ঢাকা ০৭:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সানজানার ‘আত্মহত্যা’, বাবা গ্রেফতার

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৬:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • / 118
সানজানা মোসাদ্দিকা

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


রাজধানীর দক্ষিণখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকার (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় তার বাবা শাহীন আলমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত শনিবার দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক।এ ঘটনায় রাতেই সানজানার মা বাদী হয়ে নিহতের বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহীন আলমকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনার পর আসামি ঢাকা থেকে পালিয়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আত্মগোপনে যায়। র‍্যাব ঘটনার পর থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণখানের বাসার ১২ তলার ছাদ থেকে পড়ে সানজানা আত্মহত্যা করেছেন জানতে পেরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার বাবা শাহীন ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সঙ্গে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সঙ্গে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।’

মেয়েটির বাবার গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা (রেন্ট এ কার) আছে। স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে দক্ষিণখানের ভবনটিতে পাওয়া ফ্ল্যাটেই তারা থাকতেন। কিছুদিন আগে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা প্রকাশ পেলে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপরও তিনি মাঝে মাঝে ওই বাড়িতে যেতেন।

মেয়ের লেখাপড়ার খরচও তিনি দিতেন না বলে অভিযোগ মায়ের। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

দক্ষিণখান থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেছিলেন, ওই বাড়ি থেকে ছাত্রীর মনোরোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্রও তারা উদ্ধার করেছেন। মার্চ মাসের প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক মেয়েটিকে একা না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সানজানার ‘আত্মহত্যা’, বাবা গ্রেফতার

প্রকাশিত সময় ০৬:০৬:৫৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
সানজানা মোসাদ্দিকা

স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ৬:০৬ অপরাহ্ন, আগষ্ট ৩১, ২০২২


রাজধানীর দক্ষিণখানে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সানজানা মোসাদ্দিকার (২১) আত্মহত্যার ঘটনায় প্ররোচনার মামলায় তার বাবা শাহীন আলমকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

বুধবার দুপুরে ময়মনসিংহের গফরগাঁও থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে র‍্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া সহকারী পরিচালক এএসপি আল আমিন নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত শনিবার দুপুরে দক্ষিণখান মোল্লারটেক এলাকার একটি ১০তলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়েন সানজানা মোসাদ্দেক।এ ঘটনায় রাতেই সানজানার মা বাদী হয়ে নিহতের বাবার বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা করেন। এতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা শাহীন আলমকে আসামি করা হয়।

এ ঘটনার পর আসামি ঢাকা থেকে পালিয়ে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আত্মগোপনে যায়। র‍্যাব ঘটনার পর থেকেই গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।

গত শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণখানের বাসার ১২ তলার ছাদ থেকে পড়ে সানজানা আত্মহত্যা করেছেন জানতে পেরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। আত্মহত্যার আগে মেয়েটি তার বাবা শাহীন ইসলামের বিরুদ্ধে একটি সুইসাইড নোট লিখে গেছেন। এতে তিনি লেখেন, ‘আমার মৃত্যুর জন্য আমার বাবা দায়ী। একটা ঘরে পশুর সঙ্গে থাকা যায়। কিন্তু অমানুষের সঙ্গে না। একজন অত্যাচারী রেপিস্ট যে কাজের মেয়েকেও ছাড়ে নাই। আমি তার করুণ ভাগ্যের সূচনা।’

মেয়েটির বাবার গাড়ি ভাড়ার ব্যবসা (রেন্ট এ কার) আছে। স্ত্রীর পৈত্রিক সূত্রে দক্ষিণখানের ভবনটিতে পাওয়া ফ্ল্যাটেই তারা থাকতেন। কিছুদিন আগে তার দ্বিতীয় বিয়ের কথা প্রকাশ পেলে মেয়েটির মায়ের সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপরও তিনি মাঝে মাঝে ওই বাড়িতে যেতেন।

মেয়ের লেখাপড়ার খরচও তিনি দিতেন না বলে অভিযোগ মায়ের। এ নিয়ে পরিবারে অশান্তি, ঝগড়াঝাঁটি লেগেই ছিল বলে পুলিশের ভাষ্য।

দক্ষিণখান থানার ওসি মামুনুর রহমান বলেছিলেন, ওই বাড়ি থেকে ছাত্রীর মনোরোগের চিকিৎসা সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্রও তারা উদ্ধার করেছেন। মার্চ মাসের প্রেসক্রিপশনে চিকিৎসক মেয়েটিকে একা না রাখার পরামর্শ দিয়েছিলেন।

 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ