ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় ছাত্রের পাঁচ শিক্ষক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৯
  • / 72

ইসলাম পিপুল, (চলনবিল) প্রতিনিধি: ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা কাচারিবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। আবার পাঁচজনের তিনজন একই পরিবারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাথরঘাটা কাচাড়ি বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক আশ্চর্য চিত্র। বিদ্যালয় ভবনে মোট ৪টি কক্ষ। একটি কক্ষ ফাঁকা। একটি কক্ষে চলছে অফিসের কার্যক্রম।

বাকি দুটি কক্ষের একটিতে দুই জন শিক্ষার্থী নিয়ে বসে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন অপর কক্ষে চার জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন প্রধান শিক্ষকের শ্যালক সহকারি শিক্ষক বেলাল খাঁন।

অফিসে বসে আছেন প্রধান শিক্ষকের সহধর্মীনি শাহানাজ পারভিন ও সহকারী দুই শিক্ষক শামীমা ও জহুরুল। আবার এই বিদ্যালয়ের সভাপতির দ্বায়িত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষকের চাচা শ্বশুর গোলজার খাঁন।

প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে মোট বায়ান্ন জন শিক্ষার্থী রযেছেন। তবে উপস্থিতি কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এই মহল্লার শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে আসে না অন্যরা দুরে হওয়ায় নিয়মিত আসে না।

এলাবাসী জানান, এখানে শিক্ষকেরা পড়াশোনা করায় না। তাই আমাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে পাঠিয়েছি। আগে তো ঠিক সময়ে স্কুলই খুলত না।

কয়েকদিন আগে উপজেলা থেকে অফিসারেরা এসে বলেছে ঠিক সময়ে স্কুলে না আসলে বেতন বন্ধ করে দেবে তাই স্কুলে আসে।

শিক্ষার্থী মোট দশ জনের বেশি হবে না। এবার সমাপনি পরিক্ষার কোন শিক্ষার্থী নেই। মাঝে মাঝে অন্য স্কুল থেকে দু চার জন শিক্ষার্থী ধার করে পরিক্ষা দেওয়ায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ.ম জাহাঙ্গীর বলেন, এই বিদ্যালয়ে বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চিঠি উপর মহলে পাঠিয়েছি কিন্তু কার্যত কোন সমাধান পাওয়া যায় নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষটি আমি জেনেছি। খোঁজনিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মুনছুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাঙ্গুড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় ছাত্রের পাঁচ শিক্ষক

প্রকাশিত সময় ০৮:২৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০১৯

ইসলাম পিপুল, (চলনবিল) প্রতিনিধি: ভাঙ্গুড়া উপজেলার পাথরঘাটা কাচারিবাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছয় জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন পাঁচজন শিক্ষক। আবার পাঁচজনের তিনজন একই পরিবারে।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পাথরঘাটা কাচাড়ি বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক আশ্চর্য চিত্র। বিদ্যালয় ভবনে মোট ৪টি কক্ষ। একটি কক্ষ ফাঁকা। একটি কক্ষে চলছে অফিসের কার্যক্রম।

বাকি দুটি কক্ষের একটিতে দুই জন শিক্ষার্থী নিয়ে বসে রয়েছেন প্রধান শিক্ষক মোঃ নাসির উদ্দিন অপর কক্ষে চার জন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করছেন প্রধান শিক্ষকের শ্যালক সহকারি শিক্ষক বেলাল খাঁন।

অফিসে বসে আছেন প্রধান শিক্ষকের সহধর্মীনি শাহানাজ পারভিন ও সহকারী দুই শিক্ষক শামীমা ও জহুরুল। আবার এই বিদ্যালয়ের সভাপতির দ্বায়িত্বে রয়েছেন প্রধান শিক্ষকের চাচা শ্বশুর গোলজার খাঁন।

প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের সাথে কথা বলে জানা যায়, তার প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে মোট বায়ান্ন জন শিক্ষার্থী রযেছেন। তবে উপস্থিতি কম কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এই মহল্লার শিক্ষার্থীরা এই বিদ্যালয়ে আসে না অন্যরা দুরে হওয়ায় নিয়মিত আসে না।

এলাবাসী জানান, এখানে শিক্ষকেরা পড়াশোনা করায় না। তাই আমাদের সন্তানদের অন্য স্কুলে পাঠিয়েছি। আগে তো ঠিক সময়ে স্কুলই খুলত না।

কয়েকদিন আগে উপজেলা থেকে অফিসারেরা এসে বলেছে ঠিক সময়ে স্কুলে না আসলে বেতন বন্ধ করে দেবে তাই স্কুলে আসে।

শিক্ষার্থী মোট দশ জনের বেশি হবে না। এবার সমাপনি পরিক্ষার কোন শিক্ষার্থী নেই। মাঝে মাঝে অন্য স্কুল থেকে দু চার জন শিক্ষার্থী ধার করে পরিক্ষা দেওয়ায়।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খ.ম জাহাঙ্গীর বলেন, এই বিদ্যালয়ে বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ। আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চিঠি উপর মহলে পাঠিয়েছি কিন্তু কার্যত কোন সমাধান পাওয়া যায় নাই।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিষটি আমি জেনেছি। খোঁজনিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার খন্দকার মুনছুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা ছিল না। সংশ্লিষ্ঠ উপজেলা কর্মকর্তার সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।