ঢাকা ০৪:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

দাগনভূঞায় সিজারের সময় কিডনি-নালী কাটায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৪২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
  • / 80
ফেনীর ফাজিলের ঘাট রোডের আয়শা জেনারেল হাসপাতাল।

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২৬, ২০২২


ফেনী জেলার দাগনভূঞায় সিজারের সময় এক প্রসূতির কিডনি-নালী কেটে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক, সেবিকাসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা মোনার আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে বিকালে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফেরদৌস আরার স্বামী শাহাদাত হোসেন। এ মামলায় আসামি করা হয়- গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. চম্পা কুণ্ডু ও সেবিকা কলি রানী, আয়েশা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের তুহিনকে। মামলায় অভিযোগ দেওয়া হয়, গত ৩০ জুন রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে জেলার দাগনভূঞার উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের আকবর সদ্দার বাড়ির গৃহবধূ ফেরদৌস আরা একই উপজেলার ফাজিলের ঘাট রোডের আয়শা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাইনি ডা. চম্পা কুণ্ডুর কাছে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। এ সময় চিকিৎসক চম্পা কুণ্ডু এসে গৃহবধূর অবস্থা জটিল বলে নরমাল ডেলিভারি করালে সমস্যা হবে ভয় দেখিয়ে দ্রুত সিজার করানোর জন্য বলেন। এর পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গৃহবধূর স্বামীর কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রে সাক্ষর নেন। কিন্তু সিজারের পর থেকে অনবরত প্রস্রাব বের হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, পেটব্যথাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় পড়লে তারা ২৪ জুলাই তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। একপর্যায় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে কিডনি-নালী আঘাতপ্রাপ্ত। পরে ৩ আগস্ট রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে রিলিজ করে দেন। বর্তমানে রোগী নিজ বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় অসুস্থাবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক চম্পা কুণ্ডুকে জানালে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে বলেন।

মামলার আইনজীবী শাহাজাহান সাজু বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


দাগনভূঞায় সিজারের সময় কিডনি-নালী কাটায় ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত সময় ১১:৪২:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ অগাস্ট ২০২২
ফেনীর ফাজিলের ঘাট রোডের আয়শা জেনারেল হাসপাতাল।

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১১:৪১ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২৬, ২০২২


ফেনী জেলার দাগনভূঞায় সিজারের সময় এক প্রসূতির কিডনি-নালী কেটে ফেলার অভিযোগে চিকিৎসক, সেবিকাসহ ৩ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীর স্বামী।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগষ্ট) বিকেলে ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফাতেমাতুজ জোহরা মোনার আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে সিআইডিকে বিকালে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ ফেরদৌস আরার স্বামী শাহাদাত হোসেন। এ মামলায় আসামি করা হয়- গাইনি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. চম্পা কুণ্ডু ও সেবিকা কলি রানী, আয়েশা জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু নাসের তুহিনকে। মামলায় অভিযোগ দেওয়া হয়, গত ৩০ জুন রাতে প্রসব বেদনা নিয়ে জেলার দাগনভূঞার উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের আকবর সদ্দার বাড়ির গৃহবধূ ফেরদৌস আরা একই উপজেলার ফাজিলের ঘাট রোডের আয়শা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। একপর্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গাইনি ডা. চম্পা কুণ্ডুর কাছে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। এ সময় চিকিৎসক চম্পা কুণ্ডু এসে গৃহবধূর অবস্থা জটিল বলে নরমাল ডেলিভারি করালে সমস্যা হবে ভয় দেখিয়ে দ্রুত সিজার করানোর জন্য বলেন। এর পাশাপাশি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গৃহবধূর স্বামীর কাছ থেকে একটি সম্মতিপত্রে সাক্ষর নেন। কিন্তু সিজারের পর থেকে অনবরত প্রস্রাব বের হওয়ার পাশাপাশি জ্বর, পেটব্যথাসহ শারীরিক বিভিন্ন সমস্যায় পড়লে তারা ২৪ জুলাই তাকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। একপর্যায় আল্ট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে কিডনি-নালী আঘাতপ্রাপ্ত। পরে ৩ আগস্ট রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে রিলিজ করে দেন। বর্তমানে রোগী নিজ বাড়িতে বিনা চিকিৎসায় অসুস্থাবস্থায় পড়ে রয়েছেন। এ বিষয়ে চিকিৎসক চম্পা কুণ্ডুকে জানালে তিনি গুরুত্ব না দিয়ে ঢাকা বা চট্টগ্রামে নিয়ে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে বলেন।

মামলার আইনজীবী শাহাজাহান সাজু বলেন, আদালত বাদীর বক্তব্য শুনে মামলাটি আমলে নিয়ে সিআইডিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে আদেশ দেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ