ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী ব্ল্যাক পাড়ায় মাদকের ভয়াবহতা, ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১০:৩০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
  • / 92
বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ।

নিজেস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩০ রাত, ১২ জুন ২০২২

ঈশ্বরদী উপজেলার ব্ল্যাক পাড়ায় মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাই, চুরি সহ নানারকম অপরাধ।

উপজেলার রেলওয়ে এলাকা, ব্ল্যাক পাড়া, স্কুল পাড়া, ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পিছনে সহ উপজেলার সর্বত্র। বিভিন্ন গ্রাম এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ফলে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা ও সহজে আমদানি করতে পারাই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তরি হচ্ছে।

জানা যায়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা বরকী বাবুর স্ত্রী থানায় তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট বলে খ্যাত রয়েছে। বরকী বাবু, বরকী বাবুর ছেলে সহ একই এলাকার জনৈক দুই যুবক মাদক কারবারি খ্যাত। ঐ এলাকার মধ্যে সব থেকে মাদক বেচা বিক্রি একাধিক পয়েন্ট রয়েছে।

এগুলো হলো: হিরন পাড়া, ব্ল্যাক পাড়া মোড়, ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পিছনে নুরু মিয়ার বাড়ি ও বিহারী পাড়ার নেকলেস আরমান সহ এসব এলাকায় নতুন ও পুরাতন মাদক কারবারিদের আখড়া হওয়াতে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন অলিগলিতে যুবকেরা মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবন করছে এইসব মাদক।

একাধিক সুত্র জানায়, মাদক বিক্রি করার জন্য মহিলারা ছদ্মবেশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন।

ঈশ্বরদী থানার সাবেক ওসি আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে কয়েকদিনের মধ্যে বেশকিছু মাদক জব্দ করা হলেও বর্তমানে এর ভয়াবহতা অনেকাংশে ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

সচেতন মহল বলছে মাদকের গড ফাদারেরা ধরাছোঁয়া বাইরে থেকেই যায় বলেই মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে মাদক নির্মূল অভিযানে থাকা ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাদকের সর্বাত্মক আগ্রাসনের শিকারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঈশ্বরদী তিন জেলার মধ্য পয়েন্ট হওয়ায় এখানে মাদক বিক্রি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আশার কথা এই যে, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ও জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেছেন এবং সব বাহিনী মাদক নিমূর্লে একসঙ্গে কাজ করছে।

এই মাদক বিক্রির ভয়াবহতার বিরুদ্ধে এখনি সারাশী অভিমান প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

ঈশ্বরদী ব্ল্যাক পাড়ায় মাদকের ভয়াবহতা, ধ্বংস হচ্ছে যুব সমাজ

প্রকাশিত সময় ১০:৩০:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুন ২০২২
বিভিন্ন প্রকারের মাদকদ্রব্য। ছবি: স্বতঃকণ্ঠ।

নিজেস্ব প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১০:৩০ রাত, ১২ জুন ২০২২

ঈশ্বরদী উপজেলার ব্ল্যাক পাড়ায় মাদকের ছোবলে ধ্বংস হচ্ছে যুবসমাজ, বাড়ছে ছিনতাই, চুরি সহ নানারকম অপরাধ।

উপজেলার রেলওয়ে এলাকা, ব্ল্যাক পাড়া, স্কুল পাড়া, ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পিছনে সহ উপজেলার সর্বত্র। বিভিন্ন গ্রাম এখন মাদকের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। ফলে ধর্ষণ, যৌন হয়রানি, চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

এসমস্ত মাদক ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফা ও সহজে আমদানি করতে পারাই রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছে রূপান্তরি হচ্ছে।

জানা যায়, রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকা বরকী বাবুর স্ত্রী থানায় তালিকা ভুক্ত মাদক সম্রাট বলে খ্যাত রয়েছে। বরকী বাবু, বরকী বাবুর ছেলে সহ একই এলাকার জনৈক দুই যুবক মাদক কারবারি খ্যাত। ঐ এলাকার মধ্যে সব থেকে মাদক বেচা বিক্রি একাধিক পয়েন্ট রয়েছে।

এগুলো হলো: হিরন পাড়া, ব্ল্যাক পাড়া মোড়, ডায়াবেটিকস হাসপাতালের পিছনে নুরু মিয়ার বাড়ি ও বিহারী পাড়ার নেকলেস আরমান সহ এসব এলাকায় নতুন ও পুরাতন মাদক কারবারিদের আখড়া হওয়াতে ঈশ্বরদীর বিভিন্ন অলিগলিতে যুবকেরা মোটরসাইকেল রেখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সেবন করছে এইসব মাদক।

একাধিক সুত্র জানায়, মাদক বিক্রি করার জন্য মহিলারা ছদ্মবেশে রাস্তায় ঘোরাফেরা করেন।

ঈশ্বরদী থানার সাবেক ওসি আসাদুজ্জামান এর নেতৃত্বে কয়েকদিনের মধ্যে বেশকিছু মাদক জব্দ করা হলেও বর্তমানে এর ভয়াবহতা অনেকাংশে ব্যাপক বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে একাধিক সূত্রে জানা যায়।

সচেতন মহল বলছে মাদকের গড ফাদারেরা ধরাছোঁয়া বাইরে থেকেই যায় বলেই মাদক নির্মূল সম্ভব হচ্ছে না।

এ বিষয়ে মাদক নির্মূল অভিযানে থাকা ঈশ্বরদী আমবাগান পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রুহুল আমিন বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে মাদক কারবারিদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং হচ্ছে, মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের কোন ছাড় দেয়া হবে না।

বাংলাদেশ ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে মাদকের সর্বাত্মক আগ্রাসনের শিকারে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ঈশ্বরদী তিন জেলার মধ্য পয়েন্ট হওয়ায় এখানে মাদক বিক্রি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আশার কথা এই যে, বর্তমান সরকার মাদকের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ও জিরো টলারেন্সের নীতি গ্রহণ করেছেন এবং সব বাহিনী মাদক নিমূর্লে একসঙ্গে কাজ করছে।

এই মাদক বিক্রির ভয়াবহতার বিরুদ্ধে এখনি সারাশী অভিমান প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ