ঢাকা ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়ায় বয়স্ক ভাতা আত্মসাৎ সমাজসেবার মাঠকর্মীর

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১১:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • / 98

চলরনবিলাঞ্চল প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একজন বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলায় সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধের নাম মাজেদ মন্ডল (৭৮) সে উপজেলার বেতুয়ান গ্রামের মৃত খবির মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সাহেব আলী ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, এক বছর আগে মাজেদ মন্ডলকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলী।

ঐ গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান কৌশলে মাজেদ মন্ডলের ভাতার ব্যাংক হিসাবের বই নিজের কাছে রেখে দেন।

এ বছর মার্চ মাসে টাকা উঠানোর সময় হলে মাজেদ মতিউরের কাছে তার বই ফেরত চাইলে মতিউর বই ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে পনেরো শত টাকা দাবী করে।

অন্যথায় ভাতার র্কাড ভাতার কার্ড বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকী দেয়। বাধ্য হয়ে মাজেদ তাকে টাকা উত্তোলনের পরে পনেরো শত টাকা দিবে বলে রাজি হলে বই ফেরৎ ফেরত দেয় মতিউর।

পরে মাজেদ মন্ডলের সাথে ব্যাংকে গিয়ে ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করে পনেরশো টাকা নিয়ে নেয় মতিউর। এরপর গত জুলাই মাসে আবারো মাজেদ মন্ডলের হিসাবে পনেরশো টাকা জমা হয়।

কিন্তু মতিউর রহমান অন্য একটি বয়স্ক ভাতার হিসাবের তিন হাজার টাকা মাজেদ মন্ডলের হিসাবে জমা করেন।

পরে ২৮/০৭/১৯ইং তারিখে মাজেদ মন্ডলকে দিয়ে মোট ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করিয়ে তিন হাজার টাকা মতিউর রহমান নিয়ে নেন।

এ নিয়ে মাজেদ মন্ডল প্রতিবাদ করলে আবারও তার ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় মতিউর রহমান। পরে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

অভিযোগ প্রাপ্তির ষিয়টি স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, অভিযোগ তদন্ত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ভাঙ্গুড়ায় বয়স্ক ভাতা আত্মসাৎ সমাজসেবার মাঠকর্মীর

প্রকাশিত সময় ১১:৩০:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

চলরনবিলাঞ্চল প্রতিনিধি: পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একজন বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে উপজেলায় সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে।

ভুক্তভোগী ওই বৃদ্ধের নাম মাজেদ মন্ডল (৭৮) সে উপজেলার বেতুয়ান গ্রামের মৃত খবির মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য সাহেব আলী ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, এক বছর আগে মাজেদ মন্ডলকে একটি বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেন বেতুয়ান গ্রামের ইউপি সদস্য সাহেব আলী।

ঐ গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান কৌশলে মাজেদ মন্ডলের ভাতার ব্যাংক হিসাবের বই নিজের কাছে রেখে দেন।

এ বছর মার্চ মাসে টাকা উঠানোর সময় হলে মাজেদ মতিউরের কাছে তার বই ফেরত চাইলে মতিউর বই ফিরিয়ে দেয়ার বিনিময়ে পনেরো শত টাকা দাবী করে।

অন্যথায় ভাতার র্কাড ভাতার কার্ড বন্ধ করে দেয়া হবে বলে হুমকী দেয়। বাধ্য হয়ে মাজেদ তাকে টাকা উত্তোলনের পরে পনেরো শত টাকা দিবে বলে রাজি হলে বই ফেরৎ ফেরত দেয় মতিউর।

পরে মাজেদ মন্ডলের সাথে ব্যাংকে গিয়ে ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করে পনেরশো টাকা নিয়ে নেয় মতিউর। এরপর গত জুলাই মাসে আবারো মাজেদ মন্ডলের হিসাবে পনেরশো টাকা জমা হয়।

কিন্তু মতিউর রহমান অন্য একটি বয়স্ক ভাতার হিসাবের তিন হাজার টাকা মাজেদ মন্ডলের হিসাবে জমা করেন।

পরে ২৮/০৭/১৯ইং তারিখে মাজেদ মন্ডলকে দিয়ে মোট ৪ হাজার ৫’শ টাকা উত্তোলন করিয়ে তিন হাজার টাকা মতিউর রহমান নিয়ে নেন।

এ নিয়ে মাজেদ মন্ডল প্রতিবাদ করলে আবারও তার ভাতা বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় মতিউর রহমান। পরে গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে মাজেদ মন্ডল ও সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ইউএনওর কাছে লিখিত অভিযোগ দেন।

অভিযোগের ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। বিষয়টি আপনার কাছ থেকেই শুনলাম।

এ ব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, তার অফিসের মাঠকর্মী মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

অভিযোগ প্রাপ্তির ষিয়টি স্বীকার করে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, অভিযোগ তদন্ত করতে সমাজসেবা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হলে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।