আতিক ভাইকে আজও প্রয়োজন
- প্রকাশিত সময় ০২:২২:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
- / 200
রণেশ মৈত্র
প্রকাশিত: ২:২২ অপরাহ্ন, আগষ্ট ২৯, ২০২২
২৯ আগষ্ট ১৯৫১ জনকণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক অকাল প্রয়াত আতিকুল্লাহ খান মাসুদের ৮১ তম জন্ম দিন। যে কারও জন্মদিন অতিশয় আনন্দের এবং সে কারণে যাঁর জন্মদিন-তিনি এপারে থাকুন বা পরপারে-যেখানেই থাকুন আমরা তাঁকে শ্রদ্ধা ও শুভেচ্ছা জানাই।
এই তো মাত্র সেদিন আমরা প্রিয় কবি শামসুর রাহমানের জন্মদিন পালন করলাম-কিন্তু তিনি তো নেই। তেমনি আতিক ভাইও আকস্মাৎ এবং অকালে (রীতিমত কম বয়সে) এ পৃথিবী থেকে চিরতরে বিদায় নিলেও তাঁকে হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসা, অন্তরের গভীর থেকে শ্রদ্ধা জানানো থেকে আমরা কোন ক্রমেই বিরত থাকতে পারি না। তাই শুরুতেই তাঁকে অজশ্র ভালবাসা ও শদ্ধা জানিয়ে এই নিবন্ধটি লিখতে সুরু করি। লোকান্তরে থেকেও আতিক ভাই নিশ্চয়ই এই শ্রদ্ধা ও ভালবাসা গ্রহণ করবেন এই প্রত্যাশা। ১৯৯৩ সালে আতিকুল্লাহ্ খান মাসুদ রীতিমত দুঃসাহসী এক পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রগতিশীল সাংবাদিকতার জগতে আবির্ভূত হলেন। বের করলেন ‘জনকণ্ঠ’ নামে একটি বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র । এখানে বিস্ময়ের ব্যাপার হলো-পত্রিকাটি শুধুমাত্র ঢাকা থেকে বের করার ব্যবস্থা করলেন তা নয় একযোগে বাংলাদেশের পাঁচটি জায়গা থেকে বের করে দেখালেন যে এটাও সম্ভব। যেন অব্যক্ত কণ্ঠে বললেন, “আমরা এটাও পারি।”
এতগুলি জায়গা থেকে নিয়মিত জনকণ্ঠ প্রকাশিত হতো-তাই শুধু নয়। সাদা ঝকঝকে দামী কাগজে সুন্দর সুস্পষ্ট ছাপা, খবরের শিরোনামে বৈচিত্র্য এবং ভোরে একযোগে জনকণ্ঠ দেশের সকল স্থানে পৌঁছে দেওয়া এবং তার মাধ্যমে পাঠক-পাঠিকাদের হাতে সর্বাগ্রে পত্রিকাটি তুলে দেওয়া মত অবিশ্বাস্য ঘটনা আতিক ভাই ঘটিয়ে সংবাদপত্র জগতে এক বিস্ময় হিসেবে আবির্ভূত হলেন। আমার দিব্যি মনে আছে, যখন ‘জনকণ্ঠ’ প্রথম প্রকাশিত হতে শুরু করে তখন বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রচারিত দৈনিক ছিল “ইনকিলাব”। পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতিতেই ছিল সাম্প্রদায়িকতা। সর্বোচ্চ প্রচারিত পত্রিকাটি যদি নীতিগতভাবে সাম্প্রদায়িকতার লালন করে-তবে দেশের উঠতি তরুণ-তরুণীরাও যে তারা দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে একথা জোর দিয়েই বলা যায়। অসাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী ঐতিহ্যবাহী পত্রিকা সংবাদ, ইত্তেফাক যুগান্তর প্রভৃতি পত্রিকার প্রচার সংখ্যা ছিল অত্যন্ত কম। ইত্তেফাক তখন দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তার প্রচার সংখ্যা কোন ক্রমেই উল্লেখযোগ্য ছিল না।
সংবাদপত্র জগতে আদলিক ব্যাপারটি সম্পূর্ণরূপে বদলে গেল ‘জনকণ্ঠ’নামক আতিকভাই এর দৈনিকটির আত্মপ্রকাশের পর। ‘জনকণ্ঠ’ এর সম্পাদকীয় এবং বার্তা বিষয়ক নীতি কঠোরভাবে অসাম্প্রদায়িকই শুধু ছিল না-পত্রিকাটি দৃঢ়ভাবে ছিল সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী ও পুঁজিবাদ-বিরোধী তথা সমাজতন্ত্রের লক্ষ্যাভিসারী। অর্থাৎ আদর্শগতভাবে জনকণ্ঠ তখন ছিল একটি বাম ধারার দৈনিক। বাহাত্তরের মূল সংবিধানে বর্ণিত আদর্শের কাছাকাছি। কিন্তু বাম ধারার রাজনীতিকে আদর্শিক চেতনায় ধারণ করে “জনকণ্ঠ” লক্ষ লক্ষ পাঠকের কাছে অবশ্য পাঠ্য এটি দৈনিকে পরিণত হওয়া আদৌ চাট্টিখানি কথা ছিল না। কিন্তু ‘জনকণ্ঠ’ তা করতে পেরেছিল-পাঠক-প্রিয়তা তার তুঙ্গে উঠেছিল। ইনকিলাবের প্রচার সংখ্যা দ্রুত হ্রাস পেতে পেতে তা ধারনাতীতভাবে কমে গিয়েছিল। প্রচার সংখার দিক থেকে ‘জনকণ্ঠ’ দেখতে দেখতে শীর্ষস্থান দখল করে নিতে পেরেছিল।
আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ১৯৫১ সালের ২৯ আগষ্ট মুন্সীগঞ্জের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মো: দবির উদ্দিন খান, মাতা-জসিমুন্নেসা খান। আট সন্তানের মধ্যে আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ছিলেন তাঁর মাতা-পিতার সপ্তম সন্তান। কলেজে পড়াকালেই আতিকুল্লা খান মাসুদ ব্যবসা বাণিজ্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করতে করতেই-অর্থাৎ মাত্র ২০/২২ বছর বয়স পেরুতে না পেরুতেই আতিকুল্লাহ খান মাসুদ পূরোদস্তুর একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন।
আতিকুল্লাহ খান মাসুদ বাল্যকালে কোন ছাত্র সংগঠনের সাথে বা পরবর্তীতে কোন বিশেষ রাজনৈতিক দলের সাথে যুক্ত ছিলেন-এমন তথ্য জানা যায় না। তবে কারামুক্তির পর আওয়ামী লীগকে তিনি আকড়ে ধরেন। ১৯৭১ সালে-মাত্র ২০ বছর বয়সে। দেশ মাতৃকার ডাকে স্বীয় বন্ধু বান্ধব সহ তিনি ছুটে যান ভারতে বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে। প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে দেশে ফিরে তিনি পাক-বাহিনীর সাথে বীরত্বপূর্ণ যুদ্ধে অবতীর্ণ হন। ১৯৭১ এর ডিসেম্বরে মুক্তিযুদ্ধে বিজয় অর্জিত হওয়ার পর আতিকুল্লাহ খান মাসুদ ঢাকা ফিরে আসেন।
এতক্ষণের আলোচনায় আমরা তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকায় আতিকুল্লাহ খান মাসুদকে পেলাম। সাংবাদিক প্রকাশক, ব্যবসায়ী ও মুক্তিযোদ্ধা। অর্থাৎ যেখানেই তিনি হাত দিয়েছেন-মোটামুটি সাফল্য নিয়েই ফিরেছেন। আমার বিবেচনায়, সাংবাদিকতায় অবদানই তাঁর শ্রেষ্ঠ অবদান এবং সে ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশে বিশেষ বৈশিষ্ট্যের দাবীদার।
১৯৯৩ সালে, আমি পূর্বেই বলেছি, দেশের পাঁচটি শহর থেকে একযোগে প্রকাশের মাধ্যমে ‘জনকষ্ঠ’ সকলের উৎসুক দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এই পত্রিকার নীতিমালা সম্পর্কের আমি আগেই বলেছি। আমি একজন কলাম লেখক হিসেবে ১৯৯৩ সালেই ‘জনকণ্ঠে’র সাথে যুক্ত হই। তখন থেকেই প্রতি সপ্তাহের নির্দিষ্ট দিনে আমার কলাম প্রকাশিত হতো। দু’তিন মাস পর পর ক্যুরিয়ারযোগে পাঠানো হতো লেখক সম্মানী ভাতার টাকার চেক। দিব্যি পাবনার বাসায় বসে নির্দিষ্ট সময়েই, চেক পেয়ে যেতাম ক্যুরিয়ারের মাধ্যমে। প্রায় দুই দশক হলো এই ব্যবস্থাটি থেকে বঞ্চিত কলাম লেখকেরা।
আতিকুল্লাহ খান মাসুদ উপদেষ্টা সম্পাদক হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন বাংলাদেশের সাংবাদিকতার এক উজ্জ্বল নক্ষত্র তোয়ার খানকে-যিনি দিবারাত্র পরিশ্রম করে জনকণ্ঠকে একটি আধুনিক ও উন্নত মানের সংবাদপত্রে পরিণত করেছিলেন। ‘জনকণ্ঠ’ তোয়াব ভাই এর অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল হিসেবে দেশ বিদেশে সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল । কি সম্পাদকীয় বিভাগে-কি বার্তা বিবাগে, কি জেলা প্রতিনিধি নিয়োগের ক্ষেত্রে-সকল ক্ষেত্রেই দেশের শ্রেষ্ঠ, অভিজ্ঞ ও দায়িত্বশীল এবং সচেতন সাংবাদিকেরই জনকণ্ঠে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ঢাকার সংবাদপত্রগুলির মধ্যে, আমার চোখে যতটুকু ধরা পড়েছে, সর্বোচ্চ সংখ্যক মহিলাও ‘জনকষ্ঠ’ অফিসের নানা ডেস্কে নিয়োগ পেয়েছিলেন। মোট কথা শুরু হয়েছিল জনণ্ঠের যাত্রা বাম ধারার চেতনায় সমৃদ্ধ সাংবাদিকদের লেখনী সমৃদ্ধ খবর, সম্পাদকীয়, উপ-সম্পাদকীয়, সাহিত্য, ক্রীড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং মানব জীবনের সকল দিককে জনকণ্ঠের পাতায় প্রতিদিনই বিশেষ দক্ষতার সাথে তুলে ধরা হতো । আতিকুল্লা খান মাসুদ চালু করেছিলেন, শ্রেষ্ঠ সাংবাদকিদের আজীবন সম্মাননা প্রদান। কথা ছিল প্রতি বছর দেশের (প্রধানত: জেলাগুলি থেকে) একজন করে যোগ্য সাংবাদিককে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে এবং এ লক্ষ্যে ঢাকা অফিসে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে নির্বাচিত সাংবাদিককে সম্মাননা প্রদান উপলক্ষ্যে শ্রেষ্ঠ হস্তান্তর ও সারাজীবনের জন্য নির্দিষ্ট অংকের টাকার চেক মাসে মাসে তাঁর বাড়ীতে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে। তবে এই কর্মসূচী এক বা দুই বছর চলার পর আর তা অগ্রসর হতে পারে নি। কারণ আমার কাছে অজানা। তবে এই প্রশংসনীয় উদ্যোগ অব্যাহৃত রাখলে আগামী দিনে প্রতিযোগিতামূলক সাংবাদিকতার বিকাশ ঘটবে এবং তার দ্বারা দেশের সাংবাদিকতা ও সাংবাদিকদের মান ও উন্নত হবে, এমন আশা করা যায়। ‘জনকণ্ঠের’ আজকে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ভাববেন আশা করি।
আতিকুল্লাহ খান মাসুদ এক পর্য্যায়ে গৃহ নির্মাণ পেশায়ও আত্মনিয়োগ করেন। ১৯৯৬ সালে অপূর্ণ নির্মাণ শৈলীর উদাহরণ হিসেবে নিউ এস্কাটনের ব্যস্ততম সড়কের ধারে যে জনকণ্ঠ ভবনটি নির্মাণ করেছেন-তা এক কথায় অপূর্ব। কোন সংবাদপত্র ঢাকাতে আজতক এমন দৃষ্টিনন্দন ভবনের মুখ আজও দেখে নি। এখানে আতিক ভাইয়েরর শৈল্পিক মনের প্রমাণ পাওয়া যায়। এটি হয়ে দাঁড়ালো তাঁর চতুর্থ পেশা।
আতিক ভাই ‘জনকণ্ঠে’র বর্তমান সম্পদক ও প্রকাশক শামিমা এ খানের সাথে সম্ভবত: ১৯৭৬ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং এই দম্পত্তি দুটি পুত্র সন্তানের জনক-জননী। নিজ স্বামীর প্রতিস্ধিসঢ়;ঠত দৈনিক জনকণ্ঠকে বর্তমান সম্পাদক প্রকাশক শামীম এ খান আবার প্রচার সংখ্যার শীর্ষ স্থানে ফিরিয়ে আনবেন দেশের অন্যতম বয়োজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও প্রগতিশীল রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে সেটাই আমার ঐকান্তিক কামনা। মূলত: জনকণ্ঠের সাহসী ভূমিকার কারণেই এক পর্য্যায়ে আতিকূল্লাহ খান মাসুদকে (জরুরী অবস্থা ঘোষণার পর) গ্রেফতার করে জেলের ভাত খেতে বাধ্য করা হয়।
ঐ সময় আমি অষ্ট্রেলিয়ার সিডনীতে বড় ছেলের কাছে সস্ত্রীক ছিলাম। সেখান থেকে পর পর দুটি নিবন্ধ লিখে আতিক ভাই এর নি:শর্ত মুক্তি এবং জরুরী অবস্থা প্রত্যাহার ও নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাসীন করার দাবী জানিয়েছিলাম। উভয় নিবন্ধই জনকণ্ঠে রীতিমত গুরুত্ব সহকারে প্রকাশিত হয়েছিল। সম্ভবত: ওই কারানির্য্যাতনের কারণেই আতিকুল্লা খান মাসুদ পত্রিকাটির সম্পাদকীয় নীতিতে পরিবর্তন আনেন। ফলে কার্য্যত: পত্রিকাটি দল বিশেষের মুখপাত্রে পরিণত হয়। কিন্তু দেশের পাঠক-পাঠিকারা চান অতীতের ‘জনকণ্ঠে’র মত সম্পাদকীয় নীতি যা ছিল পরিপূর্ণভাবে দলনিরপেক্ষ একটি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের এবং তার ঘোষিত আদর্শের সংবাদপত্র। অতীতের নীতিগুলির মধ্যে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধিতা অব্যহত থাকলেও পুঁজিবাদ সা¤্রাজ্যবাদ বিরোধীতা ও সমাজতন্ত্র মুখীনতা স্পষ্ট নয়। হারিয়ে গেছে দল নিরপেক্ষতাও। আমার ক্ষুদ্র বিবেচনায় এই প্রশ্নগুলিতে যদি ‘জনকণ্ঠ’ অতীতের ভূমিকায় ফিরে আসে তবে জনকণ্ঠ সে দিনের মত বিপুল পাঠক-প্রিয়তা বহুলাংশে ফিরে পাবে। নির্বাচন আসন্ন। তেমন নীতি গ্রহণের এখনই উপযুক্ত সময়।
মাঝে মাঝে ছেদ পড়লেও জনকণ্ঠ প্রকাশনার শুরু থেকেই তার সাথে আছি। তাই তার মঙ্গল কামনার মধ্যেই আতিক ভাইকে শ্রদ্ধা জানানো যায় সঠিকভাবে-এমন ধারণা দৃঢ়ভাবে পোষণ করি। ইদানিং দেশের মন্ত্রীরা কেউ কেউ আবোল-তাবোল বকছেন কিন্তু দিব্যি পারও পেয়ে যাচ্ছেন, চা শ্রমিকরা মাত্র ১২০ টাকা দৈনন্দিন বেতনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন-তাঁরা ৩০০ টাকায় তা উন্নীত করার দাবীতে আন্দোলন করছেন, দ্রব্যমূল্য আকাশচুম্বি। দুর্নীতির ব্যাপক প্রসার, দেশের প্রায় সকল অঞ্চলেই মাঝে মধ্যেই সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটছে কিন্তু অপরাধীরা শাস্তি পাচ্ছে না, বিদেশে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকা পাচার, জ্বালানী ও ভোজ্য তেলের মূল্য অশ্বাভাবিক বৃদ্ধি, শীঘ্রই গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য পুনরায় বৃদ্ধির আশংকা নিয়ে জনজীবন বিপর্য্যস্ত। তাই একদিকে জনকণ্ঠে কর্মরতদের বেত-ভাতাদি, লেখক সম্মানী এবং নীতি পুন:নির্ধারণ জরুরী প্রয়োজন।
সর্বাধিক যা ভাবছি তা হলো আতিকভাইকে আজও প্রয়োজন।
লেখক –রণেশ মৈত্র
সাংবাদিকতায় একুশে পদক প্রাপ্ত, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ
E-mail: raneshmaitra@gmail.com
রাণীনগরে পৃথক পৃথক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু পুত্রবধুকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেফতার একাদশ জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হলেন পাবনা-১ আসনের ক্ষমতাসীন দলের সংসদ সদস্য শামসুল হক (টুকু) পাবনা জেলার নতুন পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে যোগদান করেছেন মো: আকবর আলী মুন্সী র্যাব-১২, সিপিসি-২ পাবনা’র অভিযান, অবৈধ অস্ত্র ও ইয়াবা উদ্ধার নাটোরের বড়াইগ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে বাড়ি-ঘর ভাংচুর, ২ লক্ষ টাকা লুট শাহজাদপুরের বাঘাবাড়ী বন্দরে ট্রাক মালিক সমিতির কর্মবিরতি ঈশ্বরদীতে ন্যাপ এগ্রো কেমিক্যাল লিমিটেড নামে একটি ভুঁইফোড় কারখানায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযান ৪০ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক কারবারিকে আটক করেছে র্যাব-৭ রেশন ও ঝুঁকি ভাতা চালু না হওয়ায় চরম অসন্তোষ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীতে অনৈতিক কাজ ও অর্থলোপাটের অভিযোগে ২ নারী প্রতারক গ্রেপ্তার