ঢাকা ১২:০১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলসামারী গ্রামে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০২:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / 102

মৃত চঞ্চল

নিহত চঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:১২ রাত, ২৩ মে ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলসামারী গ্রামে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার ইলশামারি গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে মোঃ সোহরাব হোসেন শিহাব দাবি করেন, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে মাজদিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে চঞ্চল (৩০)সহ তিন-চারজন আমার দোকানে চুরি করতে আসে। এ সময় বাবা চঞ্চলকে তাড়া করেন। একপর্যায়ে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং চঞ্চলকে ধরে ফেলে। অন্যরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসি জানান, শিহাবের দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে চঞ্চলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে শিহাবের পরিবারের সদস্যরা ওই ওয়ার্ডের মেম্বরকে ডেকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ত মেম্বর না এসে একজন চৌকিদারকে ঘটনাস্থলে পাঠান। শিহাবসহ স্থানীয়রা জানান, চৌকিদার ও স্ত্রী বিজলী রাত ২টার দিকে আহত চঞ্চলকে একটি অটোরিকশায় করে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রাতে মারধরের পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করতে নিষেধ করি এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেই। এখন শুনলাম ছেলেটা মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, পরে চঞ্চলের আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন তাকে আবারও মারধর করা হয়েছিল। দুপুর দেড়টার দিকে চঞ্চলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

নিহতের পিতা জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তুলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। সেখানে সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে আমার ছেলেকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আমার ছেলেকে থানায় রাখা হয়নি। পরে রেলগেট থেকে কেউ আমাকে কল করে জানায়, তোমার ছেলে রেলগেটে পড়ে আছে। আমি গিয়ে রেলগেইট চত্বরে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলসামারী গ্রামে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত সময় ০২:১২:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
নিহত চঞ্চল। ছবি: সংগৃহীত

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০২:১২ রাত, ২৩ মে ২০২২

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার ইলসামারী গ্রামে চোর সন্দেহে একজনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, রবিবার ইলশামারি গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে মোঃ সোহরাব হোসেন শিহাব দাবি করেন, শনিবার দিবাগত গভীর রাতে মাজদিয়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে চঞ্চল (৩০)সহ তিন-চারজন আমার দোকানে চুরি করতে আসে। এ সময় বাবা চঞ্চলকে তাড়া করেন। একপর্যায়ে আমাদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে এবং চঞ্চলকে ধরে ফেলে। অন্যরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসি জানান, শিহাবের দোকানের সামনে বৈদ্যুতিক খুঁটির সাথে বেঁধে চঞ্চলকে বেধড়ক মারধর করা হয়। একপর্যায়ে শিহাবের পরিবারের সদস্যরা ওই ওয়ার্ডের মেম্বরকে ডেকে ঘটনাস্থলে আসার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্ত মেম্বর না এসে একজন চৌকিদারকে ঘটনাস্থলে পাঠান। শিহাবসহ স্থানীয়রা জানান, চৌকিদার ও স্ত্রী বিজলী রাত ২টার দিকে আহত চঞ্চলকে একটি অটোরিকশায় করে ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে নিয়ে যান।

এ ব্যাপারে সাঁড়া ইউপি চেয়ারম্যান এমদাদুল হক রানা সরদার বলেন, রাতে মারধরের পর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে গুরুতর আহতাবস্থায় একজনকে পরিষদ চত্বরে প্রবেশ করতে নিষেধ করি এবং দ্রুত চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেই। এখন শুনলাম ছেলেটা মারা গেছে।

তিনি আরও বলেন, পরে চঞ্চলের আত্মীয়দের কাছ থেকে শুনেছেন তাকে আবারও মারধর করা হয়েছিল। দুপুর দেড়টার দিকে চঞ্চলকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান তিনি।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান আসাদের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।

নিহতের পিতা জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার ছেলেকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তুলে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেছে। সেখানে সাময়িক চিকিৎসা দিয়ে আমার ছেলেকে হাসপাতাল থেকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু আমার ছেলেকে থানায় রাখা হয়নি। পরে রেলগেট থেকে কেউ আমাকে কল করে জানায়, তোমার ছেলে রেলগেটে পড়ে আছে। আমি গিয়ে রেলগেইট চত্বরে ছেলেকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়নি।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ