ঢাকা ০৩:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ে অসহায় : মনিরুজ্জামান মনির

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
  • / 106

পোষ্য সোসাইটি

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, ৮ জুন ২০২২

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ে অসহায় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।

আজ ৮ জুন (বুধবার) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, গত ছয় মাসেও নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে গঠিত কমিটি নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করতে পারেনি। নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করেই জনবল নিয়োগে একের পর এক সাকুর্লার প্রকাশ করছে। অন্যদিকে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগে ২৩ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের মতামতের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ চিঠি প্রদান করে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় “বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০” অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে নিয়োগ কমিটি/বাছাই কমিটি কতৃর্ক সুপারিশকৃত না হলে পোষ্য বা অন্য কোন কোটায় কোন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার বিধিগত সুযোগ নেই। অথচ রেলওয়ে মহাপরিচালক মহোদয় তার মতামতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছেন “বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্তব্যরত অবস্থায় কোন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পোষ্যকে চাকরি দেবার বিধান আছে। সরাসরি নিয়োগের সাথে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত কর্মচারী পোষ্যকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে। শুধুমাত্র কর্তব্যরত অবস্থায় রেলের কোন কর্মচারী মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সহায়তার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেবার ব্যবস্থা করা হয়। এটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ হতে ভিন্ন। উক্ত নিয়োগ পৃথক কমিটি দ্বারা করা হয়।”

তিনি বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এই অযোক্তিক চিঠি রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। দ্রুত নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্থায়ী জনবল নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের দাসত্ব প্রথা চালুর প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চক্র সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার এবং রেলওয়ে ৩য়—৪র্থ শ্রেনীর শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী কোন চক্র এসব করছে। রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার হরণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ড রেলওয়ের শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যরা নীতিগতভাবে কখনোই মেনে নেবে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু চক্রের নিকট বাংলাদেশ রেলওয়ে আজ অসহায় হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি অবিলম্বে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় দায়িত্বরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের রেলওয়েতে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ, দ্রুত নিয়োগ বিধিমালা ২০২২ সংশোধন ও আউটসোর্সিং এর নামে রেলওয়েকে ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ে অসহায় : মনিরুজ্জামান মনির

প্রকাশিত সময় ০৬:০৩:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জুন ২০২২
বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটি

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:৫৯ অপরাহ্ন, ৮ জুন ২০২২

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে বাংলাদেশ রেলওয়ে অসহায় বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির কেন্দ্রীয় সভাপতি মোঃ মনিরুজ্জামান মনির।

আজ ৮ জুন (বুধবার) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন তিনি।

বিজ্ঞপ্তিতে মনিরুজ্জামান মনির বলেন, গত ছয় মাসেও নিয়োগ বিধিমালা ২০২০ সংশোধনে গঠিত কমিটি নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন করতে পারেনি। নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন না করেই জনবল নিয়োগে একের পর এক সাকুর্লার প্রকাশ করছে। অন্যদিকে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যকে সরাসরি নিয়োগে ২৩ জানুয়ারি ২০২২ বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের মতামতের বিরুদ্ধে রেলপথ মন্ত্রণলায় ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ চিঠি প্রদান করে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয় “বাংলাদেশ রেলওয়ে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মচারি নিয়োগ বিধিমালা, ২০২০” অনুযায়ী সরাসরি নিয়োগযোগ্য পদে নিয়োগ কমিটি/বাছাই কমিটি কতৃর্ক সুপারিশকৃত না হলে পোষ্য বা অন্য কোন কোটায় কোন কর্মচারীকে নিয়োগ দেয়ার বিধিগত সুযোগ নেই। অথচ রেলওয়ে মহাপরিচালক মহোদয় তার মতামতে পরিস্কারভাবে উল্লেখ করেছেন “বাংলাদেশ রেলওয়েতে কর্তব্যরত অবস্থায় কোন কর্মচারী মৃত্যুবরণ করলে তার পোষ্যকে চাকরি দেবার বিধান আছে। সরাসরি নিয়োগের সাথে কর্তব্যরত অবস্থায় মৃত কর্মচারী পোষ্যকে নিয়োগের ক্ষেত্রে পার্থক্য আছে। শুধুমাত্র কর্তব্যরত অবস্থায় রেলের কোন কর্মচারী মারা গেলে তাঁর পরিবারকে সহায়তার জন্য তার পরিবারের সদস্যদের চাকরি দেবার ব্যবস্থা করা হয়। এটা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সরাসরি নিয়োগ হতে ভিন্ন। উক্ত নিয়োগ পৃথক কমিটি দ্বারা করা হয়।”

তিনি বলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এই অযোক্তিক চিঠি রেলওয়ে শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের মনে ব্যাপক ক্ষোভের সঞ্চার করেছে। দ্রুত নিয়োগ বিধি সংশোধন করে স্থায়ী জনবল নিয়োগের উদ্যোগ গ্রহণ না করে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে জনবল নিয়োগের দাসত্ব প্রথা চালুর প্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়েতে ঘাপটি মেরে বসে থাকা চক্র সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন করার এবং রেলওয়ে ৩য়—৪র্থ শ্রেনীর শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারী কোন চক্র এসব করছে। রেলওয়ে কর্মচারী ও পোষ্যদের অধিকার হরণে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকান্ড রেলওয়ের শ্রমিক—কর্মচারী ও পোষ্যরা নীতিগতভাবে কখনোই মেনে নেবে না। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু চক্রের নিকট বাংলাদেশ রেলওয়ে আজ অসহায় হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পোষ্য সোসাইটির সভাপতি অবিলম্বে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এ চিঠি প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় দায়িত্বরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী কর্মচারীর পোষ্যদের রেলওয়েতে যোগ্যতা অনুযায়ী নিয়োগ, দ্রুত নিয়োগ বিধিমালা ২০২২ সংশোধন ও আউটসোর্সিং এর নামে রেলওয়েকে ধ্বংসের চক্রান্ত বন্ধের দাবি জানান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ