ঢাকা ১১:০৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার চাটমোহরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৮:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
  • / 97

পাবনার চাটমোহরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী সিফাত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, আগষ্ট ১৪, ২০২২


পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়িতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী সিফাত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সিফাত আলী চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি স্কুলপাড়া গ্রামের রব্বেলের আলীর ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। খালাস প্রাপ্ত আসামীদের মুক্তি দেয়া হয়।

নিহত গৃহবধু নাছিমা খাতুন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটাকাজিপুর গ্রামের আরদেশ প্রামানিকের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসিমাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে মারপিট ও গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় সিফাত। পরে নিহতের বাবা আরদেশ বাদী হয়ে চাটমোহরের থানায় ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার পরের বছরের ১৫ জানুয়ারি ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ও পরিবার।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইতি হোসেন মুক্তি জানান, রায়ে তারা ক্ষুব্ধ । তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবে। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এ রায় একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনার চাটমোহরে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদন্ড

প্রকাশিত সময় ০৮:৪৮:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২
গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী সিফাত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, আগষ্ট ১৪, ২০২২


পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের ধুলাউড়িতে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ নাছিমা খাতুনকে হত্যার দায়ে স্বামী সিফাত আলীর ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।

একইসঙ্গে মামলার তিন আসামিকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছে আদালত।

রোববার (১৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সিফাত আলী চাটমোহর উপজেলার ধুলাউড়ি স্কুলপাড়া গ্রামের রব্বেলের আলীর ছেলে। রায়ের সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। খালাস প্রাপ্ত আসামীদের মুক্তি দেয়া হয়।

নিহত গৃহবধু নাছিমা খাতুন নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার ভিটাকাজিপুর গ্রামের আরদেশ প্রামানিকের মেয়ে। তাদের সংসারে একটি পুত্র সন্তান ও একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী নাসিমাকে পরিবারের লোকজন নিয়ে মারপিট ও গলাটিপে হত্যা করে পালিয়ে যায় সিফাত। পরে নিহতের বাবা আরদেশ বাদী হয়ে চাটমোহরের থানায় ৫ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তার পরের বছরের ১৫ জানুয়ারি ৫ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। মামলা চলাকালে এক আসামির মৃত্যু হয়।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার ও ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে রায় ঘোষণা করা হলো। রায়ে বাদীপক্ষ সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী ও পরিবার।

আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইতি হোসেন মুক্তি জানান, রায়ে তারা ক্ষুব্ধ । তারা উচ্চ আদালতে আপিল করবে। সেখানে আসামি সম্পূর্ণরূপে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছে।

মামলার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ট্রাইবুনালের বিশেষ পিপি অ্যাডভোকেট খন্দকার আব্দুর রকিব বলেন, এ রায় একটি যুগান্তরকারী রায়। এর মাধ্যমে আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আশা করি খুব দ্রুত ফাঁসি কার্যকর করা হবে।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ