ঢাকা ১০:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

একজন জামালের চোখে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৯:০১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯
  • / 85

নিরাপদ সড়ক গড়তে চাই এই শ্লোগান কে প্রতিপাদ্য বিষয় করে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে গতকাল সকাল এগারটায় ঈশ্বরদীর এক সিএনজি চালক মোঃ জামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।

গাড়ি চালাতে গিয়ে বিভিন্ন সময় সড়কে দূর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারানো শিশু ও নারীসহ অগনিত মানুষ মারা যাওয়ার দৃশ্য দেখে তা প্রতিরোধ করতে ২৫টি সুপারিশসহ রুপরেখা প্রণয়ন করে প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে সহষোগিতা করার মানষে স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠান নিরাপদ সড়ক গড়তে চাই এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান রূপকার হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।

ঈশ্বরদীর মো: জামাল (৫৭) গাড়ি চালান ২৭ বছর ধরে। এখন চালান সিএনজি। তবে বাস ও ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চালানোরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

দীর্ঘ এই চালকজীবনে তিনি যতবারই দুর্ঘটনা দেখেছেন, প্রতিটি ঘটনাই তাঁকে ব্যথিত করেছে। তাই দুর্ঘটনা রুখতে তিনি নিজের মতো করে উদ্যোগী হয়েছেন।

নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনুসন্ধান করে তিনি দুর্ঘটনার ২৫টি কারণ বের করেছেন।ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অভিজ্ঞতার ও দুর্ঘটনার কারণগুলো তুলে ধরেন জামাল।

এ সময় তাঁর স্ত্রী শতরুপা, একমাত্র ছেলে ওয়ালিউল ইসলাম ও প্রতিবেশী তাসমিনারা মিস্টি উপস্থিত ছিলেন। জামালের দাবী, তাঁর এই কারণগুলো রোধ করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, দেশ-বিদেশে দীর্ঘদিন গাড়ি চালানোর সময় প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা তাঁকে ব্যথিত করেছে। এ কারণে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধান করেছেন।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার মোট ২২টি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে চালকের পাশাপাশি পথচারীদের অসচেতনতাও অন্যতম।

তাঁর মতে, ২৫ বছরের কম বয়সে মোটরসাইকেল চালানো, অপ্রাপ্ত বয়সে বাস-ট্রাক-মিনিট্রাক ও অটোরিকশা চালানো, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, মেয়াদোত্তীর্ণ টায়ার-টিউব ব্যবহার, দুরপাল্লার যানবাহনে চাকজ একজন থাকা, যখন-তখন টার্নিং ও ওভারটেকিং।

রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকা, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন গাবাদিপশুর সড়ক-মহাসড়কে উঠে আসার কারণে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি মনে করেন।

এ প্রসঙ্গে জামাল আরো বলেন, জনগণকে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সচেতনতার জন্য তিনি সড়ক দূঘটনা রোধ কল্পে সচেতনতামূলক একটি বই লিখছেন যা অচিরেই প্রকাশিত হবে ।

একজন জামালের চোখে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০ থেকে ৫০ ভাগ কমিয়ে আনা সম্ভব

প্রকাশিত সময় ০৯:০১:১২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

নিরাপদ সড়ক গড়তে চাই এই শ্লোগান কে প্রতিপাদ্য বিষয় করে ঈশ্বরদী প্রেসক্লাবে গতকাল সকাল এগারটায় ঈশ্বরদীর এক সিএনজি চালক মোঃ জামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।

গাড়ি চালাতে গিয়ে বিভিন্ন সময় সড়কে দূর্ঘটনায় অকালে প্রাণ হারানো শিশু ও নারীসহ অগনিত মানুষ মারা যাওয়ার দৃশ্য দেখে তা প্রতিরোধ করতে ২৫টি সুপারিশসহ রুপরেখা প্রণয়ন করে প্রচার প্রচারনার মাধ্যমে সরকারের সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরকে সহষোগিতা করার মানষে স্বঘোষিত প্রতিষ্ঠান নিরাপদ সড়ক গড়তে চাই এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান রূপকার হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন ।

ঈশ্বরদীর মো: জামাল (৫৭) গাড়ি চালান ২৭ বছর ধরে। এখন চালান সিএনজি। তবে বাস ও ট্রাকের মতো ভারী যানবাহন চালানোরও অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর।

দীর্ঘ এই চালকজীবনে তিনি যতবারই দুর্ঘটনা দেখেছেন, প্রতিটি ঘটনাই তাঁকে ব্যথিত করেছে। তাই দুর্ঘটনা রুখতে তিনি নিজের মতো করে উদ্যোগী হয়েছেন।

নিজের অভিজ্ঞতার সঙ্গে অনুসন্ধান করে তিনি দুর্ঘটনার ২৫টি কারণ বের করেছেন।ঈশ্বরদী প্রেসক্লাব মিলনায়তনে রোববার (৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অভিজ্ঞতার ও দুর্ঘটনার কারণগুলো তুলে ধরেন জামাল।

এ সময় তাঁর স্ত্রী শতরুপা, একমাত্র ছেলে ওয়ালিউল ইসলাম ও প্রতিবেশী তাসমিনারা মিস্টি উপস্থিত ছিলেন। জামালের দাবী, তাঁর এই কারণগুলো রোধ করা গেলে সড়ক দুর্ঘটনা ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমবে।

সংবাদ সম্মেলনে জামাল বলেন, দেশ-বিদেশে দীর্ঘদিন গাড়ি চালানোর সময় প্রতিটি সড়ক দুর্ঘটনা তাঁকে ব্যথিত করেছে। এ কারণে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার মূল কারণ অনুসন্ধান করেছেন।

দীর্ঘ অনুসন্ধানে তিনি সড়ক দুর্ঘটনার মোট ২২টি কারণ চিহ্নিত করেছেন। এর মধ্যে চালকের পাশাপাশি পথচারীদের অসচেতনতাও অন্যতম।

তাঁর মতে, ২৫ বছরের কম বয়সে মোটরসাইকেল চালানো, অপ্রাপ্ত বয়সে বাস-ট্রাক-মিনিট্রাক ও অটোরিকশা চালানো, মাদক সেবন করে গাড়ি চালানো, মেয়াদোত্তীর্ণ টায়ার-টিউব ব্যবহার, দুরপাল্লার যানবাহনে চাকজ একজন থাকা, যখন-তখন টার্নিং ও ওভারটেকিং।

রেলক্রসিংয়ে গেটম্যান না থাকা, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন গাবাদিপশুর সড়ক-মহাসড়কে উঠে আসার কারণে সবচেয়ে বেশি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে বলে তিনি মনে করেন।

এ প্রসঙ্গে জামাল আরো বলেন, জনগণকে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মহলের সচেতনতার জন্য তিনি সড়ক দূঘটনা রোধ কল্পে সচেতনতামূলক একটি বই লিখছেন যা অচিরেই প্রকাশিত হবে ।