রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ
- প্রকাশিত সময় ০৯:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ মে ২০২২
- / 93
বাঘা(রাজশাহী)প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘায় আক্তার রহমান সাংবাদিক পরিচয়ে আব্দুল কুদ্দুস সরকার নামের এক ঠিকাদারের কাছে পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবীর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বাদী হয়ে শুক্রবার (২৭ মে) রাতে ও-ই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,আক্তার রহমান নামের একটা ব্যাক্তি বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিশিষ্ট ঠিকাদার আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর কাছে ঠিকাদারি কাজে নানান অনিয়মের কথা বলে ২৬ মে দুপুর আনুমানিক দুইটার সময় পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
দাবীকৃত টাকা না দিলে সংবাদ প্রকাশ করে আব্দুল কুদ্দুস সরকার এর মানহানি করবে বলে হুমকিও দেয় ওই সাংবাদিক। অভিযোগে ঠিকাদার আরও উল্লেখ করেন, অতীতেও এই চাঁদাবাজ ও হলুদ সাংবাদিক ঠিকাদার সহ বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির সময় উত্তর মিলিক বাঘা গ্রামের কুদ্দুস সরকারের ছেলে সেলিম ও আজিজের ছেলে কামরুল উপস্থিত ছিল।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আব্দুল কুদ্দুস সরকার গত ২২ বছর যাবৎ বাঘা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও একটানা ১৪ বছর প্যানেল মেয়র ও পরে পর ২ বার ভারপ্রাপ্ত মেয়র ছিলেন আওয়ামীলীগের এই নেতা।
কুদ্দুস সরকার একাধারে একজন ব্যাবসায়ী ও সমাজ সেবক তিনি আহমোদপুরে আঃ কুদ্দুস সরকার এতিম খানা ও মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার নামে ১০ কাঠা জমি ওয়ার্ফ করেন তিনি। অযুখানাসহ মসজিদ ও মাদ্রাসা নির্মাণ করেন নিজ অর্থায়নে।
বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার বলেন, আমি ঠিকাদারি ব্যবসা করি। আমার একটি সাইডে রাস্তা প্রসস্তের কাজ চলছে। যা আমি সিডিউল অনুসারে করছি। হঠাৎ আক্তার রহমান সেখানে গিয়ে ছবি তোলা সহ আমার কাজে নিয়জিত শ্রমিকদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
আমি বিষয়টি যানার পর তার সাথে ফোনে কথা বলি। সে সরাসরি দেখা করে বিস্তারিত কথা বলতে চাই। দুপুর আনুমানিক আড়াই টার দিকে সে আমার সাথে দেখা করতে আমার পুরাতন বাড়ির কাছে আসে এবং কাজের বিভিন্ন ভুল ত্রুটির কথা উল্লেখ করে বলে অনেক বড় কাজ ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে তাকে।
কি কারণে টাকা দিতে হবে জানতে চাইলে আক্তার বলে, আমি নিউজ করলে মানহানিতো হবেই সেই সাথে কাজেও অনেক ঝামেলা হবে। আমি টাকা দিতে রাজি না হওয়াতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা নিউজ প্রকাশ করে। আমি এ-ই মানহানীকর মিথ্যা সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। আমরা ব্যবসায়ীরা এমন হলুদ সাংবাদিক এর বিচার চাই।
তিনি আরো বলেন, পুঁজি খাটিয়ে বৈধ উপায়ে ব্যবসা করেও চাঁদা দিতে হবে তাদের। বাঘা মেডিকেলের ঠিকাদারের থেকেও চাঁদা নিয়েছে এমন একটি অডিও শুনেছিলাম ফেসবুকে।
কোথাও কোন ঘটনা না জেনে না বুঝে ক্যামেরা বের করে ছবি তুলে পরে চাঁদা দাবি করে এমন অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে এই আক্তার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে। একজন শিক্ষিত মানুষ যে এতো খারাপ হতে পারে তাকে না দেখলে বুঝায় যায়না।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আক্তার রহমানের ক্যামেরাম্যান প্রিন্স একজন মাদকসেবি। সে সাংবাদিক পরিচয় ধারণ করে বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মাদক নিয়ে সেবন করে (কিছুদিন আগে ইয়াবা সেবনের ভিডিও রয়েছে সংরক্ষণে)। এ বিষয়ে জানতে একাধিক বার আক্তার রহমানের মুঠোফোনে কল দিলে তা বার বার বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।