ঢাকা ১১:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সালিশে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গৃহবধুকে ফের বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
  • / 58
রাজিব হোসেন ও তার পরকিয়া স্ত্রী বিয়ের পর।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ন, আগষ্ট ১৮, ২০২২


পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পরকীয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোপনে নিজ বাড়িতে সালিশ বসিয়ে আইন না মেনে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চরপাড়া গ্রামে।

জানা যায়, বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৯ টায় ঐ গ্রামে গৃহবধূর (৩৫) বাড়িতে কেউ না থাকায় একই গ্রামের রাজিব হোসেন (২৭) নামের এক যুবক ঘরে প্রবেশ করে। কিছু সময় পর গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে এসে তাদের এক ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে। রাজিব ঐ গ্রামের বিত্তশালি দুলাল প্রামানিকের ছেলে।

গৃহবধু ঐ গ্রামের হেলাল প্রামানিকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। পার্শবর্তী ৭ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম খবর পেয়ে ১১ টার দিকে ঘটনার স্থানে গিয়ে দু’জনকে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যান তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু মেম্বার সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গোপনে সালিশ করে গৃহবধুকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে একই সময় ধর্ষকের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে গৃহবধু বলেন, রাজিবের সাথে আমার চার বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং মাঝে মাঝে কথা হতো, কথার এক পর্যায় আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হলে জোর করে ধর্ষণ করে আমি বলে দিতে চাইলে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করে। এর পর থেকে মাঝে মাঝেই বাড়িতে কেউ না থাকলে এসে এসব করে। আজ আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমার কাছে আসে কিন্তু কিছু সময় পর আমার স্বামী এসে দেখে ফেলে।

রাজিব শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার এবং প্রেমের কথা অস্বীকার করে বলেন, মহিলা ভাল না সে আরো অনেকের সাথে এসব করেছে তাই আমি করেছি।

সালিশের কথা স্বীকার করে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মুফতি হাবিবুল্লাহ বলেন, তালাকের ৩ মাস ১৩ দিন পর বিবাহ করা যাবে তার পূর্বে বিবাহ করা ঠিক হবে না।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু গৃহবধুর অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


সালিশে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে গৃহবধুকে ফের বিয়ে দিলেন ইউপি সদস্য

প্রকাশিত সময় ০৯:৪০:২৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২
রাজিব হোসেন ও তার পরকিয়া স্ত্রী বিয়ের পর।

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৯:৪০ অপরাহ্ন, আগষ্ট ১৮, ২০২২


পাবনার ভাঙ্গুড়ায় পরকীয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে গোপনে নিজ বাড়িতে সালিশ বসিয়ে আইন না মেনে পরকীয়া প্রেমিকের সাথে বিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শফিকুল ইসলাম নামে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। তিনি উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে একই ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড চরপাড়া গ্রামে।

জানা যায়, বুধবার (১৭ আগস্ট) সকাল ৯ টায় ঐ গ্রামে গৃহবধূর (৩৫) বাড়িতে কেউ না থাকায় একই গ্রামের রাজিব হোসেন (২৭) নামের এক যুবক ঘরে প্রবেশ করে। কিছু সময় পর গৃহবধুর স্বামী বাড়িতে এসে তাদের এক ঘরের মধ্যে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আটক করে। রাজিব ঐ গ্রামের বিত্তশালি দুলাল প্রামানিকের ছেলে।

গৃহবধু ঐ গ্রামের হেলাল প্রামানিকের স্ত্রী ও দুই সন্তানের জননী। পার্শবর্তী ৭ নং ওয়াডের ইউপি সদস্য মোঃ শফিকুল ইসলাম খবর পেয়ে ১১ টার দিকে ঘটনার স্থানে গিয়ে দু’জনকে পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। চেয়ারম্যান তাদেরকে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করার নির্দেশ দেন। কিন্তু মেম্বার সুবিধা নেওয়ার উদ্দেশ্যে তাদেরকে নিজ বাড়িতে নিয়ে গোপনে সালিশ করে গৃহবধুকে দিয়ে তার স্বামীকে তালাক দিয়ে একই সময় ধর্ষকের সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেন।

এ বিষয়ে গৃহবধু বলেন, রাজিবের সাথে আমার চার বছর আগে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয় এবং মাঝে মাঝে কথা হতো, কথার এক পর্যায় আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয়। আমি রাজি না হলে জোর করে ধর্ষণ করে আমি বলে দিতে চাইলে সে আমাকে বিয়ে করবে বলে ওয়াদা করে। এর পর থেকে মাঝে মাঝেই বাড়িতে কেউ না থাকলে এসে এসব করে। আজ আমার স্বামী বাড়িতে না থাকায় আমার কাছে আসে কিন্তু কিছু সময় পর আমার স্বামী এসে দেখে ফেলে।

রাজিব শারীরিক সম্পর্কের কথা স্বীকার এবং প্রেমের কথা অস্বীকার করে বলেন, মহিলা ভাল না সে আরো অনেকের সাথে এসব করেছে তাই আমি করেছি।

সালিশের কথা স্বীকার করে ৭ নং ওয়ার্ড মেম্বার শফিকুল ইসলাম বলেন, ৫ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে করিয়ে দিয়েছি।

এ বিষয়ে মুফতি হাবিবুল্লাহ বলেন, তালাকের ৩ মাস ১৩ দিন পর বিবাহ করা যাবে তার পূর্বে বিবাহ করা ঠিক হবে না।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মুঃ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর পুলিশ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু গৃহবধুর অভিযোগ না থাকায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয় নাই।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ