ঢাকা ১০:৫৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মিলান

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
  • / 100

মিলান

১১ বছর পর ফের স্কুদেত্তো জয়ের হাতছানি। কোনো মতে হার এড়াতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। তবে কেবল হার এড়িয়ে নয়, এসি মিলান জিতল রাজকীয় ঢঙেই। প্রতিপক্ষ সাসসুওলোকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুর্দান্ত এক জয় দিয়েই শিরোপা উল্লাসে মাতে রোজোনেরিরা।

স্বতঃকণ্ঠ স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ রাত, ২৩ মে ২০২২

রোববার সিরিআর শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সাসসুওলোর মাঠে স্বাগতিকদের ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মিলান। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। অপর গোলটি করেছেন ফ্রাঙ্ক কেসি। তিনটি গোলেরই জোগান দিয়েছেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রাফায়েল লিয়াও।

সবশেষে ২০১০-১১ মৌসুমে স্কুদেত্তো জিতেছিল মিলান। একই সঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের সঙ্গে শিরোপা সংখ্যার ব্যবধানও কমালো দলটি। সিরিআয় এ দুই দলের শিরোপা সংখ্যা এখন ১৯টি করে। সর্বাধিক ৩৬টি শিরোপা নিয়ে সবার উপরে রয়েছে জুভেন্টাস।

শিরোপা লড়াইয়ের আসরের শেষ দিনে মাঠে নেমেছিল দুই মিলান। তবে ইন্টার মিলানের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে ছিল এসি মিলান। হেড টু হেডেও এগিয়ে। তাই সাসসুওলোর সঙ্গে কেবল ড্র করলেই চলতি তাদের। কিন্তু বড় জয়েই কাজটা সাড়ে মিলান। অন্যদিকে তাদের সমান ৩-০ গোলের জয় নিয়েও তাই রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নেরারুজ্জিদের।

লিগের ৩৮ রাউন্ড শেষে চ্যাম্পিয়ন মিলানের সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয় ইন্টার। গত মৌসুমে টানা নয় বছর রাজত্ব করা জুভেন্টাসের দাপট থামিয়েছিল এই দলটিই। আর সেই জুভেন্টাস এবার ৭০ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে চতুর্থ। তৃতীয় স্থানে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ৭৯।

এদিন ম্যাচে প্রায় একক আধিপত্য বিস্তার করেই খেলতে থাকে মিলান। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি। ম্যাচের সপ্তম থেকে একাদশ মিনিটেই চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। দুইবার তো তারা একেবারে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়েছে। মূলত স্বাগতিক গোলরক্ষক আন্দ্রেয়া কনসিগলির অবিশ্বাস্য তিনটি সেভে জাল রক্ষা করে তারা।

তবে মিলানকে খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি এ গোলরক্ষক। ১৭তম মিনিটেই পরাস্ত হয়েছেন। এ গোলের অবশ্য মূল অবদান লিয়াওর। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সময় নিয়ে জিরুকে কাটব্যাক করেন তিনি। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগলেও বল পেয়ে যান জিরু। দারুণ এক প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান এ ফরাসি।

এরপরও নিয়মিত আক্রমণ করতে থাকে দলটি। গোলরক্ষক বাধা হয়ে দাঁড়ান বারবার। তবে ৩২তম মিনিটে সেই জিরুই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবারও সেই একই ঢঙ্গে গোল। বাঁ প্রান্ত থেকে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জিরুকে কাটব্যাক করেন লিয়াও। দারুণ ফিনিশিংয়ে বাকি কাজ সারেন এ ফরাসি।

চার মিনিট পর আবার গোল। এবার কেসি। তবে জোগানদাতা সেই লিয়াও। এবার ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে কাটব্যাক করেন এ পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান কেসি।

প্রথমার্ধের মতো অবশ্য দাপট দ্বিতীয়ার্ধে দেখাতে পারেনি মিলান। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর গোলরক্ষকের দারুণ কিছু সেভে প্রথমার্ধের ফলাফলই হয় ম্যাচ শেষের ফলাফল। এদিন ১২টি সেভ করেন সাসসুওলো গোলরক্ষক কনসিগলি। অবশ্য ৮২তম মিনিটে আঘাত এয়ে মাঠ ছাড়েন এ গোলরক্ষক।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

১১ বছর পর চ্যাম্পিয়ন মিলান

প্রকাশিত সময় ০৪:৪৮:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
১১ বছর পর ফের স্কুদেত্তো জয়ের হাতছানি। কোনো মতে হার এড়াতে পারলেই চ্যাম্পিয়ন। তবে কেবল হার এড়িয়ে নয়, এসি মিলান জিতল রাজকীয় ঢঙেই। প্রতিপক্ষ সাসসুওলোকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে তারা। দুর্দান্ত এক জয় দিয়েই শিরোপা উল্লাসে মাতে রোজোনেরিরা।

স্বতঃকণ্ঠ স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:৩৪ রাত, ২৩ মে ২০২২

রোববার সিরিআর শেষ রাউন্ডের ম্যাচে সাসসুওলোর মাঠে স্বাগতিকদের ৩-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়েছে মিলান। দলের হয়ে জোড়া গোল করেছেন ফরাসি স্ট্রাইকার অলিভার জিরু। অপর গোলটি করেছেন ফ্রাঙ্ক কেসি। তিনটি গোলেরই জোগান দিয়েছেন পর্তুগিজ মিডফিল্ডার রাফায়েল লিয়াও।

সবশেষে ২০১০-১১ মৌসুমে স্কুদেত্তো জিতেছিল মিলান। একই সঙ্গে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার মিলানের সঙ্গে শিরোপা সংখ্যার ব্যবধানও কমালো দলটি। সিরিআয় এ দুই দলের শিরোপা সংখ্যা এখন ১৯টি করে। সর্বাধিক ৩৬টি শিরোপা নিয়ে সবার উপরে রয়েছে জুভেন্টাস।

শিরোপা লড়াইয়ের আসরের শেষ দিনে মাঠে নেমেছিল দুই মিলান। তবে ইন্টার মিলানের চেয়ে ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে ছিল এসি মিলান। হেড টু হেডেও এগিয়ে। তাই সাসসুওলোর সঙ্গে কেবল ড্র করলেই চলতি তাদের। কিন্তু বড় জয়েই কাজটা সাড়ে মিলান। অন্যদিকে তাদের সমান ৩-০ গোলের জয় নিয়েও তাই রানার্স আপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় নেরারুজ্জিদের।

লিগের ৩৮ রাউন্ড শেষে চ্যাম্পিয়ন মিলানের সংগ্রহ ৮৬ পয়েন্ট। ৮৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় হয় ইন্টার। গত মৌসুমে টানা নয় বছর রাজত্ব করা জুভেন্টাসের দাপট থামিয়েছিল এই দলটিই। আর সেই জুভেন্টাস এবার ৭০ পয়েন্ট নিয়ে হয়েছে চতুর্থ। তৃতীয় স্থানে থাকা নাপোলির পয়েন্ট ৭৯।

এদিন ম্যাচে প্রায় একক আধিপত্য বিস্তার করেই খেলতে থাকে মিলান। শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে দলটি। ম্যাচের সপ্তম থেকে একাদশ মিনিটেই চার গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারতো তারা। দুইবার তো তারা একেবারে গোললাইন থেকে বল ফিরিয়েছে। মূলত স্বাগতিক গোলরক্ষক আন্দ্রেয়া কনসিগলির অবিশ্বাস্য তিনটি সেভে জাল রক্ষা করে তারা।

তবে মিলানকে খুব বেশিক্ষণ আটকে রাখতে পারেননি এ গোলরক্ষক। ১৭তম মিনিটেই পরাস্ত হয়েছেন। এ গোলের অবশ্য মূল অবদান লিয়াওর। সতীর্থের কাছ থেকে বল পেয়ে ডি-বক্সে ঢুকে সময় নিয়ে জিরুকে কাটব্যাক করেন তিনি। প্রতিপক্ষ এক খেলোয়াড়ের পায়ে লাগলেও বল পেয়ে যান জিরু। দারুণ এক প্লেসিং শটে বল জালে পাঠান এ ফরাসি।

এরপরও নিয়মিত আক্রমণ করতে থাকে দলটি। গোলরক্ষক বাধা হয়ে দাঁড়ান বারবার। তবে ৩২তম মিনিটে সেই জিরুই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। এবারও সেই একই ঢঙ্গে গোল। বাঁ প্রান্ত থেকে দুই খেলোয়াড়কে কাটিয়ে জিরুকে কাটব্যাক করেন লিয়াও। দারুণ ফিনিশিংয়ে বাকি কাজ সারেন এ ফরাসি।

চার মিনিট পর আবার গোল। এবার কেসি। তবে জোগানদাতা সেই লিয়াও। এবার ডান প্রান্ত থেকে সতীর্থের বাড়ানো বল ধরে ডি-বক্সে কাটব্যাক করেন এ পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। নিখুঁত শটে বল জালে পাঠান কেসি।

প্রথমার্ধের মতো অবশ্য দাপট দ্বিতীয়ার্ধে দেখাতে পারেনি মিলান। দারুণ কিছু সুযোগ তৈরি হলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা আর গোলরক্ষকের দারুণ কিছু সেভে প্রথমার্ধের ফলাফলই হয় ম্যাচ শেষের ফলাফল। এদিন ১২টি সেভ করেন সাসসুওলো গোলরক্ষক কনসিগলি। অবশ্য ৮২তম মিনিটে আঘাত এয়ে মাঠ ছাড়েন এ গোলরক্ষক।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ