ঢাকা ১০:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় উৎকোচ না পেয়ে সহকারি শিক্ষককে পেটালেন প্রধান শিক্ষক!

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২
  • / 65

ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বিএসসি


ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ন, ১৯ জুন ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উৎকোচের (ঘুষ) টাকা না পেয়ে দেওয়ায় দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৫৬) (বিএসসি) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান । রবিবার (১৯ জুন) সকালে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়েনের দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় এলাকা জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দুই মাস পূর্বে সহকারি শিক্ষকদের টাইমস্কেলের রেজুলেশনের জন্য দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এগারো জন শিক্ষক-কর্মচারি আবেদন করেন ।

এরপর প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিস খরচ বাবদ জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ দাবি করেন। কিন্তু সহকারি শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের ওই অনৈতিক দাবি পুরণ না করায় প্রধান শিক্ষক টাইমস্কেলের ফাইলের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি। প্রায় দুমাস অতিবাহিত হলে গত রবিবার সকালে বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে তার কারণ জানতে চান।

তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, অফিস খরচ হিসেবে দুই হাজার টাকা করে চেয়েছিলাম কেউ দেয়নি তাই স্বাক্ষর করা হয় নি। তবে এখন যদি পনর শ টাকা করে সবাই দেয় তাহলে সাক্ষর করে দেব।

তখন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন ঘুষ দিতে পারবো না। টাইমস্কেল আমাদের অধিকার। আপনি কেন তা আমাদের দিবেন না।

এমন অবস্থায় এক সময় তারা দুজনেই বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। এর এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলূর রহমান উত্তেজিত হয়ে কাঠের চেয়ার দিয়ে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন, এতে রফিকুল ইসলামের কপাল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, তাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উগ্রমেজাজী লোক, তাই তিনি মাঝে মাঝেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কেউ কিছু বলতে পারি না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে চাকরিলাভের অভিযোগে মামলা চলমান
সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ২০১৯ সালের ফ্রেরুয়ারিতে দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় দশ লাখ টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগ দান করেন। সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ দাবি করে সে সময় বিদ্যালয় কমিটি থেকে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা করা হয় যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, এবিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে তার (প্রধান শিক্ষকের) কথা বলার মানষিকতা নাই। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।

এব্যপারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ছবি বলেন, প্রধান ও সহকারি শিক্ষকের এমন ঘৃন্য আচরণে তিনি মর্মাহত। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা’ উল্লেখ করে বলেন, ফোনে বিষয়টি শুনেছি।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

ভাঙ্গুড়ায় উৎকোচ না পেয়ে সহকারি শিক্ষককে পেটালেন প্রধান শিক্ষক!

প্রকাশিত সময় ১১:২৭:০০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জুন ২০২২

ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের আহত শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, বিএসসি


ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:২৭ অপরাহ্ন, ১৯ জুন ২০২২

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় উৎকোচের (ঘুষ) টাকা না পেয়ে দেওয়ায় দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রফিকুল ইসলাম (৫৬) (বিএসসি) কে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান । রবিবার (১৯ জুন) সকালে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার মন্ডতোষ ইউনিয়েনের দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বিদ্যালয় এলাকা জুড়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ অভিভাবকদের মধ্যে হতাশা ও চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রায় দুই মাস পূর্বে সহকারি শিক্ষকদের টাইমস্কেলের রেজুলেশনের জন্য দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের এগারো জন শিক্ষক-কর্মচারি আবেদন করেন ।

এরপর প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নির্দেশনা চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অফিস খরচ বাবদ জনপ্রতি দুই হাজার টাকা করে উৎকোচ দাবি করেন। কিন্তু সহকারি শিক্ষকগণ প্রধান শিক্ষকের ওই অনৈতিক দাবি পুরণ না করায় প্রধান শিক্ষক টাইমস্কেলের ফাইলের বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেন নি। প্রায় দুমাস অতিবাহিত হলে গত রবিবার সকালে বিএসসি শিক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রধান শিক্ষকের কক্ষে গিয়ে তার কারণ জানতে চান।

তখন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, অফিস খরচ হিসেবে দুই হাজার টাকা করে চেয়েছিলাম কেউ দেয়নি তাই স্বাক্ষর করা হয় নি। তবে এখন যদি পনর শ টাকা করে সবাই দেয় তাহলে সাক্ষর করে দেব।

তখন শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কোন ঘুষ দিতে পারবো না। টাইমস্কেল আমাদের অধিকার। আপনি কেন তা আমাদের দিবেন না।

এমন অবস্থায় এক সময় তারা দুজনেই বাক-বিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। এর এক পর্যায়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলূর রহমান উত্তেজিত হয়ে কাঠের চেয়ার দিয়ে শিক্ষক রফিকুল ইসলামের মাথায় আঘাত করেন, এতে রফিকুল ইসলামের কপাল কেটে রক্তাক্ত জখম হয়। পরে অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে ভাঙ্গুড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বলেন, তাদের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক উগ্রমেজাজী লোক, তাই তিনি মাঝে মাঝেই শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। প্রধান শিক্ষক প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা কেউ কিছু বলতে পারি না।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ দিয়ে চাকরিলাভের অভিযোগে মামলা চলমান
সূত্র জানায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান ২০১৯ সালের ফ্রেরুয়ারিতে দহ পাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় দশ লাখ টাকার বিনিময়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসাবে যোগ দান করেন। সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ অবৈধ দাবি করে সে সময় বিদ্যালয় কমিটি থেকে তার বিরুদ্ধে একটা মামলা করা হয় যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে।

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুর রহমান বলেন, এবিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে তার (প্রধান শিক্ষকের) কথা বলার মানষিকতা নাই। বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলব।

এব্যপারে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জাকির হোসেন ছবি বলেন, প্রধান ও সহকারি শিক্ষকের এমন ঘৃন্য আচরণে তিনি মর্মাহত। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সকলকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম ‘অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা’ উল্লেখ করে বলেন, ফোনে বিষয়টি শুনেছি।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ