ঢাকা ০৮:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রাস্তার উপর ঝুকিপূর্ণ সেতু, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে দাশুড়িয়া-আটঘরিয়া রাস্তা সংস্কারের কাজ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
  • / 121
সেতু, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তার সংস্কার কাজ। ছবি: সৌরভ দেবনাথ

ঈশ্বরদী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২৮ ,৪ জুন ২০২২

রাস্তার উপর ঝুকিপূর্ণ সেতু, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তার সংস্কারের কাজ – এমনই ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া হেডকোয়াটার হতে আটঘরিয়া হেডকোয়াটার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক মেরামত কাজে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার কাজ চলা রাস্তার ৭ কি.মি. দৈর্ঘ্যের মধ্যে রয়েছে ৪টি সেতু। প্রত্যেকটির প্রস্থ ১০ ফুটের বেশি হবে না। কিন্তু রাস্তার প্রস্থ বর্তমানে বৃদ্ধি করে ১৮ ফুট করা হচ্ছে। যার ফলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ৪ টি সেতুর মধ্যে আবার ১ টি সম্পূর্ণ অকেজো অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া দাশুড়িয়া থেকে শুরু করে দরগা বাজার পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বিশাল বিশাল গাছ রেখেই কাজ চালাচ্ছে ঠিকাদার। গাছগুলো থাকায় রাস্তা অনেকটাই সরু হয়েছে ঐ সকল জায়গাতে। গাছের কারণে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্খা রয়েছে।

Dasuria-Atghoria Road-1

ছবি-২

 
সুলতানপুর এলাকার সুমন বিশ্বাস জানান, এই রাস্তায় ১ টি সেতু রয়েছে যা কোন প্রয়োজনই নেই। এই সেতু দিয়ে কোন পানি চলাচল করেনা। এটা থাকলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সেতুর প্রস্থ ১০ ফিট আর বর্তমান রাস্তার প্রস্থ ১৮ ফিট। এই সেতুটা তুলে ফেলা উচিত এবং অন্য ৩টি সেতু দ্রুত প্রস্থ বৃদ্ধি করে নতুন ভাবে বানানো দরকার।

Dasuria-Atghoria Road-2

ছবি-৩

 
একই এলাকার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুলতানপুর পাকার মাথা থেকে দরগাবাজার হাট পর্যন্ত মোট ৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খাম্বা রয়েছে যা রাস্তার মাঝে পড়েছে এবং ঐ সকল পোলে ৪২০ ভোল্টের সংযোগ রয়েছে। খাম্বা গুলো রাস্তার মাঝে পড়ায় যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বৈদ্যুতিক লাইন স্থানান্তর করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা করছে না। এই পোল গুলো না সরিয়ে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছে।

Dasuria-Atghoria Road-3

ছবি-৪

 
বৈদ্যুতিক খুটি স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যাুৎ সমিতির দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদার বা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেন নাই। এটা আমাদের বিষয় না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা এলজিইড কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা শুধু স্টেমেট করে দেব। পোল সরানোর দায়িত্ব ঠিকাদারের।

এ ব্যাপারে এলজিইডি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, বৈত্যুতিক খুটি ও সেতু সড়ানোর বিষয়ে কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গাছের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেওয়া হবে।

Dasuria-Atghoria Road-4

ছবি-৫

 
উল্লেখ্য, সাত কোটি তিয়াত্তর লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার বায়াত্তর টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া জিসিএম হতে আটঘরিয়া উপজেলা হেডকোয়াটা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাবনার মেসার্স জিনাত আলী জিন্নাহ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সড়কটি মেরামত ও সড়কের পার্শ্ব প্রসস্তার জন্য সরকারী প্রকল্পের আওতায় ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ টাকা বরাদ্ধ দেয়।

গত জুলাই মাসে কাজ শুরুর প্রথম থেকে নিম্নমানের খোয়া, নামমাত্র রোলার করা, রাস্তার সাইডে মাটি না ফেলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

 
 

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

রাস্তার উপর ঝুকিপূর্ণ সেতু, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে দাশুড়িয়া-আটঘরিয়া রাস্তা সংস্কারের কাজ

প্রকাশিত সময় ০৫:৫৮:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জুন ২০২২
সেতু, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তার সংস্কার কাজ। ছবি: সৌরভ দেবনাথ

ঈশ্বরদী সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৫:২৮ ,৪ জুন ২০২২

রাস্তার উপর ঝুকিপূর্ণ সেতু, গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই চলছে রাস্তার সংস্কারের কাজ – এমনই ঘটনা ঘটেছে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া হেডকোয়াটার হতে আটঘরিয়া হেডকোয়াটার পর্যন্ত সংযোগ সড়ক মেরামত কাজে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সংস্কার কাজ চলা রাস্তার ৭ কি.মি. দৈর্ঘ্যের মধ্যে রয়েছে ৪টি সেতু। প্রত্যেকটির প্রস্থ ১০ ফুটের বেশি হবে না। কিন্তু রাস্তার প্রস্থ বর্তমানে বৃদ্ধি করে ১৮ ফুট করা হচ্ছে। যার ফলে যে কোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। ৪ টি সেতুর মধ্যে আবার ১ টি সম্পূর্ণ অকেজো অবস্থায় রয়েছে। তাছাড়া দাশুড়িয়া থেকে শুরু করে দরগা বাজার পর্যন্ত রাস্তার মধ্যে বিশাল বিশাল গাছ রেখেই কাজ চালাচ্ছে ঠিকাদার। গাছগুলো থাকায় রাস্তা অনেকটাই সরু হয়েছে ঐ সকল জায়গাতে। গাছের কারণে দূর্ঘটনা ঘটার আশঙ্খা রয়েছে।

Dasuria-Atghoria Road-1

ছবি-২

 
সুলতানপুর এলাকার সুমন বিশ্বাস জানান, এই রাস্তায় ১ টি সেতু রয়েছে যা কোন প্রয়োজনই নেই। এই সেতু দিয়ে কোন পানি চলাচল করেনা। এটা থাকলে যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। এই সেতুর প্রস্থ ১০ ফিট আর বর্তমান রাস্তার প্রস্থ ১৮ ফিট। এই সেতুটা তুলে ফেলা উচিত এবং অন্য ৩টি সেতু দ্রুত প্রস্থ বৃদ্ধি করে নতুন ভাবে বানানো দরকার।

Dasuria-Atghoria Road-2

ছবি-৩

 
একই এলাকার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, সুলতানপুর পাকার মাথা থেকে দরগাবাজার হাট পর্যন্ত মোট ৬ টি ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক খাম্বা রয়েছে যা রাস্তার মাঝে পড়েছে এবং ঐ সকল পোলে ৪২০ ভোল্টের সংযোগ রয়েছে। খাম্বা গুলো রাস্তার মাঝে পড়ায় যে কোন সময় দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। বৈদ্যুতিক লাইন স্থানান্তর করার কথা থাকলেও ঠিকাদার তা করছে না। এই পোল গুলো না সরিয়ে ঠিকাদার রাস্তার কাজ করছে।

Dasuria-Atghoria Road-3

ছবি-৪

 
বৈদ্যুতিক খুটি স্থানান্তরের বিষয়ে জানতে চাইলে পাবনা পল্লী বিদ্যাুৎ সমিতির দাশুড়িয়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদার বা এলজিইডি কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ করেন নাই। এটা আমাদের বিষয় না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বা এলজিইড কর্তৃপক্ষ আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা শুধু স্টেমেট করে দেব। পোল সরানোর দায়িত্ব ঠিকাদারের।

এ ব্যাপারে এলজিইডি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী এনামুল কবির জানান, বৈত্যুতিক খুটি ও সেতু সড়ানোর বিষয়ে কোন বরাদ্দ নেই। বরাদ্দ আসলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। গাছের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান এ বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেওয়া হবে।

Dasuria-Atghoria Road-4

ছবি-৫

 
উল্লেখ্য, সাত কোটি তিয়াত্তর লক্ষ বিয়াল্লিশ হাজার বায়াত্তর টাকা ব্যয়ে ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া জিসিএম হতে আটঘরিয়া উপজেলা হেডকোয়াটা পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে দায়িত্ব পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পাবনার মেসার্স জিনাত আলী জিন্নাহ কনস্ট্রাকশন লিমিটেড। সড়কটি মেরামত ও সড়কের পার্শ্ব প্রসস্তার জন্য সরকারী প্রকল্পের আওতায় ৭ কোটি ৭৩ লাখ ৪২ হাজার ৭২ টাকা বরাদ্ধ দেয়।

গত জুলাই মাসে কাজ শুরুর প্রথম থেকে নিম্নমানের খোয়া, নামমাত্র রোলার করা, রাস্তার সাইডে মাটি না ফেলা সহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে।

 
 

 

 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ