ঢাকা ০৬:৫৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

প্রাকৃতিক উৎসে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে : পাবনা জেলা প্রশাসক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • / 87
একটি গ্রামীণ পুকুর। ছবি: সংগৃহীত


স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২২


পাবনায় কমেছে প্রাকৃতিকভাবে মৎস আহরণ : ২০ বছর আগেও জেলায় ৮৬ ভাগ মৎস আহরণ হতো নদী-খাল-বিল থেকে, এখন হয় পুকুর জলাশয় থেকে।

পাবনায় দিন দিন মৎস চাষ বাড়লেও কমছে প্রাকৃতিক মৎস আহরণ। দুই দশক আগেও প্রাকৃতিক মৎসভান্ডার খ্যাত চলনবিলসহ পাবনা জেলার শতকরা ৮৬ ভাগ মৎস আহরণ হতো প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এবং ১৪ ভাগ মাছ চাষ হতো পুকুর জলাশয়ে। এখন ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। এখন পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় শতকরা ৮৫ ভাগ মৎস উৎপাদন করা হচ্ছে পুকুর, জলাশয়, নয়নজলি ও অন্যান্য স্থানে এবং ১৫ ভাগ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নদী ও বিল থেকে আহরণ করা হচ্ছে। ফলে কমে গেছে মাছের স্বাদ ও গন্ধ। প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং পুকুর জলাশয়ে মাছের খাদ্য বিষয়ে সচেতন না হলে বিপুল মাছ চাষ করেও মানুষ সে মাছ খেতে আগ্রহ দেখাবে না। এ রকম পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার থেকে পাবনায় শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস সপ্তাহ।

পাবনা জেলা মৎস অফিস সুত্র জানায়, পদ্মা, যমুনা, বড়াল, গুমানি, চিকনাই, করোতোয়া নদী ও চলনবিলবেষ্টিত পাবনা জেলার ৯টি উপজেলার আয়তন ২ হাজার ৩৭১ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। জেলায় ২৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৮৪ জনসংখ্যার জন্য বছরে মাছের চাহিদা ৫১ হাজার ৭৩২ মেট্রিকটন। ২০২১-২২ সালে মৎস উৎপাদন হয়েছে ৬৯ হাজার ৫৬৪ মেট্রিকটন। চাহিদার তুলনায় ১৭ হাজার ৮৩২ মেট্রিকটন বেশী। ২০২২-২০২৩ সালে মৎস চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।

সুত্র আরও জানায়, পাবনা জেলায় ১৫৪৯ গ্রামে ১০৫৪৬ হেক্টর জমিতে ৩৯১০২ টি পুকুর রয়েছে। বানিজ্যিক খামারের ২৪৩০ হেক্টর জমিতে পুকুর রয়েছে ২১১০ টি। ১০৬ টি খাল, ২১২ টি বিল, ১১টি নদী, ধান ক্ষেতে মাছ চাষ ৭৬২ টি, প্রøাবনভুমিতে মাছ চাষ ২৩৩ টি স্থানে, বুরোপিঠে মাছ চাষ ৬৩৫টি স্থানে, খাঁচায় মাছ চাষ ৪৪০টি স্থানে। সরকারি হ্যাচারী ৩টি। ইলিশ আহরণ ২৩০ মেট্রিকটন। মৎস অভয় আশ্রম ৩১টি। মৎস চাষীর সংখ্য ২১৪৫৪ জন।

পাবনা জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, নদী ও বিল থেকে প্রাকৃতিক মৎস আহরণ এখন মাত্র ১৫ শতাংশ। যা আগে ছিল ৮৬ শতাংশ। এখন পুকুর ও অন্যান্য উৎস থেকে উৎপাদন হচ্ছে শতকরা ৮৫ শতাংশ। যা ২০ বছর আগে ছিল ১৪ শতাংশ। তিনি বলেন, সরকার প্রাকৃতিক মৎস আহরণে কাজ করছে।

পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বার্তা সংস্থা পিপ-কে বলেন, পুকুর জলাশয়ের যে সব স্থানে মাছ উৎপাদন হয় সে সব স্থানে মাছের খাবারের মান বাড়াতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক উৎসে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পুকুরের মাছের খাদ্যে কোন প্রকার অসাধুতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


প্রাকৃতিক উৎসে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে : পাবনা জেলা প্রশাসক

প্রকাশিত সময় ০৪:২৫:২৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
একটি গ্রামীণ পুকুর। ছবি: সংগৃহীত


স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২২


পাবনায় কমেছে প্রাকৃতিকভাবে মৎস আহরণ : ২০ বছর আগেও জেলায় ৮৬ ভাগ মৎস আহরণ হতো নদী-খাল-বিল থেকে, এখন হয় পুকুর জলাশয় থেকে।

পাবনায় দিন দিন মৎস চাষ বাড়লেও কমছে প্রাকৃতিক মৎস আহরণ। দুই দশক আগেও প্রাকৃতিক মৎসভান্ডার খ্যাত চলনবিলসহ পাবনা জেলার শতকরা ৮৬ ভাগ মৎস আহরণ হতো প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে এবং ১৪ ভাগ মাছ চাষ হতো পুকুর জলাশয়ে। এখন ঘটেছে তার উল্টো ঘটনা। এখন পাবনা জেলার ৯টি উপজেলায় শতকরা ৮৫ ভাগ মৎস উৎপাদন করা হচ্ছে পুকুর, জলাশয়, নয়নজলি ও অন্যান্য স্থানে এবং ১৫ ভাগ প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে নদী ও বিল থেকে আহরণ করা হচ্ছে। ফলে কমে গেছে মাছের স্বাদ ও গন্ধ। প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং পুকুর জলাশয়ে মাছের খাদ্য বিষয়ে সচেতন না হলে বিপুল মাছ চাষ করেও মানুষ সে মাছ খেতে আগ্রহ দেখাবে না। এ রকম পরিস্থিতিতে গতকাল রোববার থেকে পাবনায় শুরু হচ্ছে জাতীয় মৎস সপ্তাহ।

পাবনা জেলা মৎস অফিস সুত্র জানায়, পদ্মা, যমুনা, বড়াল, গুমানি, চিকনাই, করোতোয়া নদী ও চলনবিলবেষ্টিত পাবনা জেলার ৯টি উপজেলার আয়তন ২ হাজার ৩৭১ দশমিক ৫০ বর্গকিলোমিটার। জেলায় ২৬ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৮৪ জনসংখ্যার জন্য বছরে মাছের চাহিদা ৫১ হাজার ৭৩২ মেট্রিকটন। ২০২১-২২ সালে মৎস উৎপাদন হয়েছে ৬৯ হাজার ৫৬৪ মেট্রিকটন। চাহিদার তুলনায় ১৭ হাজার ৮৩২ মেট্রিকটন বেশী। ২০২২-২০২৩ সালে মৎস চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭১ হাজার ৪৫০ মেট্রিক টন।

সুত্র আরও জানায়, পাবনা জেলায় ১৫৪৯ গ্রামে ১০৫৪৬ হেক্টর জমিতে ৩৯১০২ টি পুকুর রয়েছে। বানিজ্যিক খামারের ২৪৩০ হেক্টর জমিতে পুকুর রয়েছে ২১১০ টি। ১০৬ টি খাল, ২১২ টি বিল, ১১টি নদী, ধান ক্ষেতে মাছ চাষ ৭৬২ টি, প্রøাবনভুমিতে মাছ চাষ ২৩৩ টি স্থানে, বুরোপিঠে মাছ চাষ ৬৩৫টি স্থানে, খাঁচায় মাছ চাষ ৪৪০টি স্থানে। সরকারি হ্যাচারী ৩টি। ইলিশ আহরণ ২৩০ মেট্রিকটন। মৎস অভয় আশ্রম ৩১টি। মৎস চাষীর সংখ্য ২১৪৫৪ জন।

পাবনা জেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, নদী ও বিল থেকে প্রাকৃতিক মৎস আহরণ এখন মাত্র ১৫ শতাংশ। যা আগে ছিল ৮৬ শতাংশ। এখন পুকুর ও অন্যান্য উৎস থেকে উৎপাদন হচ্ছে শতকরা ৮৫ শতাংশ। যা ২০ বছর আগে ছিল ১৪ শতাংশ। তিনি বলেন, সরকার প্রাকৃতিক মৎস আহরণে কাজ করছে।

পাবনার জেলা প্রশাসক বিশ্বাস রাসেল হোসেন বার্তা সংস্থা পিপ-কে বলেন, পুকুর জলাশয়ের যে সব স্থানে মাছ উৎপাদন হয় সে সব স্থানে মাছের খাবারের মান বাড়াতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে প্রাকৃতিক উৎসে মাছের বংশ বৃদ্ধিতে সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, পুকুরের মাছের খাদ্যে কোন প্রকার অসাধুতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ