ঢাকা ০৮:৪৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএ পাবনার সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে দুদকের ৪টি মামলা দায়ের

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:০৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • / 87

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ন, ২০ জুন ২০২২

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএর সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

গতকাল রোববার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে এই ৪টি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০১, ০৮,১৭ ও ১৮)। দুদকের সহকারী পরিচালক ও বাদী এই মামলা তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।

১ নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার তেঘরি কাটারবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. আকবর আলী (ছদ্ম নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম)।

দুদক সুত্র জানায়, মো. আকবর আলী ১৯৮৩ সালে মো. জাহাঙ্গীর আলম নাম ধারণ করে তৎকালীন বিডিআর-এর সিপাহী পদে চাকুরি নেয়। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের কোনাগাতি গ্রামে। ১৯৮৩ সালে দু’জন বিডিআর-এর সিপাহী পদে চাকুরির জন্য লাইনে দাঁড়ান। জাহাঙ্গীর আলম টিকলেও আকবর আলী অকৃতকার্য হন। পরে জাহাঙ্গীর আলম চাকুরিতে যোগ না দিলে আকবর আলী তার নাম ব্যবহার করে চাকুরি নেন।

৮ নং মামলার আসামীরা হলেন, পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও একই অফিসের অফিস সহায়ক বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া গ্রামের মৃত নঈমুদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম।

তারা দু’জন বেড়া উপজেলার পৌর ভূমি অফিসে কর্মকালীন সময়ে যোগসাজশ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভুমি উন্নয়ন করের যথাক্রমে ৫৯ হাজার টাকা ও ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।

১৭ নং মামলার আসামী হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফিরোজা খাতুন। তিনি ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সরকারের ১৪ লক্ষ ৯৬৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

১৮ নং মামলার আসামী পটুয়াখালী বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের মৃত আছাব আলী সরকারের ছেলে। দুদক জানায়, ১১ জুলাই ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বাইরের ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকা অসদুপায়ে তিনি অর্জন করেন।

মামলার বাদী পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বার্তা সংস্থা পিপ-কে বলেন, মামলাগুলি দুদক নিজেই তদন্ত করবে। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ সব মামলার অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মেলায় দুদক মামলা করেছে।

৮ মামলার অভিযুক্ত পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়ারা ইউনিয়নের সহকারী ভুমি উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এর আগে দুদক ডেকেছিল আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। আমাদের কোন দোষ নেই।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা হবে। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএ পাবনার সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে দুদকের ৪টি মামলা দায়ের

প্রকাশিত সময় ০৪:০৭:১২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:২৩ অপরাহ্ন, ২০ জুন ২০২২

প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিআরটিএর সহকারী পরিচালকসহ ৫ জনের নামে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।

গতকাল রোববার বিকেলে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বাদী হয়ে এই ৪টি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং ০১, ০৮,১৭ ও ১৮)। দুদকের সহকারী পরিচালক ও বাদী এই মামলা তদন্ত করবেন বলে জানা গেছে।

১ নং মামলার আসামী হলেন, সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালী উপজেলার তেঘরি কাটারবাড়ী গ্রামের জসিম উদ্দিন মন্ডলের ছেলে মো. আকবর আলী (ছদ্ম নাম মো. জাহাঙ্গীর আলম)।

দুদক সুত্র জানায়, মো. আকবর আলী ১৯৮৩ সালে মো. জাহাঙ্গীর আলম নাম ধারণ করে তৎকালীন বিডিআর-এর সিপাহী পদে চাকুরি নেয়। জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ী সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার পোড়াবাড়ী ইউনিয়নের কোনাগাতি গ্রামে। ১৯৮৩ সালে দু’জন বিডিআর-এর সিপাহী পদে চাকুরির জন্য লাইনে দাঁড়ান। জাহাঙ্গীর আলম টিকলেও আকবর আলী অকৃতকার্য হন। পরে জাহাঙ্গীর আলম চাকুরিতে যোগ না দিলে আকবর আলী তার নাম ব্যবহার করে চাকুরি নেন।

৮ নং মামলার আসামীরা হলেন, পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলকার মৃত আব্দুল কাদেরের ছেলে পাবনা সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুস সালাম ও একই অফিসের অফিস সহায়ক বেড়া উপজেলার মাসুমদিয়া গ্রামের মৃত নঈমুদ্দিনের ছেলে কামরুল ইসলাম।

তারা দু’জন বেড়া উপজেলার পৌর ভূমি অফিসে কর্মকালীন সময়ে যোগসাজশ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ভুমি উন্নয়ন করের যথাক্রমে ৫৯ হাজার টাকা ও ৪৯ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।

১৭ নং মামলার আসামী হলেন সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার চয়ড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিভাগের সহকারী শিক্ষক মোছা. ফিরোজা খাতুন। তিনি ২০০৫ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কম্পিউটার প্রশিক্ষণের ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়ে চাকুরি গ্রহণ করে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বেতন ভাতা বাবদ সরকারের ১৪ লক্ষ ৯৬৫০ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

১৮ নং মামলার আসামী পটুয়াখালী বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জলিল মিয়া। তিনি পাবনা জেলার ফরিদপুর উপজেলার বেরহাউলিয়া গ্রামের মৃত আছাব আলী সরকারের ছেলে। দুদক জানায়, ১১ জুলাই ১৯৮৯ সাল থেকে ২০২১ সালের ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বাইরের ২৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ৩৩৬ টাকা অসদুপায়ে তিনি অর্জন করেন।

মামলার বাদী পাবনা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সুত্রধর বার্তা সংস্থা পিপ-কে বলেন, মামলাগুলি দুদক নিজেই তদন্ত করবে। দীর্ঘ অনুসন্ধান শেষে এ সব মামলার অভিযোগের প্রাথমিকভাবে সত্যতা মেলায় দুদক মামলা করেছে।

৮ মামলার অভিযুক্ত পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ও ভাড়ারা ইউনিয়নের সহকারী ভুমি উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুস সালামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি অবহিত নন। এর আগে দুদক ডেকেছিল আমরা আমাদের বক্তব্য তাদের বলেছি। আমাদের কোন দোষ নেই।

দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত পাবনা জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. খায়রুল হক বলেন, এ বিষয়ে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা হবে। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ