ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ : তদন্ত দাবি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:২৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
  • / 47

শ্রমিক

প্রতীকী ছবি

আইএনএস
প্রকাশিত: ০৭:১৭ অপরাহ্ন, ২২ মে ২০২২

পাবনায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২০২১-২০২২ প্রথম পর্যায়ের রাস্তা নির্মাণ কজে জেলার ৭২টি ইউনিয়নে একধিক রাস্তা নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি প্রকল্পের কাজের ধরণ অনুযায়ী ৪শ টাকা হাজিরায় ৪০ দিন ব্যাপী কাজ করার জন্য শ্রমিকের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যেসব শ্রমিকের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি ও বিকাশ নম্বর দেয়া হয়েছে, ওই সব শ্রমিকদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অনেকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

যেসব মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় ওইসব মোবাইল হোল্ডার শ্রমিকরা জানায়, রাস্তা নির্মাণ কাজে শ্রমিকদের হাজিরা তাদের বিকাশ নম্বরে দেওয়া হয়। তবে কতজন শ্রমিক রাস্তা নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন অনেই বলতে পারেন নি।

তবে অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো ইউনিয়নে ৪০ দিনের আগেই কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে বিল জমা দেন ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। ৪০ দিনের হাজিরার টাকা বিকাশ নম্বরে প্রেরণ করা হলে ইউপি সদস্যরা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে কাজ না হওয়া দিনের হাজিরার টাকা আদায় করেন।

বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত যেসব শ্রমিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ওইসব মোবাইল ফোন ও বিকাশ নম্বর প্রকৃত পক্ষে কে ব্যবহার করেন তা তদন্ত করা দরকার।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিতে গেলে চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে ২য় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে কোনো অনিয়ম বা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করেন তিনি।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা সৈয়দ শামীম এহসান বলেন, পূর্বে আমদের মাধ্যমে এসব শ্রমিকদের হাজিরা দেওয়া হতো। বর্তমান শ্রমিকদের হাজিরা যাতে ঠিকমত পায় সে জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যংকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিকাশ নম্বরে হাজিরার টাকা পঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম করেছেন। শ্রমিকদের হাজিরা নিয়ে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। যার সীম নেই তার কাজে যোগানের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো শ্রমিকদের হাজিরার ৪০ লাখ টাকা বাকী রয়েছে। আমরা এ নিয়ে একটু সমস্যায় রয়েছি। তবে এ প্রকল্পে যারা সুযোগ সুবিধা নিতে পারেনি তারা মনগড়া অভিযোগ তুলতে পারে। তবে এ উপজেলায় কোনো ইউনিয়নে কাজে অনিয়ম হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

পাবনায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ : তদন্ত দাবি

প্রকাশিত সময় ০৭:২৪:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ মে ২০২২
প্রতীকী ছবি

আইএনএস
প্রকাশিত: ০৭:১৭ অপরাহ্ন, ২২ মে ২০২২

পাবনায় অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান প্রকল্প কর্মসূচি বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) ২০২১-২০২২ প্রথম পর্যায়ের রাস্তা নির্মাণ কজে জেলার ৭২টি ইউনিয়নে একধিক রাস্তা নির্মান প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রতিটি প্রকল্পের কাজের ধরণ অনুযায়ী ৪শ টাকা হাজিরায় ৪০ দিন ব্যাপী কাজ করার জন্য শ্রমিকের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃক প্রস্তুত করে সংশ্লিষ্ট বিভাগে প্রেরণ করা হয়।

সূত্র জানায়, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য যেসব শ্রমিকের নাম, মোবাইল নম্বর, এনআইডি ও বিকাশ নম্বর দেয়া হয়েছে, ওই সব শ্রমিকদের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে অনেকের মোবাইল নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।

যেসব মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় ওইসব মোবাইল হোল্ডার শ্রমিকরা জানায়, রাস্তা নির্মাণ কাজে শ্রমিকদের হাজিরা তাদের বিকাশ নম্বরে দেওয়া হয়। তবে কতজন শ্রমিক রাস্তা নির্মাণ কাজে অংশগ্রহণ করেছেন অনেই বলতে পারেন নি।

তবে অভিযোগ উঠেছে, কোনো কোনো ইউনিয়নে ৪০ দিনের আগেই কাজ সমাপ্ত দেখিয়ে বিল জমা দেন ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ। ৪০ দিনের হাজিরার টাকা বিকাশ নম্বরে প্রেরণ করা হলে ইউপি সদস্যরা অজুহাত দেখিয়ে শ্রমিকদের কাছ থেকে কাজ না হওয়া দিনের হাজিরার টাকা আদায় করেন।

বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে সংশ্লিষ্টরা বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ইউনিয়ন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত যেসব শ্রমিকের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায় ওইসব মোবাইল ফোন ও বিকাশ নম্বর প্রকৃত পক্ষে কে ব্যবহার করেন তা তদন্ত করা দরকার।

জেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এ প্রকল্পের কার্যক্রমের খোঁজ-খবর নিতে গেলে চাটমোহর উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান হাফিজুর রহমান বলেন, তার ইউনিয়নে প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষে ২য় পর্যায়ের কাজ শুরু হয়েছে। তবে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজে কোনো অনিয়ম বা অর্থ আত্মসাতের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবী করেন তিনি।

তবে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে চাটমোহর উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা সৈয়দ শামীম এহসান বলেন, পূর্বে আমদের মাধ্যমে এসব শ্রমিকদের হাজিরা দেওয়া হতো। বর্তমান শ্রমিকদের হাজিরা যাতে ঠিকমত পায় সে জন্য সরকার বাংলাদেশ ব্যংকের মাধ্যমে শ্রমিকদের বিকাশ নম্বরে হাজিরার টাকা পঠিয়ে দেওয়ার নিয়ম করেছেন। শ্রমিকদের হাজিরা নিয়ে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই। যার সীম নেই তার কাজে যোগানের সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, এ উপজেলায় প্রতিটি ইউনিয়নের কাজ সম্পন্ন হলেও এখনো শ্রমিকদের হাজিরার ৪০ লাখ টাকা বাকী রয়েছে। আমরা এ নিয়ে একটু সমস্যায় রয়েছি। তবে এ প্রকল্পে যারা সুযোগ সুবিধা নিতে পারেনি তারা মনগড়া অভিযোগ তুলতে পারে। তবে এ উপজেলায় কোনো ইউনিয়নে কাজে অনিয়ম হয়নি বলে দাবী করেন তিনি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ