ঢাকা ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করাই কুদ্দুস সরকারের কাজ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২
  • / 47

রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করাই কুদ্দুস সরকারের কাজ

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিককে দেওয়া হয় মামলা, করা হয় হামলা।

প্রতিবাদের নামে করা হয় মানববন্ধন। সম্প্রতি বাঘা উপজেলায় নিম্ন মানের কাজের  সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন তিনি। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারিতে দুজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তিনি মানববন্ধন করেন।

এক কথায় তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি তার সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে মানববন্ধন করেন বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি মামলা হামলাসহ মানববন্ধনের নামে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছেন।

কে এই আঃ কুদ্দুস সরকারঃ তিনি ২০০১ সাল থেকে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং ১ নং ও ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

সেই সুবাদে প্রভাব বিস্তার করে তিনি নানা অনিয়ম দুর্নীতি মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার সেই অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করে রোষানলের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক আখতার, লালন, নুরুজ্জামান।

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ২০২০ সালে জানুয়ারিতে আঃ কুদ্দুসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক  নুরুজ্জামান ও লালন। সংবাদ প্রকাশের পর তাদের হত্যার হুমকি দেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকার। সেই হুমকির কারণে থানায় জিডি করেন লালন ও নুরুজ্জামান।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তিনি। একই ভাবে গত ২৬ মে কুদ্দুসের রাস্তা প্রসস্ত কাজের অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক আখতার। এরপর সাংবাদিকে আখতারকে হুমকি দেন কুদ্দুস সরকার।

এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন সাংবাদিক আখতার। জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয় কুদ্দুস সরকার। পরে তিনি তার সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে ২৯ মে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পূর্বে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে কথা বললে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকার বলেন, সাংবাদিকরা সব চাঁদাবাজ। যে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবে তার বিরুদ্ধেই মামলা ও মানববন্ধন করবো।

আমার কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি নেই। যারা আমার সম্মানহানি করছে তাদের আমি ছাড়বো না। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কটূক্তি করে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে সাংবাদিক আখতার বলেন, আমি তার ঠিকাদারি নিম্নমানের কাজের সংবাদ প্রকাশ করায় সে থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে।

তিনি অভিযোগে যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন সে সময় আমি ভায়ালক্ষীপুরে সংবাদ সংগ্রহে ছিলাম। আঃ কুদ্দুস সরকার একজন দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার। তার পূর্বের সকল কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে। কাজও হয়েছে নিম্নমানের।

আর সেই সকল বিষয়ে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি সাংবাদিককে হুমকি ধামকি ও হামলা মামলাসহ মানববন্ধন করেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ

রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিকের কণ্ঠরোধ করাই কুদ্দুস সরকারের কাজ

প্রকাশিত সময় ০৭:০৩:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ মে ২০২২

রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করলেই সাংবাদিককে দেওয়া হয় মামলা, করা হয় হামলা।

প্রতিবাদের নামে করা হয় মানববন্ধন। সম্প্রতি বাঘা উপজেলায় নিম্ন মানের কাজের  সংবাদ প্রকাশ হলে সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন তিনি। এর আগে ২০২০ সালের ২৬ জানুয়ারিতে দুজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে তিনি মানববন্ধন করেন।

এক কথায় তার বিরুদ্ধে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি তার সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে মানববন্ধন করেন বলে অভিযোগ স্থানীয় সাংবাদিকদের।

স্থানীয় সাংবাদিকরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হলে তিনি মামলা হামলাসহ মানববন্ধনের নামে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধের চেষ্টা করছেন।

কে এই আঃ কুদ্দুস সরকারঃ তিনি ২০০১ সাল থেকে বাঘা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং ১ নং ও ৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

সেই সুবাদে প্রভাব বিস্তার করে তিনি নানা অনিয়ম দুর্নীতি মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা। তার সেই অনিয়ম দুর্নীতি সংবাদ প্রকাশ করে রোষানলের শিকার হয়েছেন সাংবাদিক আখতার, লালন, নুরুজ্জামান।

ঘটনার প্রেক্ষাপটে জানা যায়, ২০২০ সালে জানুয়ারিতে আঃ কুদ্দুসের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক  নুরুজ্জামান ও লালন। সংবাদ প্রকাশের পর তাদের হত্যার হুমকি দেন পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকার। সেই হুমকির কারণে থানায় জিডি করেন লালন ও নুরুজ্জামান।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেন তিনি। একই ভাবে গত ২৬ মে কুদ্দুসের রাস্তা প্রসস্ত কাজের অনিয়ম ও নিম্নমানের কাজ নিয়ে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করেন সাংবাদিক আখতার। এরপর সাংবাদিকে আখতারকে হুমকি দেন কুদ্দুস সরকার।

এ ঘটনায় থানায় জিডি করেন সাংবাদিক আখতার। জিডি করায় ক্ষিপ্ত হয় কুদ্দুস সরকার। পরে তিনি তার সমর্থিত কিছু লোক নিয়ে ২৯ মে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনের পূর্বে তিনি থানায় লিখিত অভিযোগ দেন।

এ বিষয়ে কথা বললে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আঃ কুদ্দুস সরকার বলেন, সাংবাদিকরা সব চাঁদাবাজ। যে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করবে তার বিরুদ্ধেই মামলা ও মানববন্ধন করবো।

আমার কাজে কোন অনিয়ম দুর্নীতি নেই। যারা আমার সম্মানহানি করছে তাদের আমি ছাড়বো না। এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে কটূক্তি করে ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে সাংবাদিক আখতার বলেন, আমি তার ঠিকাদারি নিম্নমানের কাজের সংবাদ প্রকাশ করায় সে থানায় মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগ দিয়েছে।

তিনি অভিযোগে যে সময়ের কথা উল্লেখ করেছেন সে সময় আমি ভায়ালক্ষীপুরে সংবাদ সংগ্রহে ছিলাম। আঃ কুদ্দুস সরকার একজন দুর্নীতিবাজ ঠিকাদার। তার পূর্বের সকল কাজে অনিয়ম ও দূর্নীতি হয়েছে। কাজও হয়েছে নিম্নমানের।

আর সেই সকল বিষয়ে সাংবাদিক সংবাদ প্রকাশ করলেই তিনি সাংবাদিককে হুমকি ধামকি ও হামলা মামলাসহ মানববন্ধন করেন। আমি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীর বাঘায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ