ঈশ্বরদী বাজারের মনির প্লাজার আমব্রেলা ব্র্যান্ডের ম্যানেজার রাজু আহমেদ(২৮) নামের এক যুবক অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সোমবার ১৩জুন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শেরশাহ রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা ভুক্তভোগী ঐ যুবককে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

জানা গেছে, রাজু আহমেদ ঈশ্বরদী বাজারে আমব্রেলা শোরুমের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত এবং শেরশাহ রোডের একটি বাসায় ভাড়া থাকেন। ঐ বাসায় আদুরি নামের একজন মহিলা কাজ করেন। রাজু আহমেদের সাথে তার বিশ্বস্থতা ও ভাল সম্পর্ক থাকায় নিজের ব্যাংক একাউন্টের টাকা উত্তোলন ও জমা তার হাত দিয়ে করে থাকেন বলে জানা গেছে।

গত দুইদিন আগে আদুরি বেগমের অনুমতিতেই ন্যাশনাল ব্যাংক ঈশ্বরদী শাখা থেকে এফডিআর এর ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা এবং আজ ৫ হাজার টাকা সর্বমোট ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করেন রাজু আহমেদ।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাজু আহমেদ জানান, টাকা উত্তোলনের পর একটি শপিং ব্যাগে করে ঈশ্বরদী রেলওয়ে বুকিং অফিসে যান তিনি। এরপর সেখান থেকে পায়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা দেন। এই সময় ফকিরের বটতলা পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর বুঝতে পারেন কেউ তার পেছন থেকে ঘাড়ের উপর হাত রেখেছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই অচেতন হয়ে যান তিনি। জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারেন ব্যাগের টাকা ছিনতাই হয়েছে। পরে স্থানীয়রা তাকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি আরো জানান, আদুরি বেগম একটি জমি কেনার জন্য তাকে টাকা উত্তোলন করতে বলেছিলেন।

আমব্রেলা ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী সিরাজুল ইসলাম কোহিনুর বলেন, রাজু তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত আছেন। সোমবার ব্যাংক থেকে টাকা তুলে হেঁটে হেঁটে বাসায় ফিরছিলেন, তখন এই ঘটনা ঘটে। তিনি দাবি করেন রাজুর কাছে থেকে তিন লক্ষ টাকা নিয়ে গেছে অজ্ঞান পার্টির সদস্যরা।

শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, রাজুকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। সেখানে চিকিৎসা দেওয়ার পর তার জ্ঞান ফিরে এসেছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন তিনি হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে একটু সময় লাগবে সুস্থ্য হতে।

এপ্রসঙ্গে জানতে চাইলে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, এই অজ্ঞান পার্টির সঙ্গে কারা জড়িত তাদের অনুসন্ধানে নেমেছে থানা পুলিশ।