ঢাকা ১১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

চাটমোহরের ফৈলজানায় লোকমান হোসেন মেম্বারের মধ্যযুগীয় সালিশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:২৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
  • / 108

চাটমোহরের লোকমান মেম্বার

পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানায় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন মেম্বার। ছবি: সংগ্রহীত

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)
প্রকাশিত: ০৪:১১ অপরাহ্ন, ১৯ মে ২০২২

পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানায় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেনের মধ্যযুগীয় কায়দায় সালিশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মানুষ অতীষ্ঠ। সে ঐ গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নির্যাতন এতই প্রকট যে তার বিরুদ্ধে কেও কথা বলতে সাহস করে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার সালিশি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু বিবরন তুলে ধরা হল।

তার সঙ্গে ফৈলজানা গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের একটি ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। মোঃ আব্দুল মজিদ ব্যবসায়িক কাজে বাইরে থাকে সেই সময় সে তাহার বাসার উপর দিযে তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুনকে তার স্বামির নিকট টাকা পাইবে এই মর্মে প্রাণ নাষের হুমকি দেয় এবং তার সন্তানদেরকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মোছাঃ ফাতেমা খাতুন তাঁর জানমাল ও সন্তানাদীর নিরাপত্তার সার্থে গত ০৩/০৪/২০২১ ইং তারিখে থানায় এজহার দিতে গেলে থানা অজুহাত দেখিয়ে তাহার এজাহারটি নেন।

মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের থানায় যাওয়ার সংবাদ পেয়ে লোকমান হোসেন তার দলবল নিয়ে ফাতেমা খাতুন ও তার সন্তানদের বেধরক মারপিট করেন এবং ৪,৫০,০০০/- (নগদ+গহনা+ফার্নিচার) লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তার ও তার দলবলের হাত থেকে শিশুপূত্র কণ্যাসহ সত্রাসী কর্মকান্ডের হাত থেকে কেহই রেহাই পাই নাই। লোকমান যখন দলবল নিয়ে বাড়ি লুট করে, গ্রামের লোকজন ভয়ে তার সামনে যেতে সাহস করেনি। তাদের মধ্য থেকে একজন প্রতিবাদ করলে তাকে পিস্তল দেখিযে শাসিয়ে বলে, “লোকমানের সামনে দারানোর সাহস কারো নেই। যদি বেশি কথা বলিস, তাহলে এখানেই পুতে রেখে যাব।”

ফাতেমার স্বামী আব্দুল মাসুদ বলেন, “লোকমান আমার নিকট হইতে কুমতলব ও কু-উদ্দেশ্যে চাদা দাবী করত এবং বকতো যদি চাদা না দিস তাহলে দেখে নেব। তুই কিভাবে ব্যবসা ও বসবাস করিস সেটা আমি দেখে নিব। এক পর্যায়ে লোকমান মেম্বারের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরের দিন রাতে সে তার বাহিনিসহ এসে আমাকে আমার বাসস্থান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ১০০ টাকা মূল্যের ০৩ (তিন) টি সাদা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প এ সই করিয়ে নেয়। ব্যবসায়িক কাজে পাবনার বাহিরে গেলে সে ঐদিন সন্ধার দিকে জোরপূর্বক আমার বসতবাড়িতে ডুকে আমার স্ত্রী, পূত্র কন্যাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয়। আমি চাটমোহর থানাতে বিষয়টি এজহার করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

পরবর্তিতে আমি পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের সরন্নাপন্ন হই। পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১০/০৪/২০২১ ইং তারিখে লোকমানসহ ০৭ (সাত) জনের নাম উল্লেখ করে চাটমোহর থানায় একটি এজাহার দায়ের করি। এখন পর্যন্ত থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।” মাসুদ আরও বলেন, “আমি লোকমান মেম্বর ও তার দলবলের ভয়ে সপরিবারে পালিয়ে বেরাচ্ছি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখন পর্যন্ত আমার বাড়িটি ফেরত পাইনি এবং আদও পাব কিনা সন্দেহ আছে।” এবিষয়ে লোকমান মেম্বরের সঙ্গে কথা বল্লে সে বলে, “ মাসুদের বাড়ি আমি কিনেছি। এটা থানা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিষযটি জানেন।” কিন্তু বাড়িটি কেনার দাবী করলেও লোকমান মেম্বর কোন দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেননি।

এ ছাড়া সম্প্রতি লোকমান মেম্বরের বিরুদ্ধে আরেকটা অভিযোগ- মোঃ উকিল প্রামানিক, পিতা- মৃত কহিল প্রামানিক, গ্রাম-কুয়াবাসি, পোষ্ট- ফৈলজানা, চাটমোহর, পাবনা। সে তার স্যালক বিশু প্রামানিক, পিতা- মৃত আব্দুল প্রামানিক, কৈলমহল, ফৈলজানা বেরাতে আসে উকিল প্রামানিক এর ভাষ্য- “আমার স্যালক বিদেশ ছিলো। বিদেশ থেকে ছুটিতে আসলে আমি তাকে দেখতে যাই কিন্তু আমার স্যালকদের মধ্যে গন্ডগোল চলছে এটা আমার জানা ছিলো না। গত ২০/০৪/২০২২ তারিখে আমার স্যালকদের গন্ডগোল মিমাংসার উদ্দেশ্যে লোকমান মেম্বর আমার স্যালকদের পাশের বাড়িতেই সালিশ বসায়। হঠাৎ করে সালিশ চলাকালিন অবস্খায় লোকমারফত আমাকে লোকমান মেম্বর সালিষে ডেকে পাঠায়।

আমি সালিষে গেলে লোকমান বলে, “তুই এতো রাতে এখানে কেনো?” আমি বলি আমি আমার স্যালকের বাড়িতে বেরাতে আসছি। সে বলে, “না, তোর স্যালকের স্ত্রীর সঙ্গে তোর অবৈধ সম্পর্ক আছে। স্বীকার কর?” আমি বলি, “না, তার সাথে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই।” তারপর লোকমান আর তার বাহিনি মিলে আমাকে চোর থাপ্পরের মাদ্যমে আমার স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি স্বীকার না করলে সে আমার স্যালকের বৌ ও স্যালক বিশুকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বেধরক মারপিট আরোম্ভ করে। স্যালক ও তার স্ত্রীর স্বীকারোক্তি না পেয়ে আমাকে পীঠমোড়া করে বেধে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটাতে থাকে। আমি তাদের মর্মান্তিক অত্যাচারে অগ্যান হয়ে যাই।

পরে তারাই আমার উপর পানির ছিটা দিয়ে আমার জ্ঞান ফেরায় এবং আমার গোলার উপর চাপ্পর ধরে যবাই করার উদ্দেশ্যে ভয় ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা দিতে বলে। আমি অসহায় হয়ে আমার কাছে থাকা ৫০০০/- টাকা লোকমানকে দিয়ে বাকি টাকা পরে দেয়ার ওয়াদা করে আমার জান ভিক্ষা চাই।

আমি ঐ রাতেই চাটমোহর হেল্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পর একটু সূস্থ হলে বাসায় চলে আসি। সেদিন লোকমান মেম্বারের বিরুদ্ধে কথা বলার কেও ছিলো না।

আমি ২২/০৪/২০২২ ইং তারিখে চাটমোহর থানায় একটি এজহার দায়ের করি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। থানায় এজহার দেওয়ার পর লোকমান মেম্বর ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা আমাকে এবং আমার স্যালককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এজহার তুলে নিয়ে আসার জন্য এবং বলে কোনভাবে আমি যদি এজহার থেকে মুক্তি পাই তাহলে তোদের সকলকে ভিটা-মাটি ছাড়া করব। আইনের আশ্রয় নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই, এই জাতীয়তাবাদী দলের আর্শিবাদপূষ্ট মেম্বর কিভাবে এই সত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যার কারোনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সাথে সাধারন জনগন ভীত ও সন্ত্রস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছে। শেষপর্যন্ত আমি আমার উপযুক্ত বিচার পাব কিনা সন্দিহান।

এ ছাড়া কৈলমহল গ্রামের অহেদ গনীর ছেলের অবৈধভাবে দশ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ দিয়ে সেখান থেকে ১,৮০,০০০/- (এক লক্ষ আঁশি হাজার) টাকা চাদা আদায় করে। খ্রীষ্টান পল্লি কাটাজোলা থেকে এক সালিশ করে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাদা আদায় করে। খ্রীষ্টান পল্লির কোন ব্যাক্তিই লোকমান মেম্বরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। অনেক তদন্তের পর এই তথ্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। খ্রীষ্টান পল্লিতে রাতের আধারে লোকমান মেম্বরসহ তার বাহিনি বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু খ্রীষ্টান পল্লির বাসিন্দাদের কথা আপনারা আমাদের বিষয়ে কোন কথা কাগজে আনবেন না। নাহলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো না। আমাদেরকে একটু শান্তিতে খাকতে দিন। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ভেকু দিয়ে মাটি খনন করা হয়। কিন্তু লোকমান মেম্বর ভেকু দিয়ে ফসলি জমি খনন করে ব্যবসা করছে।

লোকমান মেম্বরের সত্রাস ও কু-কর্মের আরও আনেক তথ্য গোপনে আর রাতের আধারে রয়ে গেছে যা জনসাধারন বলতে ভয় পায়। ফৈলজানা ইউ পি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে সন্ত্রাসের কোন যায়গা নাই। কোন ব্যক্তির কারণে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক এটা আমার কাম্য নয়।

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

চাটমোহরের ফৈলজানায় লোকমান হোসেন মেম্বারের মধ্যযুগীয় সালিশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড

প্রকাশিত সময় ০৪:২৩:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ মে ২০২২
পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানায় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেন মেম্বার। ছবি: সংগ্রহীত

বার্তা সংস্থা পিপ (পাবনা)
প্রকাশিত: ০৪:১১ অপরাহ্ন, ১৯ মে ২০২২

পাবনার চাটমোহরের ফৈলজানায় ইউপি সদস্য লোকমান হোসেনের মধ্যযুগীয় কায়দায় সালিশ ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মানুষ অতীষ্ঠ। সে ঐ গ্রামের মোঃ আব্দুস সাত্তারের ছেলে। তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নির্যাতন এতই প্রকট যে তার বিরুদ্ধে কেও কথা বলতে সাহস করে না। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তার সালিশি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের কিছু বিবরন তুলে ধরা হল।

তার সঙ্গে ফৈলজানা গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদের একটি ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল। মোঃ আব্দুল মজিদ ব্যবসায়িক কাজে বাইরে থাকে সেই সময় সে তাহার বাসার উপর দিযে তার স্ত্রী মোছাঃ ফাতেমা খাতুনকে তার স্বামির নিকট টাকা পাইবে এই মর্মে প্রাণ নাষের হুমকি দেয় এবং তার সন্তানদেরকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। মোছাঃ ফাতেমা খাতুন তাঁর জানমাল ও সন্তানাদীর নিরাপত্তার সার্থে গত ০৩/০৪/২০২১ ইং তারিখে থানায় এজহার দিতে গেলে থানা অজুহাত দেখিয়ে তাহার এজাহারটি নেন।

মোছাঃ ফাতেমা খাতুনের থানায় যাওয়ার সংবাদ পেয়ে লোকমান হোসেন তার দলবল নিয়ে ফাতেমা খাতুন ও তার সন্তানদের বেধরক মারপিট করেন এবং ৪,৫০,০০০/- (নগদ+গহনা+ফার্নিচার) লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় তার ও তার দলবলের হাত থেকে শিশুপূত্র কণ্যাসহ সত্রাসী কর্মকান্ডের হাত থেকে কেহই রেহাই পাই নাই। লোকমান যখন দলবল নিয়ে বাড়ি লুট করে, গ্রামের লোকজন ভয়ে তার সামনে যেতে সাহস করেনি। তাদের মধ্য থেকে একজন প্রতিবাদ করলে তাকে পিস্তল দেখিযে শাসিয়ে বলে, “লোকমানের সামনে দারানোর সাহস কারো নেই। যদি বেশি কথা বলিস, তাহলে এখানেই পুতে রেখে যাব।”

ফাতেমার স্বামী আব্দুল মাসুদ বলেন, “লোকমান আমার নিকট হইতে কুমতলব ও কু-উদ্দেশ্যে চাদা দাবী করত এবং বকতো যদি চাদা না দিস তাহলে দেখে নেব। তুই কিভাবে ব্যবসা ও বসবাস করিস সেটা আমি দেখে নিব। এক পর্যায়ে লোকমান মেম্বারের সঙ্গে আমার কথা কাটাকাটি হয়। পরের দিন রাতে সে তার বাহিনিসহ এসে আমাকে আমার বাসস্থান থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে ১০০ টাকা মূল্যের ০৩ (তিন) টি সাদা নন-জুডিসিয়াল ষ্ট্যাম্প এ সই করিয়ে নেয়। ব্যবসায়িক কাজে পাবনার বাহিরে গেলে সে ঐদিন সন্ধার দিকে জোরপূর্বক আমার বসতবাড়িতে ডুকে আমার স্ত্রী, পূত্র কন্যাকে বাড়ি থেকে মারধর করে বের করে দেয়। আমি চাটমোহর থানাতে বিষয়টি এজহার করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।

পরবর্তিতে আমি পাবনা জেলা পুলিশ সুপারের সরন্নাপন্ন হই। পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ১০/০৪/২০২১ ইং তারিখে লোকমানসহ ০৭ (সাত) জনের নাম উল্লেখ করে চাটমোহর থানায় একটি এজাহার দায়ের করি। এখন পর্যন্ত থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেয়নি।” মাসুদ আরও বলেন, “আমি লোকমান মেম্বর ও তার দলবলের ভয়ে সপরিবারে পালিয়ে বেরাচ্ছি এবং মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখন পর্যন্ত আমার বাড়িটি ফেরত পাইনি এবং আদও পাব কিনা সন্দেহ আছে।” এবিষয়ে লোকমান মেম্বরের সঙ্গে কথা বল্লে সে বলে, “ মাসুদের বাড়ি আমি কিনেছি। এটা থানা, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বিষযটি জানেন।” কিন্তু বাড়িটি কেনার দাবী করলেও লোকমান মেম্বর কোন দালিলিক প্রমান দেখাতে পারেননি।

এ ছাড়া সম্প্রতি লোকমান মেম্বরের বিরুদ্ধে আরেকটা অভিযোগ- মোঃ উকিল প্রামানিক, পিতা- মৃত কহিল প্রামানিক, গ্রাম-কুয়াবাসি, পোষ্ট- ফৈলজানা, চাটমোহর, পাবনা। সে তার স্যালক বিশু প্রামানিক, পিতা- মৃত আব্দুল প্রামানিক, কৈলমহল, ফৈলজানা বেরাতে আসে উকিল প্রামানিক এর ভাষ্য- “আমার স্যালক বিদেশ ছিলো। বিদেশ থেকে ছুটিতে আসলে আমি তাকে দেখতে যাই কিন্তু আমার স্যালকদের মধ্যে গন্ডগোল চলছে এটা আমার জানা ছিলো না। গত ২০/০৪/২০২২ তারিখে আমার স্যালকদের গন্ডগোল মিমাংসার উদ্দেশ্যে লোকমান মেম্বর আমার স্যালকদের পাশের বাড়িতেই সালিশ বসায়। হঠাৎ করে সালিশ চলাকালিন অবস্খায় লোকমারফত আমাকে লোকমান মেম্বর সালিষে ডেকে পাঠায়।

আমি সালিষে গেলে লোকমান বলে, “তুই এতো রাতে এখানে কেনো?” আমি বলি আমি আমার স্যালকের বাড়িতে বেরাতে আসছি। সে বলে, “না, তোর স্যালকের স্ত্রীর সঙ্গে তোর অবৈধ সম্পর্ক আছে। স্বীকার কর?” আমি বলি, “না, তার সাথে আমার কোন অবৈধ সম্পর্ক নেই।” তারপর লোকমান আর তার বাহিনি মিলে আমাকে চোর থাপ্পরের মাদ্যমে আমার স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে। আমি স্বীকার না করলে সে আমার স্যালকের বৌ ও স্যালক বিশুকে স্বীকারোক্তি দেওয়ার জন্য বেধরক মারপিট আরোম্ভ করে। স্যালক ও তার স্ত্রীর স্বীকারোক্তি না পেয়ে আমাকে পীঠমোড়া করে বেধে লোহার রড দিয়ে বেধরক পিটাতে থাকে। আমি তাদের মর্মান্তিক অত্যাচারে অগ্যান হয়ে যাই।

পরে তারাই আমার উপর পানির ছিটা দিয়ে আমার জ্ঞান ফেরায় এবং আমার গোলার উপর চাপ্পর ধরে যবাই করার উদ্দেশ্যে ভয় ভীতি দেখিয়ে স্বীকারোক্তি নেওয়ার চেষ্টা করে এবং ৫০,০০০/- টাকা জরিমানা দিতে বলে। আমি অসহায় হয়ে আমার কাছে থাকা ৫০০০/- টাকা লোকমানকে দিয়ে বাকি টাকা পরে দেয়ার ওয়াদা করে আমার জান ভিক্ষা চাই।

আমি ঐ রাতেই চাটমোহর হেল্থ কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই। দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পর একটু সূস্থ হলে বাসায় চলে আসি। সেদিন লোকমান মেম্বারের বিরুদ্ধে কথা বলার কেও ছিলো না।

আমি ২২/০৪/২০২২ ইং তারিখে চাটমোহর থানায় একটি এজহার দায়ের করি কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন আসামী গ্রেপ্তার হয়নি। থানায় এজহার দেওয়ার পর লোকমান মেম্বর ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা আমাকে এবং আমার স্যালককে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে এজহার তুলে নিয়ে আসার জন্য এবং বলে কোনভাবে আমি যদি এজহার থেকে মুক্তি পাই তাহলে তোদের সকলকে ভিটা-মাটি ছাড়া করব। আইনের আশ্রয় নিয়ে আমি ও আমার পরিবারের জানমালের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিচার চাই, এই জাতীয়তাবাদী দলের আর্শিবাদপূষ্ট মেম্বর কিভাবে এই সত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে যার কারোনে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে। সাথে সাধারন জনগন ভীত ও সন্ত্রস্থ অবস্থায় জীবনযাপন করছে। শেষপর্যন্ত আমি আমার উপযুক্ত বিচার পাব কিনা সন্দিহান।

এ ছাড়া কৈলমহল গ্রামের অহেদ গনীর ছেলের অবৈধভাবে দশ লক্ষ টাকা কাবিনে বিবাহ দিয়ে সেখান থেকে ১,৮০,০০০/- (এক লক্ষ আঁশি হাজার) টাকা চাদা আদায় করে। খ্রীষ্টান পল্লি কাটাজোলা থেকে এক সালিশ করে ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা চাদা আদায় করে। খ্রীষ্টান পল্লির কোন ব্যাক্তিই লোকমান মেম্বরের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। অনেক তদন্তের পর এই তথ্য উৎঘাটন করা সম্ভব হয়েছে। খ্রীষ্টান পল্লিতে রাতের আধারে লোকমান মেম্বরসহ তার বাহিনি বিভিন্ন সময় তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু খ্রীষ্টান পল্লির বাসিন্দাদের কথা আপনারা আমাদের বিষয়ে কোন কথা কাগজে আনবেন না। নাহলে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারবো না। আমাদেরকে একটু শান্তিতে খাকতে দিন। সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ভেকু দিয়ে মাটি খনন করা হয়। কিন্তু লোকমান মেম্বর ভেকু দিয়ে ফসলি জমি খনন করে ব্যবসা করছে।

লোকমান মেম্বরের সত্রাস ও কু-কর্মের আরও আনেক তথ্য গোপনে আর রাতের আধারে রয়ে গেছে যা জনসাধারন বলতে ভয় পায়। ফৈলজানা ইউ পি চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, “আমার কাছে সন্ত্রাসের কোন যায়গা নাই। কোন ব্যক্তির কারণে আমার দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হোক এটা আমার কাম্য নয়।

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ