টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলাতে নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা
- প্রকাশিত সময় ০৮:১৪:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
- / 84
পতাকা উত্তলোন শেষে কালো ব্যাচ ধারণকৃত উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবর্গ
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৭:১০ পূর্বাহ্ন, ২ জুলাই ২০২২
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও স্বাভাবিক হয়নি যমুনার বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল মানুষের চলাচল ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। আর যখন চারদিকে বন্যার পানিতে অজস্র রাস্তাঘাট তলিয়ে আছে, তখন নৌকা ও কলাগাছের ভেলা হয়ে উঠেছে নিচু ও চরাঞ্চল মানুষের পারাপারের একমাত্র ভরসা।
আর এ কারণেই টাঙ্গাইল জেলার ভূঞাপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এছাড়াও কারিগরদের পাশাপাশি পুরনো নৌকাগুলোও মেরামতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চরাঞ্চলের নৌকার মাঝিরা।
শনিবার (২ জুলাই ) সরেজমিনে উপজেলার গাবসারা, গোবিন্দাসী অর্জুনা ও নিকরাইল ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, নৌকার কারিগররা ছোট-বড় নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। কারিগররা তার নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় এসব নৌকা তৈরি করেছেন। এসময় দেখা গেছে, কেউ করাত দিয়ে কাঠ কাটছেন, কেউ হাতুড়ি দিয়ে পেরেক মারছেন, কেউ তৈরি নৌকায় গাবের পানি, রং ও আলকাতরা দিতে ব্যস্ত রয়েছেন।
এসময় গোবিন্দাসী নৌ ফেরিঘাট এলাকায় সিরাজকান্দীর নৌকার কারিগর মোহর আলীর সাথে কথা হয়, তিনি জানান, আমি ঘর তৈরির পাশাপাশি নৌকা বানানোর কাজ করি। বর্ষা মৌসুমে সাধারণত আমাদের কোন কাজ থাকে না, এখন নৌকার বাড়তি চাহিদা থাকায় নৌকার কাজ করছি। সেই সাথে বাড়তি আয়ও হচ্ছে।
এসময় তিনি বলেন, একজনের একটি ছোট নৌকা বানাতে দুইদিন সময় লাগে। আর প্রতিটি নৌকার মজুরি দেওয়া হয় ২ হাজার টাকা। এছাড়াও একটি বড় নৌকা তৈরিতে সময় লাগে ১৫ দিন থেকে ১ মাস। একটি ৭০ হাত নৌকা বানাতে খরচ পড়ে প্রায় ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা। আমাদের মজুরি উঠে প্রায় ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। নৌকার কাজ করে আমাদের সংসার ভালোই চলছে।
নিকরাইলের নৌকার কারিগর আমিনুল বলেন, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম শাপলা তিনি চরাঞ্চলের মানুষের মাঝে নৌকাগুলো বিতরণের জন্য তৈরি করেছেন বলে শুনেছি। চরাঞ্চলের মানুষের নৌকার চাহিদা থাকায় আমাদের নৌকা তৈরি কাজ বেড়েছে।
গাবসারার রামপুরের নৌকার কারিগর সেলিম জানান, নৌকার কাজ না থাকলে হয়তো এসময় আমাদের বসে থাকতে হতো। এদিকে নৌকার ভালোই চাহিদা রয়েছে। নৌকা বিক্রিও মোটামুটি ভালো। সেই সাথে আমাদের ইনকাম-সোর্সও ভালো হচ্ছে।
গোবিন্দাসী ব্যবসায়ী সাহেবুদ্দিন বলেন, নৌকার এখনও চাহিদা আছে। প্রতিটি ছোট নৌকা ৬ থেকে ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করছি। আজ একটি বিক্রি হয়েছে ৬ হাজার টাকায়। আমার কাছে এখনো ছোট ছোট বেশ কয়েকটি নৌকা রয়েছে।
বাঘায় জ্বালানী তেল ওজনে কম দেওয়ায় ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা