ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সুজানগরে চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে ডিসি অফিসে নালিশ দিলেন কথিত বঞ্চিতরা!

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২
  • / 47

ভূক্তোভোগী চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪২ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২২


পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাবনা কার্যালয় বরাবর লিখিত আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে সুজানগরের কথিত বঞ্চিত ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ জুলাই) নিজের সাক্ষর জাল করার অপরাধে হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে এক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৯ ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ভূক্তোভোগী হাটখালী ইউপি চেয়ারমান ফিরোজ আহমেদ খান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, একটি মহল আমাকে অপরাধী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বা দোষী সাব্যস্ত করতে আমাকে না জানিয়ে আমার সাক্ষর জাল করে পাবনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাবনা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান। সেখানে আমার নাম ও সাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে আমার থেকে কেউ শোনেনি। বিষয়টি আমার নজরে আসলে হতভম্ব হই।

যারা আমার সাক্ষর জাল করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের নামে কথিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার দিয়েছি তারাই এর বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। যদি কেউ পদক্ষেপ না নেন তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

একজন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে কিভাবে সরকারী দপ্তরে আরেকজনের নামে অভিযোগ দিলেন বিষয়টি জানতে সুজানগরের দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রওশন আলম বলেন, আমি এবং আমার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে তাদের না জানিয়ে সরকারী দপ্তরে তাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। এর ভিত্তিকে কয়েকজন চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে হাটখালীর চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে সাক্ষরও করা আছে অথচ আমি কিছুই জানি না।

একজন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, উপজেলা পরিষদের সকল কাজ নিয়ম নীতি অনুযায়ী পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম বা চেয়ারম্যানদের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। সরকারী কাজ কাজের ধারাবাহিকভাবে হয়ে যাচ্ছে। কেউ আসলেও কাজ হবে আবার না আসলেও সম্পন্ন হবে। আমি সকল চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তি এসব চেয়ারম্যানকে ব্যবহার করতেছে। অহেতুক চেয়ারম্যানরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। সকল বরাদ্দ সবাইকে সমানভাবে বন্টন করে দেওয়া হলেও তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। এসব চেয়ারম্যানরা ইউপিতে বিভিন্ন অপকর্ম করলে তার প্রতিবাদ করলে তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

কৃষি পূর্ণবাসন কৃষকের মাঝে স্যার বীজ, দুস্থদের মাঝে ঢেউ টিন, গ্রাম পুলিশের বাইসাইকেল বিতরণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দুস্তদের মাঝে ঘর বরাদ্দ বিতরণ করার সময় সকল চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে দাওয়াত দেওয়া হলেও তারা আসেন না। উপজেলা থেকে লোক পাঠিয়েও তাদের আনা সম্ভব হয়না।

এককথা সকল কাজেই সবাইকে অবহিত করা হলেও তারা আসেন না। মাসিক মিটিংয়ে উপস্থিতি সাক্ষর না দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল আমি ও নির্বাহী অফিসার সাক্ষর দিতে বললেও তারা সাক্ষর না দিয়ে চলে যায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজকে তারা বাধাগ্রস্ত করছে। আশানুরূপ উন্নয়ন হলেও এসব কথিত বঞ্চিত চেয়ারম্যানদের কারণে দুর্নাম হচ্ছে।

তাছাড়াও জাতীয় দিবস যেমন- ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ ২৬ শে মার্চ, ১৫, ২১শে আগস্ট ১৬ ডিসেম্বরসহ সকল দিবসে চিঠি দিয়ে দাওয়াত দিলেও আসে না। কিছু চেয়ারম্যান অহেতুক বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


এই রকম আরও টপিক

সুজানগরে চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে ডিসি অফিসে নালিশ দিলেন কথিত বঞ্চিতরা!

প্রকাশিত সময় ০৯:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুলাই ২০২২

ভূক্তোভোগী চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:৪২ অপরাহ্ন, ১৮ জুলাই ২০২২


পাবনার সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় পাবনা কার্যালয় বরাবর লিখিত আবেদন করার অভিযোগ উঠেছে সুজানগরের কথিত বঞ্চিত ইউপি চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৮ জুলাই) নিজের সাক্ষর জাল করার অপরাধে হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহম্মেদ খান সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এর আগে গত রোববার (১৭ জুলাই) বিকেলে সুজানগর উপজেলার হাটখালী ইউপি চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে এক ভাইস চেয়ারম্যানসহ ৯ ইউপি চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনুজ্জামান শাহীন ও নির্বাহী অফিসার মো.রওশন আলমের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

ভূক্তোভোগী হাটখালী ইউপি চেয়ারমান ফিরোজ আহমেদ খান লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, একটি মহল আমাকে অপরাধী হিসেবে প্রমাণ করার জন্য বা দোষী সাব্যস্ত করতে আমাকে না জানিয়ে আমার সাক্ষর জাল করে পাবনার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাবনা কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলার একজন পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান ও ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যান। সেখানে আমার নাম ও সাক্ষর রয়েছে। এ বিষয়ে আমার থেকে কেউ শোনেনি। বিষয়টি আমার নজরে আসলে হতভম্ব হই।

যারা আমার সাক্ষর জাল করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের নামে কথিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি দাবি করেন তিনি। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিচার দিয়েছি তারাই এর বিষয়ে পদক্ষেপ নিবেন। যদি কেউ পদক্ষেপ না নেন তাহলে আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

একজন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে কিভাবে সরকারী দপ্তরে আরেকজনের নামে অভিযোগ দিলেন বিষয়টি জানতে সুজানগরের দুলাই ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম শাহজাহানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এজন্য বক্তব্য দেওয়া হয়নি।

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. রওশন আলম বলেন, আমি এবং আমার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করে তাদের না জানিয়ে সরকারী দপ্তরে তাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ জমা দিয়েছেন বলে শুনেছি। এর ভিত্তিকে কয়েকজন চেয়ারম্যানকে ফোন দিলে হাটখালীর চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান আমার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার নাম উল্লেখ করা হয়েছে সেখানে সাক্ষরও করা আছে অথচ আমি কিছুই জানি না।

একজন চেয়ারম্যানের সাক্ষর জাল করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষয়টি খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সুজানগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক, শাহীনুজ্জামান শাহীন বলেন, উপজেলা পরিষদের সকল কাজ নিয়ম নীতি অনুযায়ী পরিচালনা করা হচ্ছে। এখানে কোন অনিয়ম বা চেয়ারম্যানদের বঞ্চিত করার সুযোগ নেই। সরকারী কাজ কাজের ধারাবাহিকভাবে হয়ে যাচ্ছে। কেউ আসলেও কাজ হবে আবার না আসলেও সম্পন্ন হবে। আমি সকল চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু কিছু অদৃশ্য শক্তি এসব চেয়ারম্যানকে ব্যবহার করতেছে। অহেতুক চেয়ারম্যানরা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। সকল বরাদ্দ সবাইকে সমানভাবে বন্টন করে দেওয়া হলেও তারা আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। এসব চেয়ারম্যানরা ইউপিতে বিভিন্ন অপকর্ম করলে তার প্রতিবাদ করলে তারা আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছে।

কৃষি পূর্ণবাসন কৃষকের মাঝে স্যার বীজ, দুস্থদের মাঝে ঢেউ টিন, গ্রাম পুলিশের বাইসাইকেল বিতরণ, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক দুস্তদের মাঝে ঘর বরাদ্দ বিতরণ করার সময় সকল চেয়ারম্যানকে চিঠি দিয়ে দাওয়াত দেওয়া হলেও তারা আসেন না। উপজেলা থেকে লোক পাঠিয়েও তাদের আনা সম্ভব হয়না।

এককথা সকল কাজেই সবাইকে অবহিত করা হলেও তারা আসেন না। মাসিক মিটিংয়ে উপস্থিতি সাক্ষর না দিয়ে বের হয়ে যাচ্ছিল আমি ও নির্বাহী অফিসার সাক্ষর দিতে বললেও তারা সাক্ষর না দিয়ে চলে যায়। শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজকে তারা বাধাগ্রস্ত করছে। আশানুরূপ উন্নয়ন হলেও এসব কথিত বঞ্চিত চেয়ারম্যানদের কারণে দুর্নাম হচ্ছে।

তাছাড়াও জাতীয় দিবস যেমন- ২১শে ফেব্রুয়ারি, ৭ই মার্চ ২৬ শে মার্চ, ১৫, ২১শে আগস্ট ১৬ ডিসেম্বরসহ সকল দিবসে চিঠি দিয়ে দাওয়াত দিলেও আসে না। কিছু চেয়ারম্যান অহেতুক বিশৃঙ্খলা তৈরির চেষ্টা করছে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ