ঢাকা ১০:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / 57

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে

টাঙ্গাইল(ভূঞাপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩০ অরপাহ্ন, ১৯ জুন ২০২২

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার (১৯ জুন) গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার পূর্ব পাড়ে প্রচুর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ী ও বসতভিটা। প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছেন উপজেলার

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়ার যমুনা তীরবর্তী লোকজন। গত কয়েক বছরের ভাঙনে ঘর-বাড়ি ও ফসলের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় প্রায় ৪’শ থেকে ৫’শ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘরবাড়ি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে পাকা আদাপাকা ঘরবাড়ি সহ অসংখ্য স্থাপনা।

গোবিন্দাসী ঘাট থেকেভালকুটিয়ার কিছু অংশ পর্যন্ত জিওব্যাগ ফেলা হলেও ভালকুটিয়ার কিছু অংশ এবং চিতুলিয়া পাড়ার প্রায় ৫’শ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এছাড়া যমুনা নদীর তীরবর্তী উপজেলার জিগাতলা গ্রামের বেশ কিছু অংশেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চাপে বর্ষার ভাঙনে ভালকুটিয়া গ্রামে কিছু জিওব্যাগ ফেলা হলেও চিতুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়ী থেকে আব্দুস সোবহানের বাড়ী পর্যন্ত কোন জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি।

যমুনা তীরবর্তী ভাঙন কবলিত চিতুলিয়া পাড়া  গ্রামের আলামিন বলেন, যমুনা নদীটি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক থেকে দেড় মাইল দূরে ছিল।

গত কয়েক বছর ধরে যমুনার ভাঙনে আমাদের ফসলের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন একমাত্র থাকার জায়গাটুকুও ভেঙে যাচ্ছে।

অতি দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে আমরা বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে আমাদের একটাই দাবি যমুনা পূর্ব পাড়ে অতি দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ দেয়া হোক।

চিতুলিয়া পাড়া গ্রামের জবেদা বেগম বলেন, আমার বাড়ি থেকে নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে নদীর কিনারে এসে পরেছি। যেকোন সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি।

এখন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেলে আমাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকবে না। পরিবার পরিজন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তার পাশে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তিনি আরো বলেন,

আমরা দীর্ঘদিন ধরে যমুনার পূর্ব পাড়ে একটি স্থায়ী বাঁধের দাবি করে আসছি। বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করেছি কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।

বর্ষা আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলা হলেও সেগুলো সহ ফসলের জমি, ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, খাবার চাই না যমুনা পূর্বপাড়ে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা পূর্ব পাড়ের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিছু কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

পরিবেশ অনুকূলে আসলে যমুনা পূর্বপাড়ে আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এভাবে পানি অব্যাহত থাকলে জেলায় বড় ধরনের একটি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ









 আরও পড়ুনঃ

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি বৃদ্ধিতে তীব্র ভাঙনের দেখা দিয়েছে

প্রকাশিত সময় ০৬:৪৪:১৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

টাঙ্গাইল(ভূঞাপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৬:৩০ অরপাহ্ন, ১৯ জুন ২০২২

উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও ভারী বর্ষণে টাঙ্গাইলে যমুনা নদীর পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। রবিবার (১৯ জুন) গত ২৪ ঘন্টায় যমুনা নদীর পানি ১৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ১১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ড।

এদিকে গত কয়েক দিনে পানি বৃদ্ধির ফলে যমুনার পূর্ব পাড়ে প্রচুর ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙনে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘর-বাড়ী ও বসতভিটা। প্রতি বছর নদী ভাঙনের শিকার হচ্ছেন উপজেলার

গোবিন্দাসী ইউনিয়নের খানুরবাড়ি, কষ্টাপাড়া, ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়ার যমুনা তীরবর্তী লোকজন। গত কয়েক বছরের ভাঙনে ঘর-বাড়ি ও ফসলের জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে শত শত পরিবার।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের যমুনা তীরবর্তী ভালকুটিয়া ও চিতুলিয়া পাড়া এলাকায় প্রায় ৪’শ থেকে ৫’শ মিটার জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে।

ইতিমধ্যে কয়েকটি ঘরবাড়ি ও বসতভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকিতে রয়েছে পাকা আদাপাকা ঘরবাড়ি সহ অসংখ্য স্থাপনা।

গোবিন্দাসী ঘাট থেকেভালকুটিয়ার কিছু অংশ পর্যন্ত জিওব্যাগ ফেলা হলেও ভালকুটিয়ার কিছু অংশ এবং চিতুলিয়া পাড়ার প্রায় ৫’শ মিটার এলাকায় ভাঙন রোধে এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

এছাড়া যমুনা নদীর তীরবর্তী উপজেলার জিগাতলা গ্রামের বেশ কিছু অংশেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের চাপে বর্ষার ভাঙনে ভালকুটিয়া গ্রামে কিছু জিওব্যাগ ফেলা হলেও চিতুলিয়া গ্রামের আব্দুল খালেকের বাড়ী থেকে আব্দুস সোবহানের বাড়ী পর্যন্ত কোন জিও ব্যাগ ফেলা হয়নি।

যমুনা তীরবর্তী ভাঙন কবলিত চিতুলিয়া পাড়া  গ্রামের আলামিন বলেন, যমুনা নদীটি আমাদের বাড়ি থেকে প্রায় এক থেকে দেড় মাইল দূরে ছিল।

গত কয়েক বছর ধরে যমুনার ভাঙনে আমাদের ফসলের জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন একমাত্র থাকার জায়গাটুকুও ভেঙে যাচ্ছে।

অতি দ্রুত ভাঙন রোধে কাজ না করলে আমরা বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে যাবো। পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের কাছে আমাদের একটাই দাবি যমুনা পূর্ব পাড়ে অতি দ্রুত একটি স্থায়ী বাঁধ দেয়া হোক।

চিতুলিয়া পাড়া গ্রামের জবেদা বেগম বলেন, আমার বাড়ি থেকে নদী অনেক দূরে ছিল। ভাঙতে ভাঙতে নদীর কিনারে এসে পরেছি। যেকোন সময় নদীতে বিলীন হয়ে যাবে ঘরবাড়ি।

এখন ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেলে আমাদের যাওয়ার আর কোন জায়গা থাকবে না। পরিবার পরিজন নিয়ে নিঃস্ব হয়ে রাস্তার পাশে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে। তিনি আরো বলেন,

আমরা দীর্ঘদিন ধরে যমুনার পূর্ব পাড়ে একটি স্থায়ী বাঁধের দাবি করে আসছি। বিভিন্ন সময় মানববন্ধন করেছি কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি।

বর্ষা আসলে পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে জিওব্যাগ ফেলা হলেও সেগুলো সহ ফসলের জমি, ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কাছে আমাদের একটাই দাবি, খাবার চাই না যমুনা পূর্বপাড়ে একটি স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হোক।

এবিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ইতিমধ্যে আমরা ভূঞাপুর উপজেলার যমুনা পূর্ব পাড়ের ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছি। কিছু কিছু জায়গায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।

পরিবেশ অনুকূলে আসলে যমুনা পূর্বপাড়ে আড়াই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, যমুনা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  এভাবে পানি অব্যাহত থাকলে জেলায় বড় ধরনের একটি বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।

আরও পড়ুনঃ









 আরও পড়ুনঃ