ঢাকা ০৪:৪১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সাঁথিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-২

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২
  • / 56

সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ সাঁথিয়া উপজেলাধীন নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদের চাচাতো ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এসময় চেয়ারম্যানের আপন ভাই জুয়েল রানা(৩৫)আহত অবস্থায় সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর সদরের ছোট পুটিপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাত ৯টায়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

গ্রামের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ও পুটিপাড়া গ্রামের আবু সাইদকে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায়, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ গ্রুপের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান গ্রুপের দ্বদ্ব চলছিলো।

এ ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে এক দল দৃর্বৃত্ত সাবেক চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আঃ মতিন (৫৫) ও আপন ভাই জুয়েল রানা (৩৫) এর ওপর হামলা করে। এসময় দুর্বৃত্তরা মতিনকে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। জুয়েল রানা দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। মতিন উপজেলার ছোট পুটিপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধিন থাকা জুয়েল রানা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মতিন ভাইয়ের সাথে আমি পৌর সভার ফেঁচুয়ান গ্রামে দাওয়াত খেতে যাই। বাড়ি ফেরার পথে ছোট পুুটিপাড়া নদীর ডাইকে এলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা আমার উপর হামলা চালায়।

এসময় চাচাতো ভাই মতিন আমাকে বাঁচাতে এলে তাকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আত্মরক্ষায় দৌঁড়িয়ে ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচি। পরে
স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ বাদী হয়ে ১৮জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রবিবার দুপুরে প্রধান আসামী নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

হাফিজুর রহমান হাফিজ গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল।

রবিবার সকালে সরেজমিনে নিহত মতিনের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী চার সন্তানের জননী জানান, আমার স্বামীকে চেয়ারম্যান হাফিজের লোকজন হত্যা করেছে। আমি
স্বামী হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এদিকে হত্যার পর থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। লুটপাট ও হামলার আশংকায় গ্রামটির মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এবিষয়ে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।

আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এ হত্যার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথ জানান, লাশ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার চর তারাপুরে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

পাবনার সাঁথিয়ায় সাবেক চেয়ারম্যানের ভাইকে কুপিয়ে হত্যা, ইউপি চেয়ারম্যানসহ গ্রেপ্তার-২

প্রকাশিত সময় ০৯:৪৬:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ সাঁথিয়া উপজেলাধীন নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদের চাচাতো ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

এসময় চেয়ারম্যানের আপন ভাই জুয়েল রানা(৩৫)আহত অবস্থায় সাঁথিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার পৌর সদরের ছোট পুটিপাড়া গ্রামে গত শনিবার রাত ৯টায়। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

গ্রামের মোড়ে মোড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে। নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ও পুটিপাড়া গ্রামের আবু সাইদকে আটক করেছে পুলিশ।

জানাযায়, স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদ গ্রুপের সাথে বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান গ্রুপের দ্বদ্ব চলছিলো।

এ ঘটনার সূত্র ধরে শনিবার রাত ৯টার দিকে এক দল দৃর্বৃত্ত সাবেক চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আঃ মতিন (৫৫) ও আপন ভাই জুয়েল রানা (৩৫) এর ওপর হামলা করে। এসময় দুর্বৃত্তরা মতিনকে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে। জুয়েল রানা দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করে। মতিন উপজেলার ছোট পুটিপাড়া গ্রামের মৃত মহির উদ্দীনের ছেলে।

সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসাধিন থাকা জুয়েল রানা জানান, শনিবার সন্ধ্যায় মতিন ভাইয়ের সাথে আমি পৌর সভার ফেঁচুয়ান গ্রামে দাওয়াত খেতে যাই। বাড়ি ফেরার পথে ছোট পুুটিপাড়া নদীর ডাইকে এলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা আমার উপর হামলা চালায়।

এসময় চাচাতো ভাই মতিন আমাকে বাঁচাতে এলে তাকে উপর্যুপরি ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। আমি আত্মরক্ষায় দৌঁড়িয়ে ইছামতি নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচি। পরে
স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

এ বিষয়ে সাবেক চেয়ারম্যান হারুনর রশিদ বাদী হয়ে ১৮জন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর রবিবার দুপুরে প্রধান আসামী নাগডেমরা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে থানা পুলিশ।

হাফিজুর রহমান হাফিজ গত ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হারুন-অর রশিদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে বিজয়ী হন। এর পর থেকে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল।

রবিবার সকালে সরেজমিনে নিহত মতিনের বাড়িতে গেলে তার স্ত্রী চার সন্তানের জননী জানান, আমার স্বামীকে চেয়ারম্যান হাফিজের লোকজন হত্যা করেছে। আমি
স্বামী হত্যার সুষ্ঠ বিচার চাই।

এদিকে হত্যার পর থেকেই থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। লুটপাট ও হামলার আশংকায় গ্রামটির মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।

এবিষয়ে নাগডেমরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জন্য আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে প্রতিপক্ষরা।

আমি চেয়ারম্যান হিসেবে এ হত্যার সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিচার চাই। সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) কমল কুমার দেবনাথ জানান, লাশ উদ্ধার করে পাবনা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যানসহ দুইজনকে আটক করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ পাবনার চর তারাপুরে অপরিকল্পিত বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন