পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সৈয়দ সাইফুল ইসলাম ও সভাপতি হেলাল উদ্দিন এর বিরুদ্ধে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে কয়েকটি পদে গোপণে প্রায় অর্ধকোটি টকা নিয়োগ বাণিজ্য’র পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে অত্র এলাকাবাসীর মুখে মুখে রব উঠেছে।

তথ্য ও গোপন সুত্রে জানান গেছে, কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন তার নিজ ভাই মোঃ টিপু সুলতানকে চাকরি দিবেন মর্মে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। টিপু সুলতানের সাথে আরও কয়েক প্রার্থীর নিকট থেকে বিভিন্ন পদে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে।

বর্তমানে প্রধান শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত থাকার সুবাদে এলাকার অনেক যোগ্য প্রার্থী থাকা সত্বেও তার নিজ ভাইকে চাকরি দিবে বলে তরিঘড়ি করে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি।

উক্ত নিয়োগ বাণিজ্য নিজের আপন ভাইকে নিয়োগ প্রাপ্ত করবেন এটা সম্পন্ন আত্নীয়করন যা দুর্নীতির সামিল। নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ করার জন্য প্রশাসনসহ এলাকার সচেতন মহলের সুদৃষ্টি ও হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী ।

উল্লেখ্য গত ০৯ জুন ২০২২ইং তারিখে কয়রাবাড়ী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় রাজশাহী বোর্ড কর্তৃক প্রধান শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদন করে আনেন। সদ্য নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জিল্লুর রহমান দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীকে শ্রেণি কক্ষে মোবাইল ফোন রাখার অপরাধে বেত্রাঘাত করেন। এঘটনার কারণে ম্যানেজিং কমিটি তথা সভাপতির স্বার্থসিদ্বির জন্য তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

তাকে বরখাস্ত রেখে সুকৌশলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি নিজ ভাই টিপু সুলতানকে বিনা পয়সায় এবং অন্যান্য পদের প্রার্থীদের নিকট হইতে অর্ধকোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিয়োগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে। যা উর্বধতন কর্তৃপক্ষ উক্ত সভাপতি ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে যোগসাজশ রয়েছে বলে সূত্র মতে জানা গেছে।