ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ
জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা আ.লীগের নানা আয়োজন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২
  • / 113

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা পরিষদের আলোকসজ্জা। ছবি: রফিকুল ইসলাম সুইট


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, ২৫ জুন ২০২২

দেশ বিদেশী সহস্র ষড়যন্ত্র ও বিরোধীতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ শনিবার। পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু নিয়ে আইরন লেডির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যপ্রযুক্তির দৌলতে জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করবে সারা বিশ্ব। পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহন করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পাবনা পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।

পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মুল কাজ শুরু হওয়া দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২১.৬৫ মিটার প্রস্থ এই সেতুর নির্মান ব্যায় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা রেক্টর স্কেলের ৯ মাত্রার সহনশীল এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৭৫ হাজার যানবাহন চলাজল করতে পারবে। সেতুতে পিলার ৪২, স্প্যান ৪১, জমি অধিগ্রহণ ৯১৮ হেক্টর, নদী শাসন করা হয়েছে ১৬ কিলোমিটার। আয়ুস্কাল হবে ১০০ বছর।


চিত্র ২


এ ছাড়া দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমবে দশমিক ৮৪ শতাংশ। নতুন করে গড়ে উঠবে ভারি শিল্পকারখানা। ২১ টি জেলা সারাদেশের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই সেতুটি শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১-এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে।

এডিবির সমীক্ষা অনুসারে, পদ্মা সেতু দিয়ে ২০২২ সালে যে ২৪ হাজার যানবাহন চলবে। সমীক্ষায় আরো প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০২৫ সালে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৮০০টি। ২০৩০ সালে হবে ৩৬ হাজার ৭৮৫। ২০৪০ সালে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৮০৭টি।

বিশ্বব্যাংক তথা বিশ্বের অপরাপর অনেক রাষ্ট্রের মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ উপেক্ষা করে যখন তিনি দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে’, এমন মন্তব্যও করেন অনেকে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি তৎকালীন সময় ‘সরকারের পতন’, ‘দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা’, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ এমন শব্দগুলো বারবার উচ্চারণ করেছেন অনেকেই। অনেক পত্রিকাও সে সময় শিরোনাম করেছে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু দিন শেষে তাদের সকল হুশিয়ারি ও সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সফল বঙ্গবন্ধু কন্যা।

পেছনের কথা, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রে শেষমেশ বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান কে, দেড় মাস জেল খাটেন সেতু সচিব, ২০১২সালের ৫ জানুয়ারি পদত্যাগই করতে হয় তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে। দফায় দফায় তাদের হাজিরা দিতে হয় দুদকে।


চিত্র ৩


এ দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে কোন দুর্নীতি হয়নি, তার প্রমাণ প্রদান করে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় দেন কানাডার আদালত। রায়ে বলা হয়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। কিন্তু নিন্দুকের মুখ এরপরও থামানো যায়নি। পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়তে থাকে সর্বত্র।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পদ্মা সেতু নিয়ে বলেছিলেন, দুর্নীতি আমাদের কীভাবে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ এটি (পদ্মা সেতু)। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যার ভাষ্যমতে, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব হলো অভিযোগ অস্বীকার করে যাওয়া। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দাতাগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি (সরকার)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার সামর্থ্য আছে কিনা দুদকের, সেটি নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা তাদের আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক সভায় বেগম খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে বানানো সেতুতে, কেউ উঠবেও না।’
পাবনা জেলা প্রশাসন পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল ৯ টায় স্বাধীনতা চত্ত¡র থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হবে। আলোজ সজ্জা, বেলুন উঢ়ানো, ফেষ্টুন, কবুতর অবমুক্ত করণ, আলোচনা সভা, আতোশবাজি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসুচী গ্রহন করেছেন।

পাবনা জেলা পরিষদ ও পাবনা পৌরসভা জেলা প্রশাসনের অনুরুপ কর্মসুচী গ্রহণ করেছেন।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ ২৩ থেকে ২৫ জুন স্বাধীনতা চত্ত¡রে বিকেল ৫ টা হতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা হতে আতশবাজি অনুষ্ঠিত হবে। শহরের প্রধান সড়ক সমূহ আলোকসজ্জা, ব্যানার ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা দ্বারা সু সজ্জিত করণ করা হয়েছে।
 
পাবনা/রফিকুল ইসলাম সুইট

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ

স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ
জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পৌরসভা, জেলা আ.লীগের নানা আয়োজন

প্রকাশিত সময় ০৭:৫৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৫ জুন ২০২২

পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষ্যে পাবনা জেলা পরিষদের আলোকসজ্জা। ছবি: রফিকুল ইসলাম সুইট


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:৫৪ অপরাহ্ন, ২৫ জুন ২০২২

দেশ বিদেশী সহস্র ষড়যন্ত্র ও বিরোধীতা উপেক্ষা করে বাংলাদেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির প্রতীক স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন আজ শনিবার। পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন পদ্মা সেতু নিয়ে আইরন লেডির ভূমিকায় অবতীর্ণ হওয়া বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তথ্যপ্রযুক্তির দৌলতে জমকালো এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উপভোগ করবে সারা বিশ্ব। পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে ব্যাপক কর্মসুচী গ্রহন করেছে পাবনা জেলা প্রশাসন, জেলা পরিষদ, পাবনা পৌরসভা, জেলা আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।

পদ্মা সেতু দেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। ৭ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মুল কাজ শুরু হওয়া দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে একটি একক রেলপথ। নিজস্ব অর্থায়নে ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ২১.৬৫ মিটার প্রস্থ এই সেতুর নির্মান ব্যায় হয়েছে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা রেক্টর স্কেলের ৯ মাত্রার সহনশীল এই সেতু দিয়ে প্রতিদিন ৭৫ হাজার যানবাহন চলাজল করতে পারবে। সেতুতে পিলার ৪২, স্প্যান ৪১, জমি অধিগ্রহণ ৯১৮ হেক্টর, নদী শাসন করা হয়েছে ১৬ কিলোমিটার। আয়ুস্কাল হবে ১০০ বছর।


চিত্র ২


এ ছাড়া দেশের সার্বিক জিডিপির পাশাপাশি পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পটির কাজ সমাপ্ত হলে অতিরিক্ত ১.২৩ শতাংশ জিডিপি বৃদ্ধি পাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জিডিপি বাড়বে ২ দশমিক ৩ শতাংশ। দারিদ্র্যের হার কমবে দশমিক ৮৪ শতাংশ। নতুন করে গড়ে উঠবে ভারি শিল্পকারখানা। ২১ টি জেলা সারাদেশের সাথে সরাসরি সংযুক্ত হবে। সেতুটির কারণে দেশের দ্বিতীয় সমুদ্রবন্দর মোংলা চট্টগ্রাম বন্দরের মতো যথাযথভাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এই সেতুটি শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ। কেননা পদ্মা সেতু ও সংযোগ সড়ক এশিয়ান হাইওয়ে রুট এএইচ-১-এর অংশ হওয়ায় তা যথাযথ ব্যবহারের সুযোগ তৈরি হবে। এটি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ যোগাযোগসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর যোগাযোগের ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চল ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে এবং ট্রান্স-এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে যুক্ত হবে। ভারত, ভুটান ও নেপালের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে এবং যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে সুবিধা হবে।

এডিবির সমীক্ষা অনুসারে, পদ্মা সেতু দিয়ে ২০২২ সালে যে ২৪ হাজার যানবাহন চলবে। সমীক্ষায় আরো প্রাক্কলন করা হয়েছে, ২০২৫ সালে পদ্মা সেতুর ওপর দিয়ে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ২৭ হাজার ৮০০টি। ২০৩০ সালে হবে ৩৬ হাজার ৭৮৫। ২০৪০ সালে দিনে যানবাহন চলাচল বেড়ে দাঁড়াবে ৫১ হাজার ৮০৭টি।

বিশ্বব্যাংক তথা বিশ্বের অপরাপর অনেক রাষ্ট্রের মিথ্যা দুর্নীতির অভিযোগ উপেক্ষা করে যখন তিনি দেশের অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন, তখন অনেকেই বিষয়টির তীব্র বিরোধিতা করেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে ‘বাংলাদেশ দেউলিয়া হয়ে যাবে’, এমন মন্তব্যও করেন অনেকে। অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি তৎকালীন সময় ‘সরকারের পতন’, ‘দুর্নীতি ঢাকার চেষ্টা’, ‘স্বেচ্ছাচারিতা’ এমন শব্দগুলো বারবার উচ্চারণ করেছেন অনেকেই। অনেক পত্রিকাও সে সময় শিরোনাম করেছে পদ্মা সেতুর দুর্নীতি নিয়ে। কিন্তু দিন শেষে তাদের সকল হুশিয়ারি ও সমালোচনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সফল বঙ্গবন্ধু কন্যা।

পেছনের কথা, দেশীয় ও আর্ন্তজাতিক ষড়যন্ত্রে শেষমেশ বাধ্যতামূলক ছুটিতে যেতে হয় প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান কে, দেড় মাস জেল খাটেন সেতু সচিব, ২০১২সালের ৫ জানুয়ারি পদত্যাগই করতে হয় তখনকার যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে। দফায় দফায় তাদের হাজিরা দিতে হয় দুদকে।


চিত্র ৩


এ দেশে পদ্মা সেতু নির্মাণে যে কোন দুর্নীতি হয়নি, তার প্রমাণ প্রদান করে ২০১৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় দেন কানাডার আদালত। রায়ে বলা হয়, পদ্মা সেতুর দুর্নীতির অভিযোগ সঠিক নয়। কিন্তু নিন্দুকের মুখ এরপরও থামানো যায়নি। পদ্মা সেতু নিয়ে গুজব ও মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে পড়তে থাকে সর্বত্র।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার পদ্মা সেতু নিয়ে বলেছিলেন, দুর্নীতি আমাদের কীভাবে পেছনে নিয়ে যাচ্ছে তার আরেকটি উদাহরণ এটি (পদ্মা সেতু)। জাতীয় উন্নয়নের ক্ষেত্রে এটি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যার ভাষ্যমতে, ‘অভিযোগ পাওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের মনোভাব হলো অভিযোগ অস্বীকার করে যাওয়া। কিন্তু সত্যিকার অর্থে দাতাগোষ্ঠীর আস্থা অর্জন করতে পারেনি (সরকার)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এ সময় বলেন, এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করার সামর্থ্য আছে কিনা দুদকের, সেটি নিয়ে আমার সন্দেহ রয়েছে। এ ঘটনার তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা তাদের আছে কিনা সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

২০১৮ সালের ২ জানুয়ারি ছাত্রদলের এক সভায় বেগম খালেদা জিয়া তাচ্ছিল্য করে বলেছিলেন, ‘পদ্মা সেতু এই আওয়ামী লীগের আমলে হবে না। জোড়াতালি দিয়ে বানানো সেতুতে, কেউ উঠবেও না।’
পাবনা জেলা প্রশাসন পদ্মাসেতু উদ্বোধন উপলক্ষে সকাল ৯ টায় স্বাধীনতা চত্ত¡র থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হবে। আলোজ সজ্জা, বেলুন উঢ়ানো, ফেষ্টুন, কবুতর অবমুক্ত করণ, আলোচনা সভা, আতোশবাজি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সহ নানা কর্মসুচী গ্রহন করেছেন।

পাবনা জেলা পরিষদ ও পাবনা পৌরসভা জেলা প্রশাসনের অনুরুপ কর্মসুচী গ্রহণ করেছেন।

পাবনা জেলা আওয়ামী লীগ ২৩ থেকে ২৫ জুন স্বাধীনতা চত্ত¡রে বিকেল ৫ টা হতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা হতে আতশবাজি অনুষ্ঠিত হবে। শহরের প্রধান সড়ক সমূহ আলোকসজ্জা, ব্যানার ফেস্টুন, জাতীয় ও দলীয় পতাকা দ্বারা সু সজ্জিত করণ করা হয়েছে।
 
পাবনা/রফিকুল ইসলাম সুইট

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ