ঢাকা ০৬:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বর্ষা শেষ, দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না কৃষকদের

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:২৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
  • / 84
প্রতিকি ছবি

কুমারখালী,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত:১১:০৫ অপরাহ্ন, আগষ্ট ১৬, ২০২২

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বর্ষা মৌসুম শেষ। তবে আষাঢ়-শ্রাবণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সংকটে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় অনেক কৃষক এখনো আমন চাষাবাদ শুরু করতে পারেননি যেসব কৃষক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করেন, তাঁরা পড়েন নতুন বিপাকে।

মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষ দিতে পারেননি। এমন কি ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচযন্ত্রের সাহায্যেও পানি তুলে আবাদ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। এর সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ায় সারের দাম বৃদ্ধি।

সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কলের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমন চাষিদের দুশ্চিন্তা যেন এবার পিছু ছাড়ছেই না।কৃষকেরা বলছেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষকেরাই যেন অভিশপ্ত।

সার ও জ্বালানি তেলসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কৃষিপণ্যের দাম নেই। মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।

গত রোববার কুমারখালীর যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, নন্দনালপুর সদকী ও চরসাদীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমেও মাঠ, খাল-বিল, নালা ও পুকুরে তেমন পানি নেই। সেচের পানি দিয়ে চলছে আমন রোপণের কাজ। পানি সংকটে পাট পচানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বিভিন্ন খেতে পাট কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেকে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার এখনো পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাইনি। তারপর সার ও তেলের দাম অনেক বেড়েছে। এভাবে চললে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।’

নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের কৃষক আবু মোতালেব বলেন, ‘ভরা বর্ষায় নেই বৃষ্টিপাত। পানির অভাবে মাঠে পাট নষ্ট হচ্ছে। সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছি; কিন্তু হঠাৎ তেলের দামে খরচ বহুগুণ বেড়ে গেল।’ পান্টি ইউনিয়নের বশীগ্রামের কৃষক সরদার হান্নান বলেন, ‘কদিন আগে সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনি ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আগেই সারের

দাম বাড়ায় সরকার। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না। কৃষকেরা যেন দেশে অভিশপ্ত কিছু।’

কুমারখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘সার, তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা চিন্তিত। এবার আমন আবাদের খরচ বেড়ে যাবে। তবে খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের দাম নির্ধারিত হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বর্ষা শেষ, দুশ্চিন্তা যেন পিছু ছাড়ছে না কৃষকদের

প্রকাশিত সময় ১১:২৩:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২
প্রতিকি ছবি

কুমারখালী,কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশিত:১১:০৫ অপরাহ্ন, আগষ্ট ১৬, ২০২২

বাংলা বর্ষপঞ্জিকা অনুযায়ী, বর্ষা মৌসুম শেষ। তবে আষাঢ়-শ্রাবণে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় পানি সংকটে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় অনেক কৃষক এখনো আমন চাষাবাদ শুরু করতে পারেননি যেসব কৃষক সেচযন্ত্রের মাধ্যমে পানি দিয়ে জমি প্রস্তুত করেন, তাঁরা পড়েন নতুন বিপাকে।

মৌসুমের শুরু থেকে অনাবৃষ্টির কারণে অনেক কৃষক জমিতে চাষ দিতে পারেননি। এমন কি ঘনঘন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে সেচযন্ত্রের সাহায্যেও পানি তুলে আবাদ করতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয় তাঁদের। এর সঙ্গে দুশ্চিন্তা বাড়ায় সারের দাম বৃদ্ধি।

সর্বশেষ জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেকে কলের লাঙল দিয়ে জমি চাষ করাতে পারছেন না। সব মিলিয়ে আমন চাষিদের দুশ্চিন্তা যেন এবার পিছু ছাড়ছেই না।কৃষকেরা বলছেন, কৃষি প্রধান দেশে কৃষকেরাই যেন অভিশপ্ত।

সার ও জ্বালানি তেলসহ কৃষির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। অথচ কৃষিপণ্যের দাম নেই। মাঝখানে লাভবান হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। এভাবে চলতে থাকলে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।

গত রোববার কুমারখালীর যদুবয়রা, পান্টি, বাগুলাট, নন্দনালপুর সদকী ও চরসাদীপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমেও মাঠ, খাল-বিল, নালা ও পুকুরে তেমন পানি নেই। সেচের পানি দিয়ে চলছে আমন রোপণের কাজ। পানি সংকটে পাট পচানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।

বিভিন্ন খেতে পাট কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। অনেকে পানির অভাবে পাট জাগ দিতে পারছেন না। যদুবয়রা ইউনিয়নের জোতমোড়া গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘এবার এখনো পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পাইনি। তারপর সার ও তেলের দাম অনেক বেড়েছে। এভাবে চললে চাষাবাদ বন্ধ হয়ে যাবে।’

নন্দনালপুর ইউনিয়নের পুটিয়া গ্রামের কৃষক আবু মোতালেব বলেন, ‘ভরা বর্ষায় নেই বৃষ্টিপাত। পানির অভাবে মাঠে পাট নষ্ট হচ্ছে। সেচ দিয়ে আমনের চাষ শুরু করেছি; কিন্তু হঠাৎ তেলের দামে খরচ বহুগুণ বেড়ে গেল।’ পান্টি ইউনিয়নের বশীগ্রামের কৃষক সরদার হান্নান বলেন, ‘কদিন আগে সকালে ঘুম থেকে জেগে শুনি ডিজেলের দাম অনেক বেড়ে গেছে। এ ছাড়া আগেই সারের

দাম বাড়ায় সরকার। এভাবে সবকিছুর দাম বাড়লে চাষ বন্ধ করে দেওয়া ছাড়া আর উপায় থাকবে না। কৃষকেরা যেন দেশে অভিশপ্ত কিছু।’

কুমারখালী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দেবাশীষ কুমার দাস বলেন, ‘সার, তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা চিন্তিত। এবার আমন আবাদের খরচ বেড়ে যাবে। তবে খরচের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফসলের দাম নির্ধারিত হলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।’

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ