পাবনার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র : জ্যোতির্বিজ্ঞানী জব্বার মল্লিক
- প্রকাশিত সময় ০২:০৯:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ মে ২০২২
- / 142
মোহাম্মদ আলী মাস্টার
প্রকাশিত: ০১:৩৮ অপরাহ্ন, মে ২০২২
আমাদের দেশে জ্যোতির্বিজ্ঞান (Astronomy) চর্চ্চার ইতিহাস ও অগ্রগতি পর্যালোচনা করলে যে নামটি স্মরণ করতে হয় তিনি আব্দুল জব্বার মল্লিক।
তার পিতা দরিদ্র কৃষক মিয়াজান মল্লিকের বড় ছেলে আবেদ মল্লিককে গ্রামের পাঠশালায় ভর্তি করান।
পাঠশালার হেড পন্ডিত শশী ভূষণ দাশ মেধাবী আবেদকে বৃত্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেন। বৃত্তি পরীক্ষায় তিনি প্রথম হয়ে মাসিক ২ (দুই) টাকা বৃত্তি লাভ করেন ও বিনা পয়সায় পড়াশুনার সূযোগ পান। তার অপর ২ ছেলে আকবর ও জব্বার মল্লিকেও হেড পন্ডিত একই ভাবে বিনা বেতন পড়াশোনার সুযোগ করে দেন। ইহা অব্যাহতথাকে হাই স্কুল পর্যন্ত।
জব্বার মল্লিক ১৯১৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। সাতবাড়ীয়া হাই স্কুল থেকে ১৯৩২ সালে লেটার সহ ম্যাট্টিক, ১৯৩৪ সালে কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে গণিতে লেটার সহ আই এস সি পাশ করেন। তখনকার সময় মূসলমান ছাএ ছাএীদের মধো তিনিই প্রথম স্থান অধিকার করেন।
১৯৩৭ সালে গণিতে অনার্সসহ বিএসসি পাশ করেন, একই কলেজ থেকে ১৯৩৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হয়ে এমএসসি ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৩৯ সালে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডে যাত্রা করেন।
তার পেশা জীবনের শুরু ও শেষ হয় শিক্ষকতার মধ্যে দিয়ে। পেশা জীবনে তিনি কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় গণিত বিভাগের প্রভাষক নিষুক্ত হন। কলকাতার প্রেসিডেন্টকলেজ ও কলকাতার বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষা জীবন তার পরবর্তী জীবন সমান ভাবে প্রভাবান্বিত করেছিল।
অধ্যাপনার পাশাপাশি জ্যোর্তি বিজ্ঞান চর্চা ও প্রচুর লেখালেখি করেছেন।
তার উল্লেখ যোগ্য গ্রন্থ গুলো হলো: বিশ্ব রহস্য নিউটন ও আইনস্টাইন (১৯৪৯), বিশ্ব রহস্য সন্ধানে (১৯৫১)। খ-গোলক পরিচয় (১৯৬৫), তারা পরিচয় (১৯৬৫), প্রাচীন জ্যোতি বিদ্যা (১৯৭৩), বিশ্ব ও সৌর জগত (১৯৮৬)।
এই জ্যোতির্বিজ্ঞানী ১৯৮৩ সালে বাংলা একাডেমী পূরস্কার পান ও বাংলা একাডেমীর ফেলো নির্বাচিত হন ১৯৮৪ সালে।
১৯৮৫ সালে একুশ পদক ও ড:কুদরত ই খোদা স্মৃতি পদক, ১৯৮০ সালে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পদক পান।
১৯৮৮ সালে আকাশ পট প্রকাশ করে ও ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ অ্যাস্টোনমিক্যাল এ্যাসোসিয়েশন তাকে “ব্রুনো পদকে” ভুষিত করে।
১৯৬৮-১৯৮০ সাল পর্যন্ত তিনি ছাত্র কল্যাণ পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮০ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
ঢাকা প্রকৌশলী বিশ্ব বিদ্যালয়ে থাকাকালীন তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও পরিকল্পনায় নির্মিত হয় দেশের প্রথম খ-গোলক। ইঞ্চি ডায়ামিটার এই খ-গোলকে মোট এক হাজার ৯৯৯টি তারার অবস্থান দেখানো হয়েছে।
এতে আরো ৮৮টি নক্ষত্র মন্ডলের সরল রৈখিক চিত্র- এটি তার জীবনের উল্লেখযোগ্য কীর্তি হিসেবে বিবেচিত।
এই কীর্তিবান মনিষী পাবনার সুজানগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ১৯১৫ সালে জন্ম গ্রহণ করেন ও ১৯৯৩ সালে ২০ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন। তার পিতা মুন্সী মিয়াজান মল্লিক আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল না থাকলেও বহু কষ্টে সন্তান আবেদ মল্লিক, আকবর মল্লিক ও জব্বার মল্লিককে লেখাপড়ার খরচ চালিয়ে গেছেন। সেই সময়ে তার তিন সন্তানই উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উচ্চ পর্যায়ে চাকুরী করতেন। বৃটিশ সরকার তাদের মাতাকে “রন্তাগর্ভা” উপাধিতে ভুষিত করেন।
সাতবাড়ীয়া ড্রিগ্রী কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৯৬ সালে। তার বড় ভাই আকবর মল্লিক এই কলেজের প্রতিষ্ঠাতা।
বিরামপুরে ৩ নারী মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার
লালপুরে ইজিবাইক চালকের লাশ উদ্ধার
আটঘরিয়ার মাজপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে ফাঁস লাগিয়ে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা
দুই মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, আহত মা–মেয়েসহ তিনজনকে চাপা দিল ট্রাক্টর
ঈশ্বরদী উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্স জঞ্জাল মুক্ত করার নির্দেশ নূরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি’র
একাত্তরে পাবনার ডেমরা বধ্যভূমিতে পাক বাহিনীর হত্যাযজ্ঞে ৮০০ শহীদ স্মরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধা নিবেদন
পাবনায় হাইড্রোসেফালাস রোগে আক্রান্ত শিশু জান্নাতুল ফেরদৌসের উন্নত চিকিৎসার দরকার
শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ান হলেন ইউএই’র নতুন প্রেসিডেন্ট
ঈশ্বরদী শহরের মাহতাব কলোনীতে আগুনে পুড়ে দুটি বাড়ি ভষ্মিভূত
রূপপুর মোড়ে নছিমন উল্টে ২ জন হতাহত