকে আপলোড করা হয়েছিল। যা বিভিন্ন গনমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। উক্ত ঘটনার পরিপেক্ষিতে র্যাব তদন্ত শুরু করে এবং রাতুলকে গ্রেফতার করে।
রোববার র্যাব-৫ অভিযান চালিয়ে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া এলঅকার একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেয়া তথ্য মতে রাজশাহী মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার সাগরপাড়া মহল্লাস্থ পাকা রাস্তার পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত পুরাতন পরিত্যক্ত জমিদার বাড়ী থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ১ টি ম্যাগজিন ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
রাতুল র্যাবের কাছে স্বীকার করেন যে, এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের জন্য তিনি নিজের কাছে পিস্তল রাখতেন। তিনি পাবনায় বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দলের পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন। ফেসবুকে ছবি দেওয়ার মূল উদ্দেশ্য ছিল যাতে সকলে তার কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের কথাটি জানে এবং তিনি নিজেকে বড় ধরনের সন্ত্রাসী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। গ্রেফফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।
সুজানগরের বাঘলপুরে সন্ত্রাসীদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার আমিনপুর থানার রানীনগর ইউনিয়নের বাঘলপুরের হীরন নদী ভাতশালা গ্রামে সন্ত্রাসীদের নানামূখী অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। এসব দুর্জনদের অত্যাচার লাগাম ছেড়ে গেছে। প্রতিদিনই কোনো না কোনো মানুষ এদের কাছে হচ্ছেন অত্যাচারিত। রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে গ্রামের অসহায় মানুষদেরকে হয়রানী করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন ঐ এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কিছু মানুষ। বাঘলপুর বাজারে নিরবে চাঁদাবাজীও চলছে বলে অভিযোগ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের। ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর করে মুখ বন্ধ করে নিরবে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৪ মে সন্ধ্যায় নামাজ আদায় শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভাতশালা গ্রামের গফুর সরদারের ছেলে বর্তমান রানীনগনেন চার নম্বর ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের সভাপতি রনি সরদারকে কালিবাড়ি মোড়ে মানিকের দোকানের সামনে ধারালো অস্ত্রাঘাতে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। রনিকে ভর্তি করা হয় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে। এ ঘটনায় থানায় মামলা (নম্বার-৪ তারিখ-৬ মে,২০২২) দায়ের করা হয়। মামলা হবার পরে এ হামলার আসামী মাহফুজ মৃধা ও তার ফুপাতো ভাই ঈশ^রদীর সোনামনিসহ বেশ কয়েকজন অস্ত্রসহ বাড়ির কাছে গিয়ে মামলা তুলে নেবার জন্য হুমকি দেয়।
এর ফলে স্থানীয়দের মাঝে এক ধরনের আতংক সৃষ্টি হয়। গত ২৯ এপ্রিল একই লোকদের হামলায় জখম হয় রানীনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম অনিক। ২৫ মার্চ বিল্লাল মৃধা ও তার ছেলে মাহিন মৃধাসহ বেশ কয়েকজন বাঘলপুর বাজারে হালদার ঠাকুরের দোকানে জোরপূর্বক তালা লাগিয়ে দেয়। ৫ ফেব্রæয়ারি স্থানীয় শহিদ নামের এক যুবককে এলোপাথারী পিটিয়ে আহত করা হয়। ১০ জানুয়ারিতে হানিফ মোল্লা নামের এক যুবককে মারধর করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর আগে গত বছরের ১৩ মার্চ বাঘলপুর বাজারের শামস্ ফার্মেসীতে ভাংচুর করে দোকানে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। বেশ কিছুদিন মন্ডল ফার্মেসী নামের দোকানকে বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হয়। একই বাজারের সুজাত মেকারের দোকানঘরে ভাংচুর করে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়। স্থানীয় রুবেল নামের এক ছেলেকে তার বাড়িতে গিয়ে পেটানো হয়। মানিক মোল্লা ও ইবাদ ব্যাপারীকে হুমকি দেওয়া হয় এলাকা ছেড়ে যাবার জন্য। রানীনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিল মোল্লা এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও মানসিকভাবে নাজেহাল করে এসব দুর্জনেরা।
স্থানীয় আওয়ামীলীগেরই বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না শর্তে জানান, তারা নিজেরাই বেশ সমস্যার মাঝে আছেন এসব নিয়ে। দলীয় নেতাকর্মী হিসেবে তারাও বেশ বিব্রত এলাকাতে এধরনের অনাকাংখিত ঘটনার কারনে। তারা এসব বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দসহ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। -বার্তা সংস্থা পিপ
নির্মাণ কাজ তদারকির ম্যানেজারকে অস্ত্রাঘাতে আহত করেছে মাদকসেবীরা পাবনা শহরের যুগীপাড়াতে একটি বাড়ির নির্মাণ কাজের দায়িত্বে থাকা ম্যানেজারকে ধারালো অস্ত্রাঘাতে আহত করেছে মাদকসেবীরা।
বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত ম্যানেজার হলো আব্দুর রাজ্জাক রাজার ছেলে সাগর। তাকে প্রথমে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ও পরবর্তিতে অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তর করা হয় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এ ঘটনায় যুগীপাড়ার বাসিন্দা মরহুম গোলাম রশিদ খানের ছেলে এডভোকেট জাফর আলতাফ সদর থানায় দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো তিন চারজনের নাম উল্লেখ করে মামলা (নম্বর- ৬. তারিখ-০২/০৫/২০২২ইং) দায়ের করেছেন।
এজাহারে তিনি জানান, তার চাচাতো ভাই কামরুল ইসলাম বর্তমানে চাকরির কারনে নারায়নগঞ্জে থাকেন। তিনি যুগীপাড়ার মাঠপাড়াতে নিজের ক্রয়কৃত জমিতে পাকা বাড়ি নির্মাণ করছেন। সেই বাড়ির নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকে সাগর। ঘটনার সময়ে যুগীপাড়ার মাঠপাড়ার রবিনের ছেলে রাতুল (২৫) ও লেপুর সিপাহী রোডের মোস্তফার ছেলে রাব্বি (২২)সহ অজ্ঞাত আরো তিন চারজন সেখানে এসে দায়িত্বে থাকা সাগরকে বলে যে তোর চাচার নির্মাণের এই জায়গাতে আমরা একটু ইয়াবা খাবো একারনে তুই তোর ছাপড়া ঘরের মাঝে জায়গা করে দে।
তাদের কথামতো সাগর মাদক সেবনের জায়গা ও সুযোগ না করে দেবার কারনে সাগরকে শরীরের নানাস্থানে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করে মারাত্মকভাবে জখম করা হয়। এ সময়ে সাগরের চিৎকারে আশেপাশের মানুষেরা এগিয়ে আসলে হামলাকারী মাদকসেবীরা পালিয়ে যায়। এজাহারে এও উল্লেখ করা হয় যে, আসামীরা এলাকায় মাদক সেবন ও বিক্রির সাথে জড়িত। এদিকে সাগরের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ততার সুযোগে আসামি রাতুলের পিতা রবিন ঘটনাস্থল থেকে এসে ধারালো চাকুটি নিয়ে গেছে।
এজাহারকারী আইনজীবি এ ঘটনার সাথে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সদর থানা পুলিশের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন। -বার্তা সংস্থা পিপ
আরও পড়ুনঃ