ঢাকা ০৭:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সলঙ্গায় বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
  • / 114

কৃষিকর্মী সংকট

সলঙ্গার একটি কৃষিক্ষেত। ছবি: জিএম স্বপ্না।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ১২ এপ্রিল ২০২২

দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া,শ্রমিক সংকট ও ধান কাটা মাড়াই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার কৃষকেরা । মাঠভরা পাকা ধান পড়ে রয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে এ ধান ঘরে তুলতে পারছে না এলাকার কৃষককুল।তার উপর আবার দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় আতঙ্ক ও চরম উৎকন্ঠতার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে কৃষকদের।

বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে পাকা ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কিছু নিচু এলাকায় পাকা ধান রয়েছে পানির নিচে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মত ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
শেষ পর্যন্ত মাঠের ধান সুষ্ঠভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েও তাদের মনে এক অজানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও থানার ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক হারে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।

প্রতিটি মাঠে পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে রয়েছে। অন্যান্য বছরে বিভিন্ন অঞ্চলের ধানকাটা শ্রমিক এসে এ ধান কাটতো। ফলে যথাসময়েই কৃষকরা তাদের পাকা ধান গোলায় তুলতে পারতো। এবারে বাইরের শ্রমিক সংখ্যা খুবই কম। ফলে এলাকায় তীব্রতর হয়ে উঠেছে শ্রমিক সংকট। আর এ সুযোগে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের মজুরিও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুনে।

থানার আগরপুর গ্রামের কৃষক লেলিন আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ করেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। সকাল ১১ টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পাকা ধানের জমিতে পানি জমে যায়। পানিতে নুয়ে পড়ে পাকা ধান। এখন পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে নুয়ে পড়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা আকাশচুম্বী দাম হাঁকছে। আবাদের খরচ তো দুরের কথা, ধান বিক্রি করেও শ্রমিকের টাকা উঠবে না।

আমশড়া গ্রামের কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, একবেলা খাবার দিয়ে কাজের জন্য একজন শ্রমিক মজুরী দাবি করছেন ১০০০ টাকা। এতে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে খরচ হবে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। ফসল কেটে সময়মত ঘরে তোলা না গেলে ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে প্রতিটি মাঠে ইরি-বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারলে এবং ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ



এই রকম আরও টপিক

সলঙ্গায় বৈরী আবহাওয়া ও শ্রমিক সংকটে দিশেহারা কৃষক

প্রকাশিত সময় ০১:১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
সলঙ্গার একটি কৃষিক্ষেত। ছবি: জিএম স্বপ্না।

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:০৪ অপরাহ্ন, ১২ এপ্রিল ২০২২

দুর্যোগপূর্ণ বৈরী আবহাওয়া,শ্রমিক সংকট ও ধান কাটা মাড়াই নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গার কৃষকেরা । মাঠভরা পাকা ধান পড়ে রয়েছে। শ্রমিক সংকটের কারণে এ ধান ঘরে তুলতে পারছে না এলাকার কৃষককুল।তার উপর আবার দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়ায় আতঙ্ক ও চরম উৎকন্ঠতার মধ্যে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে কৃষকদের।

বৈরী আবহাওয়া ও টানা বৃষ্টির কারণে পাকা ও আধাপাকা ধান মাটিতে নুয়ে পড়েছে। কিছু নিচু এলাকায় পাকা ধান রয়েছে পানির নিচে। কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে সময়মত ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা।
শেষ পর্যন্ত মাঠের ধান সুষ্ঠভাবে ঘরে তুলতে পারবে কিনা তা নিয়েও তাদের মনে এক অজানা শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও থানার ৬ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠে ব্যাপক হারে ইরি-বোরো ধানের চাষ করা হয়েছে।

প্রতিটি মাঠে পাকা ধানের সোনালী রঙে রঙ্গিন হয়ে রয়েছে। অন্যান্য বছরে বিভিন্ন অঞ্চলের ধানকাটা শ্রমিক এসে এ ধান কাটতো। ফলে যথাসময়েই কৃষকরা তাদের পাকা ধান গোলায় তুলতে পারতো। এবারে বাইরের শ্রমিক সংখ্যা খুবই কম। ফলে এলাকায় তীব্রতর হয়ে উঠেছে শ্রমিক সংকট। আর এ সুযোগে স্থানীয় শ্রমিকরা তাদের মজুরিও বাড়িয়ে দিয়েছে অনেকগুনে।

থানার আগরপুর গ্রামের কৃষক লেলিন আহমেদ বলেন, ঈদুল ফিতরের দিন মঙ্গলবার ভোররাতে হঠাৎ করেই মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হয়। সঙ্গে ছিল হালকা বাতাস। সকাল ১১ টা পর্যন্ত টানা বৃষ্টিতে পাকা ধানের জমিতে পানি জমে যায়। পানিতে নুয়ে পড়ে পাকা ধান। এখন পুরোদমে কাটা-মাড়াই শুরু হলেও পর্যাপ্ত শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে নুয়ে পড়া ধান কাটতে শ্রমিকেরা আকাশচুম্বী দাম হাঁকছে। আবাদের খরচ তো দুরের কথা, ধান বিক্রি করেও শ্রমিকের টাকা উঠবে না।

আমশড়া গ্রামের কৃষক ফারুক আহমেদ বলেন, একবেলা খাবার দিয়ে কাজের জন্য একজন শ্রমিক মজুরী দাবি করছেন ১০০০ টাকা। এতে প্রতিবিঘা জমির ধান কাটা-মাড়াই করে ঘরে তুলতে খরচ হবে ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। ফসল কেটে সময়মত ঘরে তোলা না গেলে ফলন বিপর্যয়েরও আশঙ্কা রয়েছে।

রায়গঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, এবারে প্রতিটি মাঠে ইরি-বোরো ধানের ফলন ভাল হয়েছে। সুষ্ঠ ভাবে ধান কাটা ও মাড়াই করে ঘরে তুলতে পারলে এবং ন্যায্য মূল্য পেলে কৃষকেরা লাভবান হবেন।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ