আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত
- প্রকাশিত সময় ১২:০৮:৪০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
- / 137
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৫৮ রাত, ২৮ মে ২০২২
একুশের অমর গানের রচয়িতা আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্ত্রী সেলিমা আফরোজ চৌধুরীর কবরের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়।
আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে তার মরদেহ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। এরপর সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়।
এর আগে সকালে বিমানবন্দরে আনুষ্ঠানিকভাবে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ গ্রহণ করেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ কে এম মোজাম্মেল হক।
ভাষা আন্দোলনে অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে পরবর্তীতে বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে সক্রিয়ভাবে অংশ নেওয়া গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য তার মরদেহ বিকেল ৩টা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়।
বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের টেনিস গ্রাউন্ডে তার জানাজা সম্পন্ন হয়। সেখানে সাংবাদিকরা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে গাফ্ফার চৌধুরীর মরদেহ দাফন করা হয়।
গত ১৯ মে ৮৮ বছর বয়সে লন্ডনের একটি হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই স্বনামধন্য লেখক, সাংবাদিক ও গীতিকার।
পরের দিন ২০ মে লন্ডনের ব্রিক লেন মসজিদে তার প্রথম নমাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এরপর সেখানে বসবাসরত বাঙালি ও ভক্ত-অনুরাগীরা তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
১৯৭৪ সাল থেকে লন্ডনে বসবাস করলেও মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে গাফ্ফার চৌধুরীর কলম সোচ্চার ছিল বরাবর। প্রবাসে থেকেও ঢাকার পত্রিকাগুলোয় তিনি রাজনৈতিক ধারাভাষ্যের পাশাপাশি সমকালীন নানান বিষয়ে লিখে গেছেন। রচনা করেছেন কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, স্মৃতিকথা ও প্রবন্ধ।
বিশেষ করে, গত শতকের আশির দশকজুড়ে স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের আমলে গাফ্ফার চৌধুরীর লেখা কলাম দেশের সব রাজনীতি-সচেতন পাঠকের কাছে ভীষণ জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
এভাবেই বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, সংস্কৃতি ও রাজনৈতিক বুদ্ধিজীবী পরিমণ্ডলে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক পরিচিত নাম।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শ্রদ্ধা
বিএনপির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে: জাফরুল্লাহ চৌধুরী
একুশের গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’র রচয়িতা বরেণ্য সাংবাদিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনে যায়নি বিএনপি। তাদের এই না যাওয়ার মধ্য দিয়ে দলটির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
সদ্য প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। আজ শনিবার বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দল, মত, সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
সেখানে হুইলচেয়ারে করে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কিন্তু তাঁর শেষ যাত্রায় সব দলের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে না, বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন। জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো যখন এসব গুণীজনেরা জীবিত থাকেন, তখন আমরা তাঁদের মাথায় তুলে রাখি না। মানুষের দোষ–গুণ আছে। কিন্তু উনি বিরাট সাংবাদিক, আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে তাঁর বিখ্যাত গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”। তাঁর মতো গুণী ব্যক্তিকে তাঁর জীবিতকালে যথাযোগ্য সাহায্য ও সম্মান দিইনি। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
তখন আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপিকে দেখা যায়নি, তারা এলে কি ভালো হতো, নাকি তারা ভুল করেছে? জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি যদি না এসে থাকে, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। গাফ্ফার চৌধুরী কেবল আওয়ামী লীগের না, সবার। আমার মতে, বিএনপির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে।’
সদ্য প্রয়াত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের আয়োজন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। আজ শনিবার বেলা একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানান বিভিন্ন দল, মত, সংগঠনসহ নানা শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ।
সেখানে হুইলচেয়ারে করে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এক সাংবাদিক তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, কিন্তু তাঁর শেষ যাত্রায় সব দলের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে না, বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন। জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘জাতির সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য হলো যখন এসব গুণীজনেরা জীবিত থাকেন, তখন আমরা তাঁদের মাথায় তুলে রাখি না। মানুষের দোষ–গুণ আছে। কিন্তু উনি বিরাট সাংবাদিক, আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে তাঁর বিখ্যাত গান “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি”। তাঁর মতো গুণী ব্যক্তিকে তাঁর জীবিতকালে যথাযোগ্য সাহায্য ও সম্মান দিইনি। এটি জাতির জন্য দুর্ভাগ্যজনক।’
তখন আরেকজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বিএনপিকে দেখা যায়নি, তারা এলে কি ভালো হতো, নাকি তারা ভুল করেছে? জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি যদি না এসে থাকে, এটি খুবই দুর্ভাগ্যজনক। গাফ্ফার চৌধুরী কেবল আওয়ামী লীগের না, সবার। আমার মতে, বিএনপির চিন্তার মধ্যে দীনতা প্রকাশ পেয়েছে।’
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর চলে যাওয়া!
গত বৃহস্পতিবার ভোরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে একটি হাসপাতালে মারা যান আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দাফনের জন্য আজ বেলা ১১টার দিকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে তাঁর মরদেহ বাংলাদেশে আনা হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বিকেলে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।
আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৪ সালের ১২ ডিসেম্বর, বরিশালের উলানিয়া গ্রামে চৌধুরী বাড়িতে। স্বাধীনতাযুদ্ধে মুজিবনগর সরকারের মাধ্যমে নিবন্ধিত স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা সাপ্তাহিক ‘জয় বাংলা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক ছিলেন তিনি। আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীকে একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারে ভূষিত করে বাংলাদেশ সরকার। এ ছাড়া সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমি পুরস্কার, ইউনেসকো পুরস্কার, বঙ্গবন্ধু পুরস্কার, মানিক মিয়া পদকসহ বিভিন্ন পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেমে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের ২৩তম আসর অনুষ্ঠিত
ফুলবাড়ীতে ফ্যান মেরামতের সময় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে কৃষকের মৃত্যু
বিরামপুরে নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালিত
ইভটিজিংয়ের অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়েছে ছাত্রলীগ : ছাত্রদল বলছে অভিযোগ ভিত্তিহীন!
ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়নজুড়েই এখন মাদকের স্বর্গরাজ্য
ফুলবাড়ীতে পৌর কাউন্সিলর মাজেদুর রহমানের বিরুদ্ধে মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
তরুণ-তরুণীদের প্রতিবাদ ‘অহিংস অগ্নিযাত্রা’
সলঙ্গা থানা মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
আটরিয়া উপজেলা, পৌর মহিলা আ. লীগ ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত
খালেদা জিয়াকে আবার কারাগারে পাঠানোর কথা ভাবা হচ্ছে: তথ্যমন্ত্রী