ঢাকা ০৬:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার সেই আলোচিত শিক্ষক এবার স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৩:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 89
সুজানগরের খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক ইমরান হোসেন (৩৮)।

পাবনা জেলা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৮ আগষ্ট ২০২২


একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত ও বরখাস্তকৃত পাবনার সুজানগরের খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক ইমরান হোসেনকে (৩৮) এবার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারাগারা পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মিজানুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারা পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হোসেন পাবনার সুজানগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চর মানিকহাট গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে এবং খলিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নারীর কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কৃত।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, পরস্পর ভালোবাসার সুবাদে ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয়। প্রথমে বিয়ের কাবিননামায় ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হলেও পরবর্তীতে ইমরান হোসেনের যোগসাজস ও প্রতারণা করে তিন দফায় তা কমানো হয়। এরপর তাদের সংসার জীবনে দুইটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই ইমরান বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ করলেও স্ত্রী খালেদা আক্তারকে মাঝেমধ্যেই মারধর করা হয়। তাদের সংসারের সুখের কথা বিবেচনা করে খালেদার পরিবার থেকে একাধিকবার প্রায় ৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এরপরও সংসারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ইমরান।

একপর্যায়ে ৬ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করলে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি স্ত্রী খালেদাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরবর্তীতে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৯ মার্চ আবারও যৌতুকের দাবিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এদিনও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এবিষয়ে সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী খালেদা আক্তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষক ইমরান হোসেনের বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তার বিচারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ, মাববন্ধনসহ আন্দোলনে নামেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা কমিটির এক সভায় তাকে বদলির সুপারিশ করা হয়। এরপর খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি হলেও নারী কেলেঙ্কারি অব্যাহত থাকায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনার সেই আলোচিত শিক্ষক এবার স্ত্রীর দায়েরকৃত নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে

প্রকাশিত সময় ০৩:৪৫:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
সুজানগরের খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক ইমরান হোসেন (৩৮)।

পাবনা জেলা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন, ৮ আগষ্ট ২০২২


একাধিক নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত ও বরখাস্তকৃত পাবনার সুজানগরের খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত শিক্ষক ইমরান হোসেনকে (৩৮) এবার স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় কারাগারা পাঠানো হয়েছে।

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মিজানুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারা পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক ইমরান হোসেন পাবনার সুজানগর উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের চর মানিকহাট গ্রামের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে এবং খলিলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নারীর কেলেঙ্কারির অভিযোগে বিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কৃত।

মামলার এজহার থেকে জানা যায়, পরস্পর ভালোবাসার সুবাদে ২০১১ সালে তাদের বিয়ে হয়। প্রথমে বিয়ের কাবিননামায় ৬ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করা হলেও পরবর্তীতে ইমরান হোসেনের যোগসাজস ও প্রতারণা করে তিন দফায় তা কমানো হয়। এরপর তাদের সংসার জীবনে দুইটি সন্তান জন্ম নেয়। বিয়ের পর থেকেই ইমরান বিভিন্ন নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ে। এসবের প্রতিবাদ করলেও স্ত্রী খালেদা আক্তারকে মাঝেমধ্যেই মারধর করা হয়। তাদের সংসারের সুখের কথা বিবেচনা করে খালেদার পরিবার থেকে একাধিকবার প্রায় ৫ লাখ টাকার উপহার সামগ্রী প্রদান করা হয়। এরপরও সংসারে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে ইমরান।

একপর্যায়ে ৬ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে তা দিতে অস্বীকার করলে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি স্ত্রী খালেদাকে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর আহত করেন। পরবর্তীতে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর চলতি বছরের ২৯ মার্চ আবারও যৌতুকের দাবিতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এদিনও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে এবিষয়ে সুজানগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন স্ত্রী খালেদা আক্তার।

উল্লেখ্য, গত বছরের সেপ্টেম্বরে স্কুলশিক্ষিকার সঙ্গে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হওয়ায় শিক্ষক ইমরান হোসেনের বিপক্ষে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। তার বিচারের দাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভ, মাববন্ধনসহ আন্দোলনে নামেন। এরপর উপজেলা শিক্ষা কমিটির এক সভায় তাকে বদলির সুপারিশ করা হয়। এরপর খলিলপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বদলি হলেও নারী কেলেঙ্কারি অব্যাহত থাকায় তাকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ