ঢাকা ০৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১৫ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

রক্সি পেইন্ট-এর এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যায় জড়িত দুই আসামী গ্রেফতার, লোমহর্ষক বর্ণনা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৭:১৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 116
ভেড়ামারায় লোকমান হোসেন হত্যায় জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১।

ভেড়ামারা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১৫ অপরাহ্ন, ৮ আগষ্ট ২০২২


কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রক্সি পেইন্ট-এর এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২)।

গত রোববার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিকৃতরা হলেন: ভেড়ামারা পৌর দক্ষিণ রেলগেট এলাকার মৃত দাউদ খন্দকার ওরফে মতিয়ার রহমানের ছেলে দর্পণ আলী (৬১) ও দর্পণের ছোট ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২)।

গতকাল সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান। এ সময় তিনি বলেন, গত বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের গলি থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত পরিচয় মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মরদেহটি রক্সি পেইন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বলে তার স্ত্রী শনাক্ত করেন।

নিহত লোকমান হোসেন গত সোমবার (১লা আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার সময় কুষ্টিয়া শহরে তার ভাড়া বাসা থেকে কোম্পানির মালের অর্ডার নেয়া ও বকেয়া বিল আদায়ের জন্য ভেড়ামারা এলাকার উদ্দেশে বের হন। ওইদিন বিকেলে তার স্ত্রী লোকমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পান এবং এরপর থেকে লোকমান হোসেন নিখোঁজ বলে জানান তার স্ত্রী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্ত্রী গত মঙ্গলবার (২রা আগস্ট) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় তার স্বামী নিখোঁজ জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে মরদেহ উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে বুধবার (৩রা আগস্ট) ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১২ সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প-এর একটি আভিযানিক দল র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় আসামি দর্পণের বোনের বাসা ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার আসামি সোহানুর রহমান সোহানের দেখানো মতে গত রবিবার (৭ আগস্ট) হত্যাকাণ্ডের স্থান দর্পণ হার্ডওয়্যারের ভাড়া করা গোডাউন থেকে হত্যাকারীদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। ইলিয়াস খান আরো জানান, মামলার আসামি সোহান হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় অংশ গ্রহণের কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে।

নিহত লোকমান দর্পণ হার্ডওয়্যারে কোম্পানির বকেয়া বিল আদায়ের উদ্দেশ্যে গেলে দর্পণ আলীর বড় ছেলে আব্দুল আউয়াল র‍্যাভেন বকেয়া টাকা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে লোকমানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতে, র‍্যাভেনের ছোট ভাই সোহান লোকমানকে তাদের ভাড়া করা গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ভেড়ামারা কাচারিপাড়া এলাকার শেরেগুল ইসলামের ছেলে প্রান্ত ইসলাম সাব্বির (২১) ও একই এলাকার তাহাজের ছেলে শুভর (২৩) সহযোগিতায় এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে সোহান তার বাবা দর্পণ আলীকে বিষয়টি জানায়। তখন দর্পণ আলী সোহানকে মরদেহ গুম করে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর মঙ্গলবার (২রা আগস্ট) নিহত লোকমানের খোঁজে তার স্ত্রী দর্পণ হার্ডওয়্যারে এলে দর্পণ আলী জানায়, লোকমান আগেরদিন তার দোকানে এসেছিল এবং বকেয়া টাকা নিয়ে চলে গেছে। একই দিন গভীর রাতে র‍্যাভেনের বন্ধু জীবন এবং দর্পণ হার্ডওয়্যারের কর্মচারী তুহিনের পাহারায় ভিকটিমের মরদেহ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের গলিতে ফেলে রাখে। পরে বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে দর্পণ আলী তার ছোট ছেলে সোহানকে নিয়ে বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।

স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের অতিদূত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


রক্সি পেইন্ট-এর এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যায় জড়িত দুই আসামী গ্রেফতার, লোমহর্ষক বর্ণনা

প্রকাশিত সময় ০৭:১৫:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
ভেড়ামারায় লোকমান হোসেন হত্যায় জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব-১২ সিপিসি-১।

ভেড়ামারা সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৭:১৫ অপরাহ্ন, ৮ আগষ্ট ২০২২


কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় রক্সি পেইন্ট-এর এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেন হত্যা মামলায় প্রধান আসামিসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব-১২)।

গত রোববার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার ব্যক্তিকৃতরা হলেন: ভেড়ামারা পৌর দক্ষিণ রেলগেট এলাকার মৃত দাউদ খন্দকার ওরফে মতিয়ার রহমানের ছেলে দর্পণ আলী (৬১) ও দর্পণের ছোট ছেলে সোহানুর রহমান সোহান (২২)।

গতকাল সোমবার (৮ আগস্ট) সকাল ১০টায় র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‍্যাব-১২ কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান। এ সময় তিনি বলেন, গত বুধবার (৩ আগস্ট) সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯ টার সময় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের গলি থেকে পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় একটি অজ্ঞাত পরিচয় মরদেহ উদ্ধার করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ। পরবর্তী সময়ে মরদেহটি রক্সি পেইন্ট কোম্পানি লিমিটেডের কুষ্টিয়া অঞ্চলের এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনের বলে তার স্ত্রী শনাক্ত করেন।

নিহত লোকমান হোসেন গত সোমবার (১লা আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টার সময় কুষ্টিয়া শহরে তার ভাড়া বাসা থেকে কোম্পানির মালের অর্ডার নেয়া ও বকেয়া বিল আদায়ের জন্য ভেড়ামারা এলাকার উদ্দেশে বের হন। ওইদিন বিকেলে তার স্ত্রী লোকমানের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পান এবং এরপর থেকে লোকমান হোসেন নিখোঁজ বলে জানান তার স্ত্রী। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার স্ত্রী গত মঙ্গলবার (২রা আগস্ট) কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানায় তার স্বামী নিখোঁজ জানিয়ে একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

পরে মরদেহ উদ্ধারের পরিপ্রেক্ষিতে নিহতের স্ত্রী জিন্নাত আরা টুম্পা বাদী হয়ে বুধবার (৩রা আগস্ট) ভেড়ামারা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব-১২ সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প-এর একটি আভিযানিক দল র‍্যাব সদর দফতরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় আসামি দর্পণের বোনের বাসা ঢাকার সাভার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করে।

পরবর্তী সময়ে গ্রেফতার আসামি সোহানুর রহমান সোহানের দেখানো মতে গত রবিবার (৭ আগস্ট) হত্যাকাণ্ডের স্থান দর্পণ হার্ডওয়্যারের ভাড়া করা গোডাউন থেকে হত্যাকারীদের রক্তমাখা পোশাক উদ্ধার করা হয়। ইলিয়াস খান আরো জানান, মামলার আসামি সোহান হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় অংশ গ্রহণের কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করেছে।

নিহত লোকমান দর্পণ হার্ডওয়্যারে কোম্পানির বকেয়া বিল আদায়ের উদ্দেশ্যে গেলে দর্পণ আলীর বড় ছেলে আব্দুল আউয়াল র‍্যাভেন বকেয়া টাকা কুক্ষিগত করার উদ্দেশ্যে লোকমানকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনামতে, র‍্যাভেনের ছোট ভাই সোহান লোকমানকে তাদের ভাড়া করা গোডাউনে হত্যার উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে অবস্থান করা ভেড়ামারা কাচারিপাড়া এলাকার শেরেগুল ইসলামের ছেলে প্রান্ত ইসলাম সাব্বির (২১) ও একই এলাকার তাহাজের ছেলে শুভর (২৩) সহযোগিতায় এরিয়া ম্যানেজার লোকমান হোসেনকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাত করে এবং শ্বাসরোধ করে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করে।

হত্যাকাণ্ডের পরদিন সকালে সোহান তার বাবা দর্পণ আলীকে বিষয়টি জানায়। তখন দর্পণ আলী সোহানকে মরদেহ গুম করে ফেলার নির্দেশ দেয়। এরপর মঙ্গলবার (২রা আগস্ট) নিহত লোকমানের খোঁজে তার স্ত্রী দর্পণ হার্ডওয়্যারে এলে দর্পণ আলী জানায়, লোকমান আগেরদিন তার দোকানে এসেছিল এবং বকেয়া টাকা নিয়ে চলে গেছে। একই দিন গভীর রাতে র‍্যাভেনের বন্ধু জীবন এবং দর্পণ হার্ডওয়্যারের কর্মচারী তুহিনের পাহারায় ভিকটিমের মরদেহ ভেড়ামারা সরকারি পাইলট মডেল উচ্চবিদ্যালয়ের পাশের গলিতে ফেলে রাখে। পরে বুধবার (৩ আগস্ট) সকালে পুলিশের গ্রেফতার এড়াতে দর্পণ আলী তার ছোট ছেলে সোহানকে নিয়ে বাড়ি থেকে আত্মগোপনে চলে যায়।

স্কোয়ান্ড্রন লিডার ইলিয়াস খান জানান, গ্রেফতার আসামিদের আদালতে পাঠিয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ছাড়া অন্য আসামিদের অতিদূত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ