ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বহুল আলোচিত দীপা আত্মহত্যার ১২০ দিনেও রহস্য উম্মোচন হয়নি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২
  • / 183

লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণের দায়ে আত্মহননকারী দীপা খাতুন


নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ২৮ জুন ২০২২

আগামী ৩১ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে দীপা আত্মহত্যার তদন্ত প্রতিবেন জমা দেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে গত ৫ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেন জমা দেয়ার কথা ছিল। তখন তদন্ত প্রতিবেন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিকট প্রার্থনা করে পিবিআই। বিজ্ঞ আদালত পিবিআই কে ৩১ জুলাই তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পৌর উমিরপুর গ্রামে নানার বাড়িতে দীপা খাতুন নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। দীপা ইস্তা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ দুলাল প্রামানিকের মেয়ে।

দীপা আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমন গুঞ্জন ছিল ঈশ্বরদী শহর জুড়ে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ থাকলেও ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পর তা পরিস্কার হয়ে গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে দীপা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজজামান।

অপরদিকে দীপা প্রায় ৫০/৬০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটিও একটি বড় রহস্য সকলের কাছে। কেন সে এত টাকার ঋণী হলো? কেনই বা মানুষ তাকে এত টাকা ঋণ দিলো? দরিদ্র পরিবারের অতি সাধারণ মেয়ে ছিল দীপা। অথচ তার ৫০/৬০ লাখ টাকা ঋণের দায়। যা কেউই স্বাভাবিক বলে মনে করেন না।

বাবার অভাবের কারনে ছোটবেলা থেকেই দীপা তার নানার বাড়িতে থাকতো। তার শৈশব, কৈশর, যৌবন এমনকি মৃত্যুও ঘটে সেখানে। জীবন সংগ্রামী দীপা প্রচন্ড পরিশ্রমী মেয়ে। সে কিশোরী বয়স থেকেই চাকুরী জীবন শুরুর করেন। শুরুটাও হয় ঈশ্বরদী আলো জেনারেল হাসপাতাল থেকেই। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন দীপা।

কিন্তু হটাৎ একটা অদৃশ্য ঝড় দীপার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে তিনি। কি সেই ঝড়? কেন দীপা আত্মহত্যা করলো? কেন এত টাকার ঋণী হলো? এত টাকা নিয়ে সে কি করেছে বা কাকে দিয়েছে? এমনও হাজারও প্রশ্ন প্রতিটি মহলে। দৈনিক স্বতঃকণ্ঠও এসকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চেষ্টা করেছে।

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে দীপা হঠাৎ করে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে মানুষজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করতে থাকে? মানুষজনও পাগলের মত কেনইবা একজন চাল চুলোহীন মেয়েকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দিলো। কি যাদু ছিল দীপার মধ্যে যে মানুষজন তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিল।

দীপা আলো জেনারেল হাসপাতালে চাকুরী করতো। সেখান থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার নামে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ ডাঃ শামীমের। দীপা ৮ হাজার টাকার বেতনে রিসিপশনিষ্ট হিসাবে কাজ করতো। টাকা থাকতো দীপার কাছে, জানান হাসপাতালের মালিক ডাঃ শামীম।

আশ্চর্যের বিষয় হলো। রিসিপসনিষ্টের চাকুরী করা একজন কর্মচারী ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করলো কিভাবে? অথচ মালিক পক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিলো না। পরে ডাঃ শামীম তার ফেসবুক আইডি থেকে দীপার ছবির উপর একটি ক্রস চিহ্নিত পোষ্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন এখন থেকে দীপার সাথে আলো জেনারেল হাসপাতালের কোন সম্পর্ক নেই।

দীপা বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে ঋণ নিয়েছে এই মর্মের একটি চুক্তিনামা ও দুটি ব্যাংক চেকের অনুলিপি পায় স্বতঃকণ্ঠ। সেখানে পাওনাদারেরা হলো ঈশ্বরদী শহরের ভেলুপাড়া গ্রামের বক্কার মন্ডলের ছেলে মামুন মন্ডল পাবে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সেলিম মালিথা ৬ লাখ টাকা, জাহাঙ্গির আলম ২ লাখ টাকা, রুমা খাতুন ২ লাখ টাকা, ডাঃ শামীম ১০ লাখ টাকা। সর্বমোট ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তিপত্র। এছাড়াও নাকি আরো ২০/২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে দীপা। তারা আমাদের মুখোমুখি হননি।

মামুন মন্ডল ও আলো ডায়াগনষ্টিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ শামীম পরস্পর মামাতো ফুপাত ভাই। চুক্তিপত্রে উল্লেখিত পাওনাদারেরাও ডাঃ শামীমের আত্মীয় অথবা তার সাথে সংশ্লিষ্ট। আবার টাকাগুলো নাকি লেনদেনও হয়েছে আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। ডাঃ শামীমের প্রতিষ্ঠানে টাকা লেন-দেন হলো, প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিরা কিছুই জানতে পারলো না!

ডাঃ শামীমের খালাত ভাই মামুন মন্ডল জানান, অন লাইনের ব্যবসার কথা বলে দীপা তার কাছ থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা নিয়েছে। তবে ডাঃ শামীমের চেক কেন তার কাছে জানতে চাইলে মামুন মন্ডল কোন উত্তর দিতে পারেনি। জাহাঙ্গীর আলম ব্যতীত প্রায় সকলের বক্তব্যো একই। শুধু জাহাঙ্গীর আলমের দাবী ডাঃ শামীমের টাকার প্রয়োজন বলে তার থেকে টাকা নেয় দীপা।

একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আলো জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুল হাকিমের সাথে ছিল দীপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে।

স্থানীয় ও পরিবারের দাবি একটি চক্র নিজের অপকর্ম ঢাকতে কৌশলে অতি সাধারণ জীবন যাপনকারী দীপাকে দেনার ফাঁদে ফেলে চাপ সৃষ্টি করে আত্মহননের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

নিহত দীপার স্বজনের প্রশ্ন, কেন অবিবাহিত একটা মেয়ের কাছে এত টাকা তুলে দিলো ডাঃ শামীম ও তার স্বজনেরা, দীপার আত্মহত্যার পর পুলিশের ভুমিকা ও মামলা গ্রহন না করায় সমালোচনা করেন আত্মহননকারী দীপার পরিবার। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আর কোন দীপা যেন ষড়যন্ত্রের কারনে জীবন দিতে না হয়, দীপার মা সহ এলাকাবাসী দীপা আত্মহত্যার মুল রহস্য উদঘাটন করে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে, শাস্তি নিশ্চিত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


বহুল আলোচিত দীপা আত্মহত্যার ১২০ দিনেও রহস্য উম্মোচন হয়নি

প্রকাশিত সময় ১২:৪১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ জুন ২০২২

লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণের দায়ে আত্মহননকারী দীপা খাতুন


নিজেস্ব প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ১২:৪১ অপরাহ্ন, ২৮ জুন ২০২২

আগামী ৩১ জুলাই বিজ্ঞ আদালতে দীপা আত্মহত্যার তদন্ত প্রতিবেন জমা দেবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। এর আগে গত ৫ এপ্রিল তদন্ত প্রতিবেন জমা দেয়ার কথা ছিল। তখন তদন্ত প্রতিবেন জমা দেওয়ার জন্য আরও সময় চেয়ে বিজ্ঞ আদালতের নিকট প্রার্থনা করে পিবিআই। বিজ্ঞ আদালত পিবিআই কে ৩১ জুলাই তারিখে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারী সকালে পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলার পৌর উমিরপুর গ্রামে নানার বাড়িতে দীপা খাতুন নিজ ঘরে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন। দীপা ইস্তা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের মোঃ দুলাল প্রামানিকের মেয়ে।

দীপা আত্মহত্যা করেছে না তাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এমন গুঞ্জন ছিল ঈশ্বরদী শহর জুড়ে। তবে হত্যা না আত্মহত্যা বিষয়টি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ থাকলেও ময়না তদন্তের প্রতিবেদন আসার পর তা পরিস্কার হয়ে গেছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনে দীপা আত্মহত্যা করেছেন বলে জানান ঈশ্বরদী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজজামান।

অপরদিকে দীপা প্রায় ৫০/৬০ লাখ টাকা ঋণের বোঝা মাথায় নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটিও একটি বড় রহস্য সকলের কাছে। কেন সে এত টাকার ঋণী হলো? কেনই বা মানুষ তাকে এত টাকা ঋণ দিলো? দরিদ্র পরিবারের অতি সাধারণ মেয়ে ছিল দীপা। অথচ তার ৫০/৬০ লাখ টাকা ঋণের দায়। যা কেউই স্বাভাবিক বলে মনে করেন না।

বাবার অভাবের কারনে ছোটবেলা থেকেই দীপা তার নানার বাড়িতে থাকতো। তার শৈশব, কৈশর, যৌবন এমনকি মৃত্যুও ঘটে সেখানে। জীবন সংগ্রামী দীপা প্রচন্ড পরিশ্রমী মেয়ে। সে কিশোরী বয়স থেকেই চাকুরী জীবন শুরুর করেন। শুরুটাও হয় ঈশ্বরদী আলো জেনারেল হাসপাতাল থেকেই। চাকুরীর পাশাপাশি লেখাপড়াও চালিয়ে গেছেন দীপা।

কিন্তু হটাৎ একটা অদৃশ্য ঝড় দীপার জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে। এবং শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যা করে তিনি। কি সেই ঝড়? কেন দীপা আত্মহত্যা করলো? কেন এত টাকার ঋণী হলো? এত টাকা নিয়ে সে কি করেছে বা কাকে দিয়েছে? এমনও হাজারও প্রশ্ন প্রতিটি মহলে। দৈনিক স্বতঃকণ্ঠও এসকল প্রশ্নের উত্তর খোঁজা চেষ্টা করেছে।

দরিদ্র পরিবারের মেয়ে দীপা হঠাৎ করে গত বছরের ডিসেম্বর মাস থেকে মানুষজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা ঋণ গ্রহন করতে থাকে? মানুষজনও পাগলের মত কেনইবা একজন চাল চুলোহীন মেয়েকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দিলো। কি যাদু ছিল দীপার মধ্যে যে মানুষজন তাকে লক্ষ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছিল।

দীপা আলো জেনারেল হাসপাতালে চাকুরী করতো। সেখান থেকে ১০ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দেওয়ার নামে আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ ডাঃ শামীমের। দীপা ৮ হাজার টাকার বেতনে রিসিপশনিষ্ট হিসাবে কাজ করতো। টাকা থাকতো দীপার কাছে, জানান হাসপাতালের মালিক ডাঃ শামীম।

আশ্চর্যের বিষয় হলো। রিসিপসনিষ্টের চাকুরী করা একজন কর্মচারী ১০ লাখ টাকা আত্মসাত করলো কিভাবে? অথচ মালিক পক্ষ তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা নিলো না। পরে ডাঃ শামীম তার ফেসবুক আইডি থেকে দীপার ছবির উপর একটি ক্রস চিহ্নিত পোষ্ট দেন। সেখানে তিনি লেখেন এখন থেকে দীপার সাথে আলো জেনারেল হাসপাতালের কোন সম্পর্ক নেই।

দীপা বিভিন্ন মানুষের নিকট থেকে ঋণ নিয়েছে এই মর্মের একটি চুক্তিনামা ও দুটি ব্যাংক চেকের অনুলিপি পায় স্বতঃকণ্ঠ। সেখানে পাওনাদারেরা হলো ঈশ্বরদী শহরের ভেলুপাড়া গ্রামের বক্কার মন্ডলের ছেলে মামুন মন্ডল পাবে ১৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সেলিম মালিথা ৬ লাখ টাকা, জাহাঙ্গির আলম ২ লাখ টাকা, রুমা খাতুন ২ লাখ টাকা, ডাঃ শামীম ১০ লাখ টাকা। সর্বমোট ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার চুক্তিপত্র। এছাড়াও নাকি আরো ২০/২৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে দীপা। তারা আমাদের মুখোমুখি হননি।

মামুন মন্ডল ও আলো ডায়াগনষ্টিক এন্ড জেনারেল হাসপাতালের মালিক ডাঃ শামীম পরস্পর মামাতো ফুপাত ভাই। চুক্তিপত্রে উল্লেখিত পাওনাদারেরাও ডাঃ শামীমের আত্মীয় অথবা তার সাথে সংশ্লিষ্ট। আবার টাকাগুলো নাকি লেনদেনও হয়েছে আলো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এন্ড জেনারেল হাসপাতালে। ডাঃ শামীমের প্রতিষ্ঠানে টাকা লেন-দেন হলো, প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিরা কিছুই জানতে পারলো না!

ডাঃ শামীমের খালাত ভাই মামুন মন্ডল জানান, অন লাইনের ব্যবসার কথা বলে দীপা তার কাছ থেকে সাড়ে ১৬ লাখ টাকা নিয়েছে। তবে ডাঃ শামীমের চেক কেন তার কাছে জানতে চাইলে মামুন মন্ডল কোন উত্তর দিতে পারেনি। জাহাঙ্গীর আলম ব্যতীত প্রায় সকলের বক্তব্যো একই। শুধু জাহাঙ্গীর আলমের দাবী ডাঃ শামীমের টাকার প্রয়োজন বলে তার থেকে টাকা নেয় দীপা।

একাধিক ব্যাক্তি বলেন, আলো জেনারেল হাসপাতালের ম্যানেজার আব্দুল হাকিমের সাথে ছিল দীপার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাকে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে।

স্থানীয় ও পরিবারের দাবি একটি চক্র নিজের অপকর্ম ঢাকতে কৌশলে অতি সাধারণ জীবন যাপনকারী দীপাকে দেনার ফাঁদে ফেলে চাপ সৃষ্টি করে আত্মহননের মুখে ঠেলে দিয়েছে।

নিহত দীপার স্বজনের প্রশ্ন, কেন অবিবাহিত একটা মেয়ের কাছে এত টাকা তুলে দিলো ডাঃ শামীম ও তার স্বজনেরা, দীপার আত্মহত্যার পর পুলিশের ভুমিকা ও মামলা গ্রহন না করায় সমালোচনা করেন আত্মহননকারী দীপার পরিবার। পরে আদালতে মামলা দায়ের করেন।

আর কোন দীপা যেন ষড়যন্ত্রের কারনে জীবন দিতে না হয়, দীপার মা সহ এলাকাবাসী দীপা আত্মহত্যার মুল রহস্য উদঘাটন করে, জড়িতদের আইনের আওতায় এনে, শাস্তি নিশ্চিত করতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ