ঢাকা ০৮:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনায় জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া : হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করার পর এবার মেরে ফেলার দম্ভোক্তি

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
  • / 67
ঢাকা পঙ্গুহাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম মুন্নু।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:২৫ অপরাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২২


পাবনায় জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া : হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করার পর এবার মেরে ফেলার দম্ভোক্তি

পাবনার নুরপুরে জমি জমা নিয়ে বিরোধের পর জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত ব্যাক্তিরা পঙ্গু হাসপাতালের যন্ত্রনায় ছটফট করলেও মামলা তুলে না নিলে করার পর এবার বাদীকে মেরে ফেলার দম্ভোক্তি দেখিয়েছে আসামীরা। বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গত ৮ জুলাই পাবনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে শহরের নুরপুর এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্নু (৪৮) নামে এক লৌহ ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। ৮ জুলাই (শুক্রবার) জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে এই হামলার শিকার হন তিনি। এই হামলার ঘটনায় আহত সাইফুল ইসলামের ভাই মোঃ আসমত শেখ ৯ জুলাই বাদি হয়ে পাবনা সদর থানাতে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নথিভুক্ত হলে হামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলার অন্যান্য আসামীরা আদালত থেকে অগ্রিম জামিন লাভ করেন। বর্তমানে এই মামলার অন্যতম আসামী মোঃ প্রান্ত জেল হাজতে আছেন। বাকী সকলেই জামিনে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় পরিকল্পকারী ও অন্যান্য আসামীরা হলেন, নূরপুর দক্ষিণ পাড়া মহল্লার মৃত, মোজাম্মেল হকের মেয়ে মোছা. রেবেকা পারভীন (৩৩) ও ছেলে মোঃ রিয়াজুল (৩০)। একই গ্রামের মোঃ একরাম হোসেনের ছেলে মোঃ শান্ত হোসেন (২৪) ও মোঃ প্রান্ত হোসেন (২২)। একই মহল্লার মোঃ আরিফ ড্রাইভারের ছেলে মোঃ শান্ত (২২) ও মোঃ নিবির (২০)। মোঃ নজরুল মিস্ত্রীর ছেলে মোঃ রাব্বী (২২), নূর মোহম্মদ সাকনের ছেলে মোঃ রবিন (২৮), মোঃ রতনের ছেলে মোঃ শাওন (৩৩)।

এজাহার সূত্রে জানাযায়, ঘটনার দিন দুপুরে নূরপুর এলাকার মৃত জুলমত আলীর ছেলে পৌর এলাকার লৌহ ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্নু বাসা থেকে জুম্বার নামাজ পড়তে বের হন। পথমধ্যে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপরে হামলা করে। হামলাকারীরা তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুরী দিয়ে বেধরক মারপিট করে পায়ের হাড্ডি গুড়ো করে ফেলেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতী হলে দ্রুত তাকে ঢাকা পঙ্গুহাসপাতালে স্থান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গুরুত্বর আহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন মুন্নি কান্না জড়িত কন্ঠে বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, আমার পরিবারের ছেলে মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওরা। আমার স্বামীকে মেরেছে আবার আমার ছোট ছেলে ও মেয়েকে মারার জন্য হুমকি দিচ্ছে, মামলা তুলেনিতে বলছে। নিরাপত্তাহিনতায় মধ্যে আছি আমরা। বাসাতে তালাদিয়ে ঢাকাতে স্বামী নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিসা করাচ্ছি। ওরা জোরপূর্বক আমাদের বসত বাড়ির জমি দখল করে নিতে চায়। সমঝতা করা জমি সেখানে সকলেই ভালো ভাবে বসবাস করছিলোম। বুঝতেই পারি নাই তারা আমাদের এত বড় ক্ষতি করবে। আমাদের বাঁচান আমাদের সহযোগিতা করামত কেউ নেই। কি করবো কার কাছে যাবো। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই আমরা। নিরাপত্তা চাই আমরা। এই সকল সন্ত্রাসী যারা নারী পুরুষ সকলেই খারাপ আমরা সাধারন মানুষ আমাদের বাঁচান।

মামলার বাদী মোঃ আসমত শেখ বলেন, পুলিশতো কোন আসামী ধরেনাই ওরা সকলেই আদালতের মাধ্যমে অগ্রিম জামিন নিয়েছে। জামিন নিয়ে আমাদের হুমকি ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এর আগেও তারা আমাদেরকে মেরেছে। তাদের জমির সমস্যা অন্যের সাথে তার সাথে জুত করতে না পেরে আমার ভাইয়ের জমির দিকে তাদের নজর। অনেকবার বসা হয়েছে সমঝতা হয়েছে। ঈদের পরে আবারো বসার কথা ছিলো। এখন আমার ভাইয়ের ছেলে ও মেয়ে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। তারা নানা ভাবে ক্ষতি করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমার ভাই ঢাকাতে আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছে। তার মাথা ও পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। অপারেশন করবে ডাক্তার। খুব চিন্তার মধ্যে আছি আমরা। কি করবো আমরা কার কাছে যাবো বুঝে উঠতে পারছিনা। ওরা জামিনে মুক্ত হয়ে তাদের সাহস আরো বৃদ্ধি পেয়ছে। মামলা করলে কিছুু হয়না এখন আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম রাসেল কবির বলেন, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলছে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীরা সকলেই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। এই মামলার একজন আসামী জেল হাজতে আছে। ঘটনাটি জমিজমা নিয়ে তারা সকলেই একে অপরের আত্মীয় স্বজন। জমির ওয়ারিশানা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। এরই জের ধরে তার উপরে হামলা হয়েছে। তবে জামিনে লাভ করে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানো বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুত্র জানায়, আহত ব্যাক্তির এক ছেলে এক মেয়ে। তার ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম সেমিষ্টার এবং মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। এখন তার দুটি সন্তানই নিরাপত্তাহীনতায় অন্য স্থানে অবস্থান করছে। আহত ব্যাক্তি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও পুরো পরিবারের ভরন-পোষণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনায় জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া : হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করার পর এবার মেরে ফেলার দম্ভোক্তি

প্রকাশিত সময় ০৯:৩৮:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ জুলাই ২০২২
ঢাকা পঙ্গুহাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম মুন্নু।


পাবনা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৯:২৫ অপরাহ্ন, ২৫ জুলাই ২০২২


পাবনায় জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া : হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে পঙ্গু করার পর এবার মেরে ফেলার দম্ভোক্তি

পাবনার নুরপুরে জমি জমা নিয়ে বিরোধের পর জামিন পেয়ে আসামীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত ব্যাক্তিরা পঙ্গু হাসপাতালের যন্ত্রনায় ছটফট করলেও মামলা তুলে না নিলে করার পর এবার বাদীকে মেরে ফেলার দম্ভোক্তি দেখিয়েছে আসামীরা। বিষয়টি এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, গত ৮ জুলাই পাবনায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে হত্যার উদ্দেশ্যে শহরের নুরপুর এলাকার মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্নু (৪৮) নামে এক লৌহ ব্যবসায়ীকে ধারালো অস্ত্র ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা। ৮ জুলাই (শুক্রবার) জুম্মার নামাজ আদায় করতে যাওয়ার পথে এই হামলার শিকার হন তিনি। এই হামলার ঘটনায় আহত সাইফুল ইসলামের ভাই মোঃ আসমত শেখ ৯ জুলাই বাদি হয়ে পাবনা সদর থানাতে হামলাকারীদের নাম উল্লেখ করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। প্রাথমিক তদন্ত শেষে মামলা নথিভুক্ত হলে হামলার ঘটনার সাথে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকজন আসামীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে মামলার অন্যান্য আসামীরা আদালত থেকে অগ্রিম জামিন লাভ করেন। বর্তমানে এই মামলার অন্যতম আসামী মোঃ প্রান্ত জেল হাজতে আছেন। বাকী সকলেই জামিনে রয়েছেন।

পুলিশ জানায়, হামলার ঘটনায় পরিকল্পকারী ও অন্যান্য আসামীরা হলেন, নূরপুর দক্ষিণ পাড়া মহল্লার মৃত, মোজাম্মেল হকের মেয়ে মোছা. রেবেকা পারভীন (৩৩) ও ছেলে মোঃ রিয়াজুল (৩০)। একই গ্রামের মোঃ একরাম হোসেনের ছেলে মোঃ শান্ত হোসেন (২৪) ও মোঃ প্রান্ত হোসেন (২২)। একই মহল্লার মোঃ আরিফ ড্রাইভারের ছেলে মোঃ শান্ত (২২) ও মোঃ নিবির (২০)। মোঃ নজরুল মিস্ত্রীর ছেলে মোঃ রাব্বী (২২), নূর মোহম্মদ সাকনের ছেলে মোঃ রবিন (২৮), মোঃ রতনের ছেলে মোঃ শাওন (৩৩)।

এজাহার সূত্রে জানাযায়, ঘটনার দিন দুপুরে নূরপুর এলাকার মৃত জুলমত আলীর ছেলে পৌর এলাকার লৌহ ব্যবসায়ী মোঃ সাইফুল ইসলাম মুন্নু বাসা থেকে জুম্বার নামাজ পড়তে বের হন। পথমধ্যে আগে থেকে ওৎপেতে থাকা সন্ত্রাসীরা তার উপরে হামলা করে। হামলাকারীরা তাকে দেশীয় ধারালো অস্ত্র ও হাতুরী দিয়ে বেধরক মারপিট করে পায়ের হাড্ডি গুড়ো করে ফেলেন। এ সময় তার চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পরিবার ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতী হলে দ্রুত তাকে ঢাকা পঙ্গুহাসপাতালে স্থান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

গুরুত্বর আহত সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ আমেনা খাতুন মুন্নি কান্না জড়িত কন্ঠে বার্তা সংস্থা পিপ‘কে বলেন, আমার পরিবারের ছেলে মেয়েকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে ওরা। আমার স্বামীকে মেরেছে আবার আমার ছোট ছেলে ও মেয়েকে মারার জন্য হুমকি দিচ্ছে, মামলা তুলেনিতে বলছে। নিরাপত্তাহিনতায় মধ্যে আছি আমরা। বাসাতে তালাদিয়ে ঢাকাতে স্বামী নিয়ে পঙ্গু হাসপাতালে চিকিসা করাচ্ছি। ওরা জোরপূর্বক আমাদের বসত বাড়ির জমি দখল করে নিতে চায়। সমঝতা করা জমি সেখানে সকলেই ভালো ভাবে বসবাস করছিলোম। বুঝতেই পারি নাই তারা আমাদের এত বড় ক্ষতি করবে। আমাদের বাঁচান আমাদের সহযোগিতা করামত কেউ নেই। কি করবো কার কাছে যাবো। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা চাই আমরা। নিরাপত্তা চাই আমরা। এই সকল সন্ত্রাসী যারা নারী পুরুষ সকলেই খারাপ আমরা সাধারন মানুষ আমাদের বাঁচান।

মামলার বাদী মোঃ আসমত শেখ বলেন, পুলিশতো কোন আসামী ধরেনাই ওরা সকলেই আদালতের মাধ্যমে অগ্রিম জামিন নিয়েছে। জামিন নিয়ে আমাদের হুমকি ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এর আগেও তারা আমাদেরকে মেরেছে। তাদের জমির সমস্যা অন্যের সাথে তার সাথে জুত করতে না পেরে আমার ভাইয়ের জমির দিকে তাদের নজর। অনেকবার বসা হয়েছে সমঝতা হয়েছে। ঈদের পরে আবারো বসার কথা ছিলো। এখন আমার ভাইয়ের ছেলে ও মেয়ে স্কুলে যেতে ভয় পাচ্ছে। তারা নানা ভাবে ক্ষতি করার জন্য হুমকি দিচ্ছে। আমার ভাই ঢাকাতে আশঙ্কাজন অবস্থায় রয়েছে। তার মাথা ও পায়ের অবস্থা খুব খারাপ। অপারেশন করবে ডাক্তার। খুব চিন্তার মধ্যে আছি আমরা। কি করবো আমরা কার কাছে যাবো বুঝে উঠতে পারছিনা। ওরা জামিনে মুক্ত হয়ে তাদের সাহস আরো বৃদ্ধি পেয়ছে। মামলা করলে কিছুু হয়না এখন আমাদেরকে প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম রাসেল কবির বলেন, এই হামলার ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম চলছে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামীরা সকলেই আদালতে হাজিরা দিয়ে জামিন নিয়েছেন। এই মামলার একজন আসামী জেল হাজতে আছে। ঘটনাটি জমিজমা নিয়ে তারা সকলেই একে অপরের আত্মীয় স্বজন। জমির ওয়ারিশানা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ঝামেলা চলছিলো। এরই জের ধরে তার উপরে হামলা হয়েছে। তবে জামিনে লাভ করে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখানো বিষয়ে আমাদের কাছে কোন অভিযোগ আসেনি। আইন অমান্য করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুত্র জানায়, আহত ব্যাক্তির এক ছেলে এক মেয়ে। তার ছেলেটি ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম সেমিষ্টার এবং মেয়েটি সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছে। এখন তার দুটি সন্তানই নিরাপত্তাহীনতায় অন্য স্থানে অবস্থান করছে। আহত ব্যাক্তি পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হওয়ায় তার পরিবারের পক্ষে চিকিৎসা ব্যয় বহন করা সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও পুরো পরিবারের ভরন-পোষণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে। এমন অবস্থায় তারা এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার দাবি করেছেন। – পিপ নিউজ

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ