ঢাকা ১২:২৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুড়ি উড়াতে বিকলাঙ্গ মিজানুরের মানবেতর জীবন

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
  • / 107
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুড়ি উড়াতে বিকলাঙ্গ মিজানুরের মানবেতর জীবন।

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২৭, ২০২২


ছেলে বেলায় ঘুড়ি উড়ানোর শখ ছিল মিজানুর রহমানের। ঘটনা চক্রে জানা গেছে,তিনি ১৯৮৮ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় একদিন সকালে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ পাশ দিয়ে টানানো বিদ্যুতের তারে আটকে যায় শখের ঘুড়িটি।

কিশোর বয়সে কোন কিছু না ভেবেই চলমান বৈদ্যুতিক লাইনে খুঁটি বেয়ে ঘুড়িটা নামাতে গিয়ে অসাবধান বশত নিজেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। সে সময় চিকিৎসায় জীবন বেঁচে গেলেও কেটে ফেলতে হয় বাম হাত ও বাম পা।

তারপর দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন।তার কিশোর বয়সের শখের ঘুড়িই হয়ে গেল তাঁর দুটি অঙ্গ হানির কারণ। বর্তমানে বেশ দারিদ্রতার মধ্যে কাটছে মিজানুর রহমানের জীবন। চলাফেরার জন্য নেই একটা হুইল চেয়ার। সে লাঠি ভর দিয়ে কোন মতে চলাফেরা করে। নিজের মথাগঁজার মাটি না থাকায় অন্যের ভিটেয় ছোট্ট একট ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বসবাস।

থালা-বাসন, হাঁড়ি- পাতিল ছাড়া ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র। দুটি চকিতে কাটে পরিবারের সব সদস্যের রাত। ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই খাবার পানির চাহিদা মেটানোর কোনো ব্যবস্থা।

প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতাও পান না তিনি। সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী মিজানুরের কপালে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটা ঘর। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,মিজানুরের দুঃসহ জীবন।

পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাঁর খোঁজ নেয়নি কেউই। বেঁচে থাকার তাগিদে এক হাত আর এক পা নিয়ে
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাঁর জীবন-সংগ্রাম।ঘর নির্মাণের নিজস্ব জায়গা না থাকলেও জীবিকার তাড়নায় একটি ঘোড়া পালেন মিজানুর।

ঘোড়া পালন নিজ প্রয়োজনে বাধ্য হচ্ছেনও বলা যায়।কারণ হিসাবে একদিকে পঙ্গুত্ব জীবন অন্যদিকে জীবন জীবিকার জন্য ধান ও শস্যের মৌসুমে ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহন করে সংসার চালান তিনি।

যা উপার্জন হয় তার বেশির ভাগই ঘোড়ার পেছনে লেগে যায়।বর্ষার কয়েক মাস হাতে কোন কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন কষ্টের মধ্যে চলতে হয়।অসহায় এই মানুষটি জানান,তিনি শুনেছেন যাদের ঘর নেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জমিসহ পাকাঘর বানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ঘর কপালে জোটেনি তাঁর।

একটা হুইল চেয়ারের অভাবে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয় তাঁর। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠু জানান, প্রতিবন্ধী মিজানুর একজন অসচ্ছল মানুষ।

তাঁর কোন জায়গা-জমি নাই।পূর্বের জনপ্রতিনিধিরা তাকে জমিসহ ঘর প্রদান তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করায় সে অন্যের ভিটেতে ঝাঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন।তিনি জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুড়ি উড়াতে বিকলাঙ্গ মিজানুরের মানবেতর জীবন

প্রকাশিত সময় ০৯:১৭:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ অগাস্ট ২০২২
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ঘুড়ি উড়াতে বিকলাঙ্গ মিজানুরের মানবেতর জীবন।

স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২৭, ২০২২


ছেলে বেলায় ঘুড়ি উড়ানোর শখ ছিল মিজানুর রহমানের। ঘটনা চক্রে জানা গেছে,তিনি ১৯৮৮ সালে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াবস্থায় একদিন সকালে ঘুড়ি উড়াচ্ছিলেন। হঠাৎ পাশ দিয়ে টানানো বিদ্যুতের তারে আটকে যায় শখের ঘুড়িটি।

কিশোর বয়সে কোন কিছু না ভেবেই চলমান বৈদ্যুতিক লাইনে খুঁটি বেয়ে ঘুড়িটা নামাতে গিয়ে অসাবধান বশত নিজেই বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে পড়েন। সে সময় চিকিৎসায় জীবন বেঁচে গেলেও কেটে ফেলতে হয় বাম হাত ও বাম পা।

তারপর দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থেকে সুস্থ হয়ে ওঠেন।তার কিশোর বয়সের শখের ঘুড়িই হয়ে গেল তাঁর দুটি অঙ্গ হানির কারণ। বর্তমানে বেশ দারিদ্রতার মধ্যে কাটছে মিজানুর রহমানের জীবন। চলাফেরার জন্য নেই একটা হুইল চেয়ার। সে লাঠি ভর দিয়ে কোন মতে চলাফেরা করে। নিজের মথাগঁজার মাটি না থাকায় অন্যের ভিটেয় ছোট্ট একট ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে প্রতিবন্ধী মিজানুর রহমানের বসবাস।

থালা-বাসন, হাঁড়ি- পাতিল ছাড়া ঘরে নেই কোন আসবাবপত্র। দুটি চকিতে কাটে পরিবারের সব সদস্যের রাত। ঘরে নেই বিদ্যুৎ সংযোগ। নেই খাবার পানির চাহিদা মেটানোর কোনো ব্যবস্থা।

প্রতিবন্ধী ভাতা ছাড়া সরকারি কোন সাহায্য-সহযোগিতাও পান না তিনি। সহায়-সম্বলহীন অসহায় প্রতিবন্ধী মিজানুরের কপালে জোটেনি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটা ঘর। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়,মিজানুরের দুঃসহ জীবন।

পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করলেও তাঁর খোঁজ নেয়নি কেউই। বেঁচে থাকার তাগিদে এক হাত আর এক পা নিয়ে
খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে তাঁর জীবন-সংগ্রাম।ঘর নির্মাণের নিজস্ব জায়গা না থাকলেও জীবিকার তাড়নায় একটি ঘোড়া পালেন মিজানুর।

ঘোড়া পালন নিজ প্রয়োজনে বাধ্য হচ্ছেনও বলা যায়।কারণ হিসাবে একদিকে পঙ্গুত্ব জীবন অন্যদিকে জীবন জীবিকার জন্য ধান ও শস্যের মৌসুমে ঘোড়ার গাড়িতে কৃষিপণ্য পরিবহন করে সংসার চালান তিনি।

যা উপার্জন হয় তার বেশির ভাগই ঘোড়ার পেছনে লেগে যায়।বর্ষার কয়েক মাস হাতে কোন কাজ না থাকায় পরিবার পরিজন কষ্টের মধ্যে চলতে হয়।অসহায় এই মানুষটি জানান,তিনি শুনেছেন যাদের ঘর নেই, দেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের জমিসহ পাকাঘর বানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু সেই ঘর কপালে জোটেনি তাঁর।

একটা হুইল চেয়ারের অভাবে চলাফেরা করতেও কষ্ট হয় তাঁর। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন মিঠু জানান, প্রতিবন্ধী মিজানুর একজন অসচ্ছল মানুষ।

তাঁর কোন জায়গা-জমি নাই।পূর্বের জনপ্রতিনিধিরা তাকে জমিসহ ঘর প্রদান তালিকায় অন্তর্ভূক্ত না করায় সে অন্যের ভিটেতে ঝাঁপড়ি ঘর তুলে বসবাস করছেন।তিনি জানান, সরকারি নিয়ম অনুযায়ী প্রশাসনের মাধ্যমে তাকে ঘর দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ