ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মারিউপোলের পতন : রাশিয়ার কাছে ২৬৫ ইউক্রেনীয় সেনার আত্মসমর্পণ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:২২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
  • / 100

ইউক্রেনের বন্ধী সেনা-১

ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্যদের এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায়। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২২

মারিউপোল এরই মধ্যে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সর্বশেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্টালেরও পতন ঘটেছে। সেখানে থাকা অন্তত ২৬৫ ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ২৬৫ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে ৫১ জন গুরুতরভাবে আহত। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছ আহতদের দনেৎস্কের নোভোআজভস্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে পাঁচটি বাসে করে আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে আরও সাতটি বাসে করে আরও বেশ কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। উভয়ই সময়ই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সশস্ত্র সাঁজোয়া যান বাসগুলোকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটস্থ ওলেনিভকায় রাশিয়ার বন্দী শিবিরে নেওয়া হয়েছে।

Ukrainian Armyআত্মসমর্পণকৃত ইউক্রেনের সৈন্যদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায়। ছবি: রয়টার্স

সোভিয়েত আমলে তৈরি ইউরোপের সর্ববৃহৎ এই ইস্পাত কারখানাটির নকশাই এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে বড় ধরনের কোনো পারমাণবিক হামলার সময়ও আশ্রয় নেওয়া যায়। সেসময়, কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ বাংকার ও টানেলের গোলক ধাঁধা তৈরি করা হয়েছিল।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা ইউনিট কমান্ডারদের ‘তাঁদের সৈন্যদের জীবন বাঁচাতে’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রুশ বাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল মারিউপোল। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংঘাত হয়েছে, তার মধ্যে আজভ সাগরের তীরবর্তী এই শহরটি উল্লেখযোগ্য।

গত এপ্রিলেই মারিউপোল শহরের অধিকাংশ এলাকা দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। একমাত্র শহরটির প্রান্তে অবস্থিত আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা বাদে। সাবেক সোভিয়েত আমলে প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ এই কারখানা ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

মারিউপোলের পতন : রাশিয়ার কাছে ২৬৫ ইউক্রেনীয় সেনার আত্মসমর্পণ

প্রকাশিত সময় ০২:২২:৫৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২
ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর সদস্যদের এসকর্ট করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায়। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১৫ অপরাহ্ন, ১৮ মে ২০২২

মারিউপোল এরই মধ্যে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছে। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সর্বশেষ প্রতিরোধ ঘাঁটি আজভস্টালেরও পতন ঘটেছে। সেখানে থাকা অন্তত ২৬৫ ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব মিলিয়ে ২৬৫ জন ইউক্রেনীয় সৈন্য রাশিয়ার কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। এর মধ্যে ৫১ জন গুরুতরভাবে আহত। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছ আহতদের দনেৎস্কের নোভোআজভস্কের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হবে।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার সকালের দিকে পাঁচটি বাসে করে আত্মসমর্পণ করা ইউক্রেনীয় সৈন্যদের দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যার দিকে আরও সাতটি বাসে করে আরও বেশ কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়া হয়। উভয়ই সময়ই রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সশস্ত্র সাঁজোয়া যান বাসগুলোকে এসকর্ট করে নিয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, তাদের দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটস্থ ওলেনিভকায় রাশিয়ার বন্দী শিবিরে নেওয়া হয়েছে।

Ukrainian Armyআত্মসমর্পণকৃত ইউক্রেনের সৈন্যদের বাসে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দনেৎস্কের রাজধানীর নিকটবর্তী এলাকায়। ছবি: রয়টার্স

সোভিয়েত আমলে তৈরি ইউরোপের সর্ববৃহৎ এই ইস্পাত কারখানাটির নকশাই এমনভাবে করা হয়েছিল যাতে বড় ধরনের কোনো পারমাণবিক হামলার সময়ও আশ্রয় নেওয়া যায়। সেসময়, কারখানাটিতে বিপুল পরিমাণ বাংকার ও টানেলের গোলক ধাঁধা তৈরি করা হয়েছিল।

ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর জেনারেল স্টাফের বিবৃতিতে বলা হয়, শহরের আজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় থাকা ইউনিট কমান্ডারদের ‘তাঁদের সৈন্যদের জীবন বাঁচাতে’ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের শুরু থেকেই রুশ বাহিনীর কাছে কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ছিল মারিউপোল। ইউক্রেনের যেসব অঞ্চলে দেশটির সেনাবাহিনীর সঙ্গে রুশ বাহিনীর সবচেয়ে বেশি সংঘাত হয়েছে, তার মধ্যে আজভ সাগরের তীরবর্তী এই শহরটি উল্লেখযোগ্য।

গত এপ্রিলেই মারিউপোল শহরের অধিকাংশ এলাকা দখলে নিয়েছিল রুশ বাহিনী। একমাত্র শহরটির প্রান্তে অবস্থিত আজভস্টাল ইস্পাত কারখানা বাদে। সাবেক সোভিয়েত আমলে প্রতিষ্ঠিত বৃহৎ এই কারখানা ছিল ইউক্রেনীয় বাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ঘাঁটি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ