দেশে ৭৩ শতাংশের পুষ্টিকর খাবার কেনার সামর্থ্য নেই: জাতিসংঘ
- প্রকাশিত সময় ১১:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ জুলাই ২০২২
- / 142
স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:১৯ অপরাহ্ন, ১৫ জুলাই ২০২২
জাতিসংঘের খাদ্য নিরাপত্তাবিষয়ক এক গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ মানুষের পুষ্টিকর খাবার কিনে খাওয়ার সামর্থ্য নেই। একই গবেষণার তথ্য মতে বাংলাদেশের থেকে ভালো অবস্থানে রয়েছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।
সম্প্রতি জাতিসংঘের পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের ‘বৈশ্বিক খাদ্যনিরাপত্তা ও পুষ্টি পরিস্থিতি’ শীর্ষক এক বৈশ্বিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। সম্মিলিতভাবে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও), আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন সংস্থা (ইফাদ), ইউনিসেফ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছেন।
প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, দক্ষিণ এশিয়ায় দেশগুলোর মধ্যে মোট জনসংখ্যার হারে স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্যের দিক থেকে সবচেয়ে পিছিয়ে নেপাল, তারপরই পাকিস্তানের অবস্থান। ভারতের অবস্থান বাংলাদেশ থেকে কিছুটা ভালো। ভালো অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা ও ভুটান।
শতাংশের হিসাবে দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশের ৭৩ শতাংশ, ভারতের ৭০ শতাংশ, ভুটানের ৫৩ শতাংশ, নেপালের ৮৪ শতাংশ, পাকিস্তানের ৮৩ শতাংশ ও শ্রীলঙ্কার ৪৯ শতাংশ মানুষের স্বাস্থ্যকর খাদ্য কেনার সামর্থ্য নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষুধা নির্মূল, খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং সব ধরনের অপুষ্টি দূর করার চ্যালেঞ্জ বাড়ছে। কোভিড-১৯ মহামারি বৈশ্বিক কৃষি খাদ্যব্যবস্থার দুর্বলতা, ভঙ্গুরতা ও সমাজের বিরাজমান বৈষম্যকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে। এ মহামারি বৈশ্বিক ক্ষুধা ও খাদ্য অনিশ্চয়তা বাড়িয়েছে। অনেক উন্নতির পরও শিশুদের অপুষ্টি বড় উদ্বেগের কারণ হয়ে আছে। মায়েদের মধ্যে রক্তস্বল্পতা ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে স্থূলতা উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছেছে।
স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে না পেয়ে বর্তমানে দেশে ১১ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছে। দেড় দশক আগে এ হার ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সী ১০ শতাংশ শিশু কৃশকায় অর্থাৎ এরা তীব্র অপুষ্টির শিকার। পাশাপাশি একই বয়সী ৩০ শতাংশ শিশু খর্বকায়, অর্থাৎ বয়সের তুলনায় এদের উচ্চতা কম। অন্যদিকে ২ শতাংশের বেশি শিশুর ওজন স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। বিভিন্ন সময়ের শিশু পুষ্টির যে তথ্য দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে, কৃশকায় ও খর্বকায় শিশুর হার দিন দিন কমছে, তবে অস্বাভাবিক বেশি ওজনের শিশুর হার বাড়ছে।
বয়স্ক মানুষের মধ্যেও বেশি ওজনের প্রবণতা বাড়ছে। ২০১২ সালে অস্বাভাবিক ওজনের মানুষ ছিল মোট জনসংখ্যার ২ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৬ সালে তা বেড়ে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে দাঁড়ায়।
নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতির অবনতির কথা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ২০১২ সালে ১৫ থেকে ৪৯ বছর বয়সী নারীদের ৩৬ শতাংশের মধ্যে রক্তস্বল্পতা ছিল। ক্রমে এ হার কমে আসার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। ২০১৯ সালে একই বয়সী নারীদের ৩৭ শতাংশের এ সমস্যা ছিল।
হারিয়ে যাওয়া পর্যটকদের উদ্ধার করল পুলিশ বড়াইগ্রামে ভবানীপুর মসজিদে জুমা’র নামাজ আদায়ে বাধা, এলাকায় উত্তেজনা শিশুদের মধ্যে বন্ধুত্বের চর্চা না থেকে অসুস্থ্য চর্চা চলে আসছে: ডিআইজি মোজাম্মেল ফেনীর সোনাগাজীতে ১০ বছরের সাজা এড়াতে ৩০ বছর পাকিস্তানে সাঁথিয়ায় চলন্ত ট্রেনের ধাক্কায় মহিলার মৃত্যু আতাইকুলার প্রবীণ রাজনীতিক আব্দুল হাই শেখের ৩য় মৃত্যুবার্ষিকী আজ
তাড়াশে ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত
বাঘায় স্কুল ছাত্রের লাশ উদ্ধার : ৩ বন্ধু আটক
সাঁথিয়ায় জাহানারা আলম ফাউন্ডেশনের শিক্ষার্থী বৃত্তি প্রদান
শাহজাদপুরে খেলার মাঠ রক্ষায় মানববন্ধন