ঢাকা ০৯:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

স্কুলে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে জরিমানা আদায়!

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২
  • / 60

পাবনায় অস্বচ্ছল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সততা সংঘের পুরুস্কার ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ন, ২২ জুন ২০২২

পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুমদিয়া-ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিন অনুপস্থিতির জন্য ২০টাকা জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

অভিভাবকদের বক্তব্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ‘মনগড়া’ অনুপস্থিতি দেখানো হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আদায় করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক।

তবে প্রধান শিক্ষকের দাবী শিক্ষার্থীদের স্কুলে শতভাগ উপস্থিতির জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া আর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন এটা কোন সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়ে না। স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখা হাজারখানেক।

অভিভাবকদের অভিযোগ, অসুস্থতা বা অন্য যে কোন কারণে কোনো শিক্ষার্থী একদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে পরের দিন ২০ টাকা জরিমানা দিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হয়।

কেউ জরিমানার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে পরের দিনও তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের নাম, রোল ও শ্রেণি লিখে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় এবং হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার সময় জরিমানা আদায় করা হয়।

এভাবে প্রতি মাসে গড়ে ৮-১০ হাজার টাকা আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত পাঁচ মাসে এভাবে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখিয়ে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। এই জরিমানার টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত দুই দিন আগে এক অবিভাবকের সঙ্গে এক শিক্ষকের ধস্থাধস্থির ঘটনাও ঘটেছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকেই অনুপস্থিত ও দেরিতে আসা শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখিয়ে দৈনিক ২০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

ভুঁইয়াপাড়া গ্রামের একজন অভিভাবক বলেন, তার ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। গত মাসে তার পারিবারিক সমস্যার কারণে ছেলে এক সপ্তাহ স্কুলে যেতে পারেনি। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফি ও স্কুলের বেতনের সাথে অতিরিক্ত ১২০ টাকা জরিমানা পরিশোধের পরে স্কুল থেকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়।

সরেজমিন খোঁজ নিতে গিয়ে প্রায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হয়। শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তারা অসুস্থতার কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও জরিমানা মওকুফ করেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী অভিভাবকরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে কিছুটা সুবিধা আদায় করতে পারলেও সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্র বলেন, আমি গত ৬ মাসে ২৪ দিন বিভিন্ন কারনে স্কুলে আসতে পারিনি এ জন্য আমাকে ৪৮০ টাকা জরিমানার টাকাসহ স্কুলের ফি-বেতন দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে হয়েছে। তবে জরিমানার টাকা মাফ নেই এ পরীক্ষায় না দিলেও ফাইনাল পরীক্ষায় দিতেই হবে।

তার আরেক বন্ধু বলেন, আমার কাক্কুর অসুস্থতার জন্য এবং বাড়ির কাজের জন্য ৬ মাসে ৪২ দিন আমাকে অনুপস্থিত দেখাচ্ছেন স্যাররা কিন্তু আমি এতদিন স্কুল কামাই দেই নাই। প্রথম পরীক্ষার দিন কিছু টাকা দিয়ে পরীক্ষা দিছি। ঐ দিনই আমাকে দুইদিন সময় দিয়ে একটি টোকেন দিয়েছিল। আজ পরীক্ষার চতুর্থ দিন বাড়ি থেকে সব টাকা দিতে পারেনি ১ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি পরীক্ষা দিতে না দিলে চলে যাব। আমার বাবা গরিব মানুষ একসাথে সব টাকা দিতে পারবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের চাপের মুখে তারা জরিমানা আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে অভিভাবকরা মাসে ১০০ টাকা টিউশন ফি দিতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে তাদের কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করা অমানবিক। তবুও এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তো হুকুমের গোলাম। তারা আরও জানান, এই জরিমানা আদায়ের অর্থ আদৌ স্কুলের কোষাগারে যাচ্ছে কি- না তা সঠিকভাবে তদন্ত না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আফজাল হোসেনের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সদ্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছি। স্কুলের জরিমানা আদায়ের বিষয়টি আগের কমিটি করে গেছেন। তবে আমি যতটুকু জানি শিক্ষার্থীদের জরিমানা আদায়ের প্রথা চালু করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির জন্য। এ জরিমানার টাকা কেউই সঠিকভাবে দেয়না।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, শতভাগ উপস্থিতি ও ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সাথে পরামর্শ করে জরিমানা আদায়ের নিয়ম চালু করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের অর্থ কার পকেটে যায়, এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের কোষাগারে জরিমানা আদায়ের অর্থ রাখা হয়।

বেড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিন জানান, ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের কোনো বিধি নেই। আমার জানা মতে এটা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর বিশ টাকা করে নেয়া এটা অতিরিক্ত হয়েছে। তবে এই সিস্টেম চালু না করাই ভালো। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. সবুর আলী বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলামনা। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিব। – বার্তা সংস্থা পিপ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

স্কুলে অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে জরিমানা আদায়!

প্রকাশিত সময় ১১:৪৮:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জুন ২০২২

পাবনায় অস্বচ্ছল মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে সততা সংঘের পুরুস্কার ও বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ১১:৪৮ অপরাহ্ন, ২২ জুন ২০২২

পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুমদিয়া-ভবানীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একদিন অনুপস্থিতির জন্য ২০টাকা জরিমানা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

অভিভাবকদের বক্তব্য, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের জন্য ‘মনগড়া’ অনুপস্থিতি দেখানো হচ্ছে। এভাবে প্রতি মাসে হাজার হাজার টাকা আদায় করছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক।

তবে প্রধান শিক্ষকের দাবী শিক্ষার্থীদের স্কুলে শতভাগ উপস্থিতির জন্য এমন উদ্যোগ নেয়া আর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বলছেন এটা কোন সরকারি নিয়মের মধ্যে পড়ে না। স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখা হাজারখানেক।

অভিভাবকদের অভিযোগ, অসুস্থতা বা অন্য যে কোন কারণে কোনো শিক্ষার্থী একদিন স্কুলে অনুপস্থিত থাকলে পরের দিন ২০ টাকা জরিমানা দিয়ে ক্লাসে ঢুকতে হয়।

কেউ জরিমানার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে পরের দিনও তাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। এভাবে শিক্ষার্থীদের নাম, রোল ও শ্রেণি লিখে স্কুলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় এবং হাজিরা খাতায় অনুপস্থিত দেখিয়ে পরীক্ষার সময় জরিমানা আদায় করা হয়।

এভাবে প্রতি মাসে গড়ে ৮-১০ হাজার টাকা আদায় করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। গত পাঁচ মাসে এভাবে শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখিয়ে চলমান অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার প্রবেশপত্র আটকিয়ে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা আদায় করেছেন বলে জানা গেছে। এই জরিমানার টাকা দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত দুই দিন আগে এক অবিভাবকের সঙ্গে এক শিক্ষকের ধস্থাধস্থির ঘটনাও ঘটেছে।

চলতি শিক্ষাবর্ষের প্রথম থেকেই অনুপস্থিত ও দেরিতে আসা শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিত দেখিয়ে দৈনিক ২০ টাকা করে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

ভুঁইয়াপাড়া গ্রামের একজন অভিভাবক বলেন, তার ছেলে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ছে। গত মাসে তার পারিবারিক সমস্যার কারণে ছেলে এক সপ্তাহ স্কুলে যেতে পারেনি। অর্ধবার্ষিক পরীক্ষার ফি ও স্কুলের বেতনের সাথে অতিরিক্ত ১২০ টাকা জরিমানা পরিশোধের পরে স্কুল থেকে প্রবেশপত্র দেয়া হয়।

সরেজমিন খোঁজ নিতে গিয়ে প্রায় ১০-১২ জন শিক্ষার্থীর সাথে এ প্রতিনিধির কথা হয়। শিক্ষার্থীরা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, তারা অসুস্থতার কারণে স্কুলে অনুপস্থিত থাকলেও জরিমানা মওকুফ করেন না। স্থানীয় প্রভাবশালী অভিভাবকরা তাদের প্রভাব খাটিয়ে কিছুটা সুবিধা আদায় করতে পারলেও সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পড়তে হচ্ছে বিপাকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সপ্তম শ্রেনীর এক ছাত্র বলেন, আমি গত ৬ মাসে ২৪ দিন বিভিন্ন কারনে স্কুলে আসতে পারিনি এ জন্য আমাকে ৪৮০ টাকা জরিমানার টাকাসহ স্কুলের ফি-বেতন দিয়ে প্রবেশপত্র নিতে হয়েছে। তবে জরিমানার টাকা মাফ নেই এ পরীক্ষায় না দিলেও ফাইনাল পরীক্ষায় দিতেই হবে।

তার আরেক বন্ধু বলেন, আমার কাক্কুর অসুস্থতার জন্য এবং বাড়ির কাজের জন্য ৬ মাসে ৪২ দিন আমাকে অনুপস্থিত দেখাচ্ছেন স্যাররা কিন্তু আমি এতদিন স্কুল কামাই দেই নাই। প্রথম পরীক্ষার দিন কিছু টাকা দিয়ে পরীক্ষা দিছি। ঐ দিনই আমাকে দুইদিন সময় দিয়ে একটি টোকেন দিয়েছিল। আজ পরীক্ষার চতুর্থ দিন বাড়ি থেকে সব টাকা দিতে পারেনি ১ হাজার টাকা নিয়ে এসেছি পরীক্ষা দিতে না দিলে চলে যাব। আমার বাবা গরিব মানুষ একসাথে সব টাকা দিতে পারবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক জানান, প্রধান শিক্ষকের চাপের মুখে তারা জরিমানা আদায় করতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চলে যেখানে অভিভাবকরা মাসে ১০০ টাকা টিউশন ফি দিতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে তাদের কাছ থেকে জরিমানার অর্থ আদায় করা অমানবিক। তবুও এ বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা তো হুকুমের গোলাম। তারা আরও জানান, এই জরিমানা আদায়ের অর্থ আদৌ স্কুলের কোষাগারে যাচ্ছে কি- না তা সঠিকভাবে তদন্ত না করলে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব নয়।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মো. আফজাল হোসেনের সাথে মুটোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি সদ্য ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হয়েছি। স্কুলের জরিমানা আদায়ের বিষয়টি আগের কমিটি করে গেছেন। তবে আমি যতটুকু জানি শিক্ষার্থীদের জরিমানা আদায়ের প্রথা চালু করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের শতভাগ উপস্থিতির জন্য। এ জরিমানার টাকা কেউই সঠিকভাবে দেয়না।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠানকে না জানিয়ে কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে অনুপস্থিত থাকলে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তিনি দাবি করেন, শতভাগ উপস্থিতি ও ভালো ফলাফল নিশ্চিত করতেই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সাথে পরামর্শ করে জরিমানা আদায়ের নিয়ম চালু করা হয়েছে। জরিমানা আদায়ের অর্থ কার পকেটে যায়, এ প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষক বলেন, স্কুলের কোষাগারে জরিমানা আদায়ের অর্থ রাখা হয়।

বেড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিন জানান, ক্লাসে অনুপস্থিতির কারণে শিক্ষার্থীর কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের কোনো বিধি নেই। আমার জানা মতে এটা স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর বিশ টাকা করে নেয়া এটা অতিরিক্ত হয়েছে। তবে এই সিস্টেম চালু না করাই ভালো। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জরিমানা আদায়ের বিষয়টি খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

বেড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহা. সবুর আলী বলেন, এই বিষয়ে আমি অবগত ছিলামনা। বিষয়টি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নিব। – বার্তা সংস্থা পিপ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ