ঢাকা ১১:০২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় ২ জন কারাগারে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
  • / 75
ভাঙ্গুড়া: গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা (বামে) ও শাহাদত হোসেন।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ২৯ মে ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকদের মারধর ও অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯মে) সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ তাঁদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাদারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাসুদ রানা ছোটন (২৮) ও আব্দুল হামিদের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩২)। দুজনই ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুর সর্মথক।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতেই খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগে জানা যায়,শনিবার সকালে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন আন্ত:প্রাথমিক বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুকে দাওয়াত না করায় তাঁর নির্দেশে তাঁর ক্যাডার বাহিনী সন্ত্রাস সৃষ্টি ও হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের মারধর এবং অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় শনিবার রাতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খাঁন মিঠু বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করা হয়েছিল। আমি গিয়ে দেখি মঞ্চে শিক্ষকরা বসে আছেন। আমাকে এক কোনায় বসতে দেয়া হয়। এভাবে সেখানে আমাকে অপমান করা হয়েছে। তারপর আমি অনুষ্ঠান থেকে চলে এসে বিষয়টি ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কোনো হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বরং তারা আমাকে অপমান ও হেয় করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এই মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করেছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাহিদ হাসান খান বলেন, শিক্ষকেদের এমন একটি লিখিত অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যায় পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যেহেতু এটি ফৌজদারি অপরাধ, সে কারণে পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখবে।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, শিক্ষকদের মারধরের মামলায় শনিবার রাতেই দুইজনকে আটক করে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকদের মারধরের ঘটনায় ২ জন কারাগারে

প্রকাশিত সময় ০৩:৪৪:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ মে ২০২২
ভাঙ্গুড়া: গ্রেফতারকৃত মাসুদ রানা (বামে) ও শাহাদত হোসেন।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, ২৯ মে ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় শিক্ষকদের মারধর ও অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুরের ঘটনায় দুজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। রোববার (২৯মে) সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ভাঙ্গুড়া থানার পুলিশ তাঁদের নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মাদারবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জব্বারের ছেলে মাসুদ রানা ছোটন (২৮) ও আব্দুল হামিদের ছেলে শাহাদাত হোসেন (৩২)। দুজনই ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুর সর্মথক।

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, মারধরের ঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বাদী হয়ে শনিবার রাতেই খানমরিচ ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার খান মিঠুসহ ৯ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার পরই অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রোববার সকালে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষকদের লিখিত অভিযোগে জানা যায়,শনিবার সকালে উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়ন আন্ত:প্রাথমিক বিদ্যালয় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠুকে দাওয়াত না করায় তাঁর নির্দেশে তাঁর ক্যাডার বাহিনী সন্ত্রাস সৃষ্টি ও হামলা চালিয়ে শিক্ষকদের মারধর এবং অনুষ্ঠানের মঞ্চ ভাঙচুর করে। পরে ভুক্তভোগী শিক্ষকেরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় শনিবার রাতে লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন খাঁন মিঠু বলেন, অভিযোগ সঠিক নয়। সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। অনুষ্ঠানে আমাকে দাওয়াত করা হয়েছিল। আমি গিয়ে দেখি মঞ্চে শিক্ষকরা বসে আছেন। আমাকে এক কোনায় বসতে দেয়া হয়। এভাবে সেখানে আমাকে অপমান করা হয়েছে। তারপর আমি অনুষ্ঠান থেকে চলে এসে বিষয়টি ইউএনও, শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। কোনো হামলা, ভাঙচুর বা মারধরের ঘটনা ঘটেনি। বরং তারা আমাকে অপমান ও হেয় করার ঘটনা ধামাচাপা দিতে এই মিথ্যা ঘটনার সৃষ্টি করেছেন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া ইউএনও নাহিদ হাসান খান বলেন, শিক্ষকেদের এমন একটি লিখিত অভিযোগ শনিবার সন্ধ্যায় পেয়েছি। তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর যেহেতু এটি ফৌজদারি অপরাধ, সে কারণে পুলিশ প্রশাসনও বিষয়টি দেখবে।

এবিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, শিক্ষকদের মারধরের মামলায় শনিবার রাতেই দুইজনকে আটক করে রবিবার সকালে আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ