ধর্ষণ সংক্রান্ত বিচারের দায়িত্ব আদালতের না স্থানীয় প্রভাবশালীদের?
- প্রকাশিত সময় ০১:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ জুন ২০২২
- / 104
বিশেষ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০১:৫২ অপরাহ্ন, ১৩ জুন ২০২২
ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে গত ৪ জুন ধর্ষণচেষ্টার শিকার হন এক যুবতি। ভুক্তভোগী পরিবার থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও ধর্ষণচেষ্টাকারীকে অর্থ জরিমানা করে বাঁচিয়ে দেন স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তিগণ।
ধর্ষণের চেষ্টাকারী মুলাডুলি ইউনিয়নের বেতবাড়িয়া(বাঁশখালি) গ্রামের আব্দুস সালাম সরদারের ছেলে মালেক সরদার(৩৫)।
ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা অবশ্যই ঘৃণিত অপরাধ গুলোর মধ্যে অন্যতম। ধর্ষককে সকলেই ঘৃণা করে। রাষ্ট্রও কঠোর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন প্রনয়ণ করেছে। এবং দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে এসকল অপরাধের বিচারকার্য সম্পন্ন হয়।
কিন্তু তারপরও এই জঘন্য অপরাধ বন্ধ না হয়ে উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে কেন?
কারন গুলোর মধ্যে সবথেকে বড় হল সকল ঘটনা বিচারের আওতায় না আসা। অনেক সময়ই ভুক্তভোগী পরিবার আত্মসন্মানবোধে আইনের শরণাপন্ন না হয়ে ঘটনা গোপন করেন অথবা স্থানীয় প্রভাশালী ব্যাক্তিগণ প্রভাব খাটিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেন।
কিন্তু সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং সামজিক নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য রাষ্ট্রের নিশ্চয় দায়বদ্ধতা আছে।
সরকার আত্মহত্যা, মাদক, যৌতুক, বাল্যবিবাহ নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে নানাবিধ প্রচার প্রচারণা করে থাকে।
অনুরূপ সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ধর্ষণের মত জঘন্য অপরাধ গুলোর ক্ষেত্রে পরিবার না চাইলেও রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ করা প্রয়োজন।
রাষ্টের বাল্যবিবাহ বন্ধের জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপের কারনে বাল্যবিবাহ অনেকটাই রোধ করা সম্ভব হয়েছে। অনুরূপভাবে যদি রাষ্ট্র ধর্ষণের ঘটনা গুলো আইনের আওতায় আনার জন্য সরাসরি হস্তক্ষেপ করে তাহলে বাল্যবিবাহের মত ধর্ষণের ঘটনাও হ্রাস পাবে বলে আশা করা যায়।
সম্প্রতি ঈশ্বরদী উপজেলার মুলাডুলি ইউনিয়নে ২৫ বছর বয়সী এক যুবতীকে মালেক সরদার(৩৫) ধর্ষণের চেষ্টা করে। সৌভাগ্যক্রমে যুবতীটি ধর্ষণ হওয়ার কবল থেকে রক্ষা পায়। পরে ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় একটি লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের হস্তক্ষেপে এই জঘন্য অপরাধের আপোষ মিমাংসা করা হয়। রাষ্ট্র কি প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গকে ধর্ষণ বা ধর্ষণ চেষ্টা সংক্রান্ত বিচার করার অধিকার দিয়েছে?
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ অনুযায়ী ধর্ষণ চেষ্টার সর্বোচ্চ শাস্তি হলো ১০ বছর অনুন্য ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অতিরিক্ত অর্থদন্ডেও দন্ডিত হবে।
কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ অপরাধীকে নির্দিষ্ট পরিমান একটি অর্থ জরিমানা করে আপোষ মিমাংসা করেন। এই বিচার করার অধিকার কি তাদের আইন দিয়েছে?
যদি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ এভাবে এত সহজে বিচার করতে পারেন তাহলে দেশে আইনবিভাগ, বিচারবিভাগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দরকার কি?
অপরদিকে, এমন গুরুতর জঘন্য অপরাধ করেও যদি অপরাধী এত সহজে ছাড় পেয়ে যায় তাহলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা অবশ্যই বৃদ্ধি পেতে বাধ্য।
ন্যায় বিচার ও সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সরকারি সকল বিভাগের হস্তক্ষেপ অত্যাবশকীয়। এবং এসকল ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনা বাঞ্ছনীয়।
অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়ে ৩ লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী রাজু আহমেদ বনপাড়া পৌরসভায় সাড়ে ৪৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা শাহজাদপুরে ৭শ পিচ ইয়াবা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার উল্লাপাড়ায় ব্যবসায়ীর উপর অর্তকিত হামলার ঘটনায় বিচার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ ভাঙ্গুড়ায় অপহরণের তিন দিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসা ছাত্রী ভারতে বিজেপির মুখাপত্র কর্তৃক রাসুল (সাঃ) সম্পর্কে কুরূচীপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে পাবনায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত অন্তরাকে মারধরের ঘটনায় থানা মামলা না নিয়ে জিডি হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগ নিষেধাজ্ঞার পর রাশিয়ার জ্বালানি থেকে আয় বেড়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকারোক্তি শার্শায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে যুবকের আত্মহত্যা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ থেকে বাদ পড়ল ভারত