ঢাকা ০১:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢাকনা খোলা সেফটি ট্যাংক

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৫:০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯
  • / 87

চলনবিলাঞ্চল প্রতিনিধি: গোটা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার বংশ বিস্তারের স্থান ধ্বংস ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। কিন্তু সর্ম্পণূ ভিন্ন চিত্র পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মিটিং ও সেমিনার করায় সীমাবদ্ধ কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন এবং সেপটিক ট্যাংক ঢাকনা বিহীন হয়ে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

এতে এসব স্থানে মশার লার্ভার বংশ বিস্তার হওয়ায় মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগীরা।সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ভবন ও জরূরী বিভাগের পাশেই সম্পূৃর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে ছয়টি সেফটি ট্যাঙ্ক।

ভেতরে পানিতে ভেসে রয়েছে হাসপাতালের বর্জ্য। দুর্গন্ধ ও মশামাছিতে ভরপুর গোটা এলাকা। এছাড়া নতুন ভবনের চারপাশের পলিথিন সহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেনগুলো অচল হয়ে বৃষ্টির পানি জমে আছে।

গোটা পরিবেশ মশা সৃষ্টির অনুকুলে রয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সেফটি ট্যাঙ্কগুলোতে ঢাকনা লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।

হাসপাতলে কর্মরত কর্মচারীরা এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এদিকে ভাঙ্গুড়াতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে রোগীর সন্ধান না মিললেও হাসপাতালের অভ্যন্তরে এই অবস্থা দেখে সেবা নিতে আসা মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের ভিতরে এই নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে (ভারপ্রাপ্ত) একাধিকবার জানিয়েও কোন সমাধান হয়নি।

হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার চেয়ার ধরে রাখতে অফিসে অফিসে তদবির আর শহরের একটি ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। গত দুই বছর ধরে একই অবস্থা বিরাজমান।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালে কোথাও দিনেই অবস্থান করা যায় না সবখানে মশা কামড়ায়। রাতের অবস্থাতো আরও ভয়াবহ। আমাদের আর কি করার যাদের দেখার কথা তারাই দেখে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খাতুন বলেন, সেপটিক ট্যাংকগুলোতে ঢাকনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর ড্রেনগুলোর ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে মশার উপদ্রব কমানো হবে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এছাড়া আগামীতে আরও কর্মসুচি পালন করা হবে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঢাকনা খোলা সেফটি ট্যাংক

প্রকাশিত সময় ০৫:০৮:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৫ অগাস্ট ২০১৯

চলনবিলাঞ্চল প্রতিনিধি: গোটা দেশে ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশার বংশ বিস্তারের স্থান ধ্বংস ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলছে। কিন্তু সর্ম্পণূ ভিন্ন চিত্র পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মিটিং ও সেমিনার করায় সীমাবদ্ধ কার্যক্রম। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিভিন্ন পয়ঃনিষ্কাশন ড্রেন এবং সেপটিক ট্যাংক ঢাকনা বিহীন হয়ে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে।

এতে এসব স্থানে মশার লার্ভার বংশ বিস্তার হওয়ায় মশার কামড়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালে আসা রোগীরা।সোমবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ভবন ও জরূরী বিভাগের পাশেই সম্পূৃর্ণ উন্মুক্ত অবস্থায় রয়েছে ছয়টি সেফটি ট্যাঙ্ক।

ভেতরে পানিতে ভেসে রয়েছে হাসপাতালের বর্জ্য। দুর্গন্ধ ও মশামাছিতে ভরপুর গোটা এলাকা। এছাড়া নতুন ভবনের চারপাশের পলিথিন সহ বিভিন্ন আবর্জনা ফেলার কারণে ড্রেনগুলো অচল হয়ে বৃষ্টির পানি জমে আছে।

গোটা পরিবেশ মশা সৃষ্টির অনুকুলে রয়েছে। সম্প্রতি হাসপাতালের পক্ষ থেকে সেফটি ট্যাঙ্কগুলোতে ঢাকনা লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি।

হাসপাতলে কর্মরত কর্মচারীরা এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে একাধিকবার জানালেও তিনি কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এদিকে ভাঙ্গুড়াতে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে রোগীর সন্ধান না মিললেও হাসপাতালের অভ্যন্তরে এই অবস্থা দেখে সেবা নিতে আসা মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হাসপাতালের এক কর্মচারী জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালের ভিতরে এই নোংরা পরিবেশ বিরাজ করছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে (ভারপ্রাপ্ত) একাধিকবার জানিয়েও কোন সমাধান হয়নি।

হাসপাতালের সমস্যা নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথা নেই পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার চেয়ার ধরে রাখতে অফিসে অফিসে তদবির আর শহরের একটি ক্লিনিক নিয়ে ব্যস্ত থাকেন তিনি। গত দুই বছর ধরে একই অবস্থা বিরাজমান।

হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রেজাউল করিম বলেন, হাসপাতালে কোথাও দিনেই অবস্থান করা যায় না সবখানে মশা কামড়ায়। রাতের অবস্থাতো আরও ভয়াবহ। আমাদের আর কি করার যাদের দেখার কথা তারাই দেখে না।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খাতুন বলেন, সেপটিক ট্যাংকগুলোতে ঢাকনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আর ড্রেনগুলোর ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করে মশার উপদ্রব কমানো হবে।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারন মানুষকে সচেতন করতে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে কিছু কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। এছাড়া আগামীতে আরও কর্মসুচি পালন করা হবে।