ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার আটঘরিয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:৫৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • / 59

oppo_0

পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীকান্তপুর বাজার সড়কে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে আটঘরিয়াবাসি


আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ২ জুলাই ২০২২

পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীকান্তপুর বাজার সড়কে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আটঘরিয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।

যান চলাচল বন্ধ থাকায় আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর , একদন্ত , লক্ষ্মীপুর, চাঁদভা, মাজপাড়াসহ পাঁচটি  ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার  মানুষজন সরাসরি যানবহনে করে কোনো পণ্য আনানেওয়া করতে পারছেন না তারা।

২৭ জুন  রাত্রে অতিরিক্ত পাথর ও বালি বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় ব্রিজ ভেঙে যায় । ভাঙ্গা ব্রিজের দুই পাশের মুদি দোকানীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন। দোকানদার মাছুম,  ফটিক, ফজলুল হক মুন্জু ও আনসার জানান,আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাবসা করছি।তবে দীর্ঘ দিনের ভাঙ্গা রাস্তা  ও ফাটল ব্রিজ মেরামত না হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর-একদন্ত সড়কের সাড়ে ১২ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব স্থানে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়। ঘটছে অহরহ মারাত্মক দূর্ঘটনা। কেউ বা পঙ্গুত্ব বরণ করছে, আবার কেউ বা হারাচ্ছে জীবন।

প্রতিদিন এ রুটে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশা বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এবং সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এসব যানবাহনের চালকদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। সরাসরি যানবাহন চলাচল না করায় বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।

বাস চালক স্বপন চৌধুরী জানান, রাস্তা এবং ব্রিজ দ্রুত তৈরি করা না হলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এভাবে জনদুর্ভোগে মানুষের কষ্ট বাড়ে।

সড়কের বেহাল দশায় এই পথে চলাচলকারীরা সময়মত তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাটি সংষ্কার করার দাবি জানিয়েছে।

অটোভ্যান চালক আমিরুল, জাহিদ, শাজাহানসহ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেবোত্তর-একদন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে বিশাল গর্তের পরিণত হয়েছে। ফলে অনেক সময় রোগী নিয়ে দ্রুত যাতায়াত করার সময় বিড়ম্বনায় পরতে হয়।

দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় অত্র এলাকার শিক্ষার্থী, সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও জনগণের চলাচলের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি ও সময় নষ্টসহ দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অতিদ্রুত ব্রিজ এবং রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা হয়েছে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তার মত খারাপ রাস্তা আর কোথাও দেখিনি। এছাড়াও ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বিক্রি করার জন্য দিনদিন রাস্তা খুবই খারাপ হতে চলেছে। সমান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা অতি প্রযোজন বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকায় নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলেন, অল্প রাস্তায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিদিন বেশ কয়েকবার দেবোত্তর বাজারে যেতে হয়। এতে করে অনেক টাকা ব্যায় হয়ে যাচ্ছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 











 আরও পড়ুনঃ

 

পাবনার আটঘরিয়ায় ব্রিজ ভেঙে পড়ায় এলাকাবাসীর দুর্ভোগ চরমে

প্রকাশিত সময় ০৬:৫৩:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীকান্তপুর বাজার সড়কে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় দুর্ভোগে আটঘরিয়াবাসি


আটঘরিয়া প্রতিনিধিঃ
প্রকাশিত: ০৭:০০ অপরাহ্ন, ২ জুলাই ২০২২

পাবনার আটঘরিয়ার শ্রীকান্তপুর বাজার সড়কে একটি ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন আটঘরিয়া উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ।

যান চলাচল বন্ধ থাকায় আটঘরিয়া উপজেলার দেবোত্তর , একদন্ত , লক্ষ্মীপুর, চাঁদভা, মাজপাড়াসহ পাঁচটি  ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার  মানুষজন সরাসরি যানবহনে করে কোনো পণ্য আনানেওয়া করতে পারছেন না তারা।

২৭ জুন  রাত্রে অতিরিক্ত পাথর ও বালি বোঝাই ট্রাক চলাচল করায় ব্রিজ ভেঙে যায় । ভাঙ্গা ব্রিজের দুই পাশের মুদি দোকানীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাবসা পরিচালনা করছেন। দোকানদার মাছুম,  ফটিক, ফজলুল হক মুন্জু ও আনসার জানান,আমরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ব্যাবসা করছি।তবে দীর্ঘ দিনের ভাঙ্গা রাস্তা  ও ফাটল ব্রিজ মেরামত না হওয়ায় এলাকার মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

জানা গেছে, পাবনার আটঘরিয়ার দেবোত্তর-একদন্ত সড়কের সাড়ে ১২ কিলোমিটার রাস্তার বিভিন্ন স্থানে খানাখন্দে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওইসব স্থানে পানি জমে গর্তের সৃষ্টি হয়। ঘটছে অহরহ মারাত্মক দূর্ঘটনা। কেউ বা পঙ্গুত্ব বরণ করছে, আবার কেউ বা হারাচ্ছে জীবন।

প্রতিদিন এ রুটে শতাধিক সিএনজি অটোরিকশা বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় এবং সেতুটি ভেঙে যাওয়ায় এসব যানবাহনের চালকদের আয়ও বন্ধ হয়ে গেছে।

প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এ সড়ক ব্যবহার করে আটঘরিয়া উপজেলার বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। সরাসরি যানবাহন চলাচল না করায় বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রীরা সীমাহীন দুর্ভোগের মধ্যে পড়ছেন।

বাস চালক স্বপন চৌধুরী জানান, রাস্তা এবং ব্রিজ দ্রুত তৈরি করা না হলে মানুষের দুর্ভোগ আরও বাড়বে। এভাবে জনদুর্ভোগে মানুষের কষ্ট বাড়ে।

সড়কের বেহাল দশায় এই পথে চলাচলকারীরা সময়মত তাদের সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত রাস্তাটি সংষ্কার করার দাবি জানিয়েছে।

অটোভ্যান চালক আমিরুল, জাহিদ, শাজাহানসহ অনেকের সাথে কথা হয়। তারা জানান, দীর্ঘদিন ধরে দেবোত্তর-একদন্ত রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বর্ষা মৌসুমে পানি জমে বিশাল গর্তের পরিণত হয়েছে। ফলে অনেক সময় রোগী নিয়ে দ্রুত যাতায়াত করার সময় বিড়ম্বনায় পরতে হয়।

দীর্ঘদিন যাবত রাস্তাটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় অত্র এলাকার শিক্ষার্থী, সরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসায়ী ও জনগণের চলাচলের চরম ব্যাঘাত সৃষ্টি ও সময় নষ্টসহ দূর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। অতিদ্রুত ব্রিজ এবং রাস্তাটি মেরামত ও সংস্কার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উর্দ্বতন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

কিন্তু বর্তমানে রাস্তার যে অবস্থা হয়েছে গাড়ি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে। এই রাস্তার মত খারাপ রাস্তা আর কোথাও দেখিনি। এছাড়াও ড্রাম ট্রাকে করে মাটি বিক্রি করার জন্য দিনদিন রাস্তা খুবই খারাপ হতে চলেছে। সমান্য বৃষ্টিতে রাস্তায় কাদা হয়ে যায়। রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করা অতি প্রযোজন বলে মনে করেন তিনি।

এছাড়াও বিভিন্ন পেশার মানুষ বলেন, রাস্তা খারাপ হওয়ায় ৫ টাকার ভাড়া ১০ টাকায় নেওয়া হচ্ছে। কেউ কেউ বলেন, অল্প রাস্তায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। আমাদের প্রতিদিন বেশ কয়েকবার দেবোত্তর বাজারে যেতে হয়। এতে করে অনেক টাকা ব্যায় হয়ে যাচ্ছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 











 আরও পড়ুনঃ