ঢাকা ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ায় ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
  • / 81

সাঁথিয়া পাইলট উচ্চবিদ্যালয়

সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা। ছবি: ফজলুল হক

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, ২৫ মে ২০২২

পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ ও সহকারী শিক্ষক বাবুল পালের বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীরা সাঁথিয়া উপজেলা সড়ক অবরোধসহ দুই শিক্ষকের অপসারণ বিচারের দাবীতে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে থেকে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন বিজয় কুমার দেবনাথ ও সহকারী শিক্ষক বাবুল পাল। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮শ’৫০জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা প্রশারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মে ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সম্প্রতি ১০ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় গত ১৭ মে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।

বিষয়টি কয়েক দিন হয়ে গেলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শিক্ষাথীরা গত শনিবার সকালে ওই দুই শিক্ষকের অপসারণ ও পদচ্যুতির দাবি তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। মিছিলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জামাল – অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের। মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রত্যেহার করে। পরে এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ক্যামেরার সামনে কথা না বলে সরে পড়েন।

ইউএনও বললেন, আমি ব্যানার ছিনিয়ে নেইনি
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এস এম জামাল অহমেদ এর সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পাঁচ সদস্য’র তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না। সব মিলিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বলেছি তারা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি কিছু লোক অন্যভাবে নিচ্ছে। আমি মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নেইনি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরাতে ব্যানারটি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের সঠিক বিচারের দাবি করেন সাঁথিয়ার সুশীল সমাজও।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

সাঁথিয়ায় ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত সময় ০৪:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ মে ২০২২
সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, পাবনা। ছবি: ফজলুল হক

পাবনা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:৩৮ অপরাহ্ন, ২৫ মে ২০২২

পাবনার সাঁথিয়া সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিজয় কুমার দেবনাথ ও সহকারী শিক্ষক বাবুল পালের বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ছাত্র-ছাত্রীরা সাঁথিয়া উপজেলা সড়ক অবরোধসহ দুই শিক্ষকের অপসারণ বিচারের দাবীতে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে থেকে সরকারি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন বিজয় কুমার দেবনাথ ও সহকারী শিক্ষক বাবুল পাল। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৮শ’৫০জন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিদ্যালয়টি এই অঞ্চলের শিক্ষা প্রশারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও বর্তমান প্রধান শিক্ষকের সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মে ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব চরম ভাবে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।

সম্প্রতি ১০ম শ্রেনীর এক শিক্ষার্থী ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনায় গত ১৭ মে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেয়।

বিষয়টি কয়েক দিন হয়ে গেলেও কোন প্রতিকার না পেয়ে শিক্ষাথীরা গত শনিবার সকালে ওই দুই শিক্ষকের অপসারণ ও পদচ্যুতির দাবি তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধ করে। মিছিলটি উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাছে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম জামাল – অভিযোগ ছাত্র-ছাত্রীদের। মিছিল থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ভিডিও ফুটেজ গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।

এ ঘটনায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন এবং ওই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন প্রকাশের আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ প্রত্যেহার করে। পরে এ বিষয়ে সরেজমিনে গিয়ে বিদ্যালয়ের ছাত্রীকে আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের কাছে জানতে চাইলে দুজনই অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং ক্যামেরার সামনে কথা না বলে সরে পড়েন।

ইউএনও বললেন, আমি ব্যানার ছিনিয়ে নেইনি
এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার, এস এম জামাল অহমেদ এর সাথে সাক্ষাতে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে পাঁচ সদস্য’র তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আমি ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি না। সব মিলিয়ে আমি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের কাছে বলেছি তারা খুব স্বল্প সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। আর ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে ব্যানার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনাটি কিছু লোক অন্যভাবে নিচ্ছে। আমি মিছিলের ব্যানার ছিনিয়ে নেইনি। তবে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা কার্যক্রমে ফিরাতে ব্যানারটি নিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

ছাত্রীকে কুরুচিপূর্ণ আপত্তিকর প্রস্তাব দেওয়ার ঘটনার দ্রুত তদন্ত করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকের সঠিক বিচারের দাবি করেন সাঁথিয়ার সুশীল সমাজও।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ