ঢাকা ০৫:৪৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন শাখার ১৫১ সদস্যের মানবেতর জীবন-যাপন, দেখার কেউ নেই

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০১:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
  • / 116
ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দরজা-জানালা-বিহীন ব্যারাকের বর্তমান চিত্র | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ন, অক্টোবর ১, ২০২২

প্রায় দশ বছর থেকে বসবাসের জন্য নতুন ব্যারাক নির্মাণ ও পুরাতন ব্যারাক মেরামত না করায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ঈশ্বরদীর তিন শাখার ১শ’ ৫১ জন সদস্য মহা-সমস্যার মধ্যে বসবাস করছেন। একইভাবে পাকশী বিভাগীয় প্রধান সিআরএনবি’র অফিসটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় নানা অসুবিধার মধ্যে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন ও দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার নতুন ব্যারাক নির্মাণ,বিভাগীয় অফিস নির্মাণ বা মেরামত ও পুরাতন ব্যারাক মেরামতের জন্য পত্র মাধ্যম আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। ফলে নিয়মের অতিরিক্ত ডিউটি করার পরও বাধ্য হয়ে সদস্যদের গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নিম্নমানের পরিত্যক্ত বাসায় বসবাস করতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে।

রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা রেল সম্পদ রক্ষা, স্টেশন ইয়ার্ড ও স্টেশন ইয়ার্ডে অবস্থান করা বিভিন্ন রকম ট্রেন ও ট্রেনের মালামাল পাহারা দেওয়া,যাত্রীদের রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রদান,মালবাহী ট্রেনের এস্কট ডিউটি করা, উচ্ছেদ ও টিকিট চেকিং অভিযানসহ নানাভাবে দায়িত্ব পালন করেন। চোর ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। অথচ এই বাহিনীর সদস্যদের ডিউটি শেষে বিশ্রাম করা বা বসবাসের জন্য কোন ব্যারাক নেই। বর্তমানে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর ঈশ্বরদী জেনারেল শাখা,অস্ত্র শাখা ও গোয়েন্দা শাখার ১’শ ১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বেশীরভাগ সময়ই তাদের অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়। একদিকে লোকবল সংকটের কারণে নানা ঝুঁকির মধ্যেও অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাকশী বিভাগ
ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র শাখার অফিসের ছাদের চিত্র | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

যদিও দেশের অন্যান্য সকল সুশৃংখল বাহিনীর ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকলেও এই বাহিনীতে ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং চালু করা হয়নি অদ্যবধি। বিমাতা সুলভ আচরনের শিকার হয়েও এই বাহিনীর সদস্যদের অমানবিকভাবে দুই/তিন শিপ্ট ডিউটি শেষে বিশ্রাম নেওয়া ও রাত্রী যাপনের তিনটি ব্যারকও অতি নিম্নমানের। ঐসব ব্যারাকের দরজা-জানালা ভাঙ্গা,গোসলখানা নেই,টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী,রান্না ঘর নেই বললেই চলে।

যা আছে তাও গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নিম্নমানের। বাধ্য হয়েই তাদের ঐসব গোয়াল ঘরেই থাকতে হয়। শুধুকি তাই, ঈশ্বরদী অস্ত্র শাখার অফিস ও পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তার (সিআরএনবির) অফিসটির অবস্থাও তথৈইবচ ! দীর্ঘদিনের পুরাতন টিনসেডে পাকশী বিভাগীয় অফিস এবং ধার করা পরিত্যক্ত বিল্ডিং এ অস্ত্র শাখার অফিসটির অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে ফাইল-পত্র নষ্ট হয়। ছাদের প্লাস্টার ভেঙ্গে আহত হতে হয় কর্মকর্তা-সদস্যদের। যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বাস্তব অবস্থা দেখে সচেতন মহলের কেউ কেউ মনে করেন বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত সাম্রাজ্য রক্ষার দাযিত্ব পালন করলেও মূলত তাদেরকে চরমভাবে অবহেলা করা হচ্ছে।
 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর তিন শাখার ১৫১ সদস্যের মানবেতর জীবন-যাপন, দেখার কেউ নেই

প্রকাশিত সময় ০১:০৭:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অক্টোবর ২০২২
ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর দরজা-জানালা-বিহীন ব্যারাকের বর্তমান চিত্র | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ১:০৭ পূর্বাহ্ন, অক্টোবর ১, ২০২২

প্রায় দশ বছর থেকে বসবাসের জন্য নতুন ব্যারাক নির্মাণ ও পুরাতন ব্যারাক মেরামত না করায় রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী ঈশ্বরদীর তিন শাখার ১শ’ ৫১ জন সদস্য মহা-সমস্যার মধ্যে বসবাস করছেন। একইভাবে পাকশী বিভাগীয় প্রধান সিআরএনবি’র অফিসটি মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ না করায় নানা অসুবিধার মধ্যে কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব পালন ও দাপ্তরিক কাজ করতে হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বার বার নতুন ব্যারাক নির্মাণ,বিভাগীয় অফিস নির্মাণ বা মেরামত ও পুরাতন ব্যারাক মেরামতের জন্য পত্র মাধ্যম আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। ফলে নিয়মের অতিরিক্ত ডিউটি করার পরও বাধ্য হয়ে সদস্যদের গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নিম্নমানের পরিত্যক্ত বাসায় বসবাস করতে হচ্ছে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে।

রেলওয়ের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রে জানাগেছে, রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনী রেলওয়ের নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর সদস্যরা রেল সম্পদ রক্ষা, স্টেশন ইয়ার্ড ও স্টেশন ইয়ার্ডে অবস্থান করা বিভিন্ন রকম ট্রেন ও ট্রেনের মালামাল পাহারা দেওয়া,যাত্রীদের রেলওয়ে নিরাপত্তা প্রদান,মালবাহী ট্রেনের এস্কট ডিউটি করা, উচ্ছেদ ও টিকিট চেকিং অভিযানসহ নানাভাবে দায়িত্ব পালন করেন। চোর ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার পূর্বক আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ নানা ঝুঁকিপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকে। অথচ এই বাহিনীর সদস্যদের ডিউটি শেষে বিশ্রাম করা বা বসবাসের জন্য কোন ব্যারাক নেই। বর্তমানে রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর ঈশ্বরদী জেনারেল শাখা,অস্ত্র শাখা ও গোয়েন্দা শাখার ১’শ ১ জন সদস্য দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বেশীরভাগ সময়ই তাদের অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়। একদিকে লোকবল সংকটের কারণে নানা ঝুঁকির মধ্যেও অতিরিক্ত দুই/তিন শিপ্ট করে ডিউটি করতে হয়।

বাংলাদেশ রেলওয়ে, পাকশী বিভাগ
ঈশ্বরদী রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর অস্ত্র শাখার অফিসের ছাদের চিত্র | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

যদিও দেশের অন্যান্য সকল সুশৃংখল বাহিনীর ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং ব্যবস্থা চালু থাকলেও এই বাহিনীতে ঝুঁকিভাতা ও রেশনিং চালু করা হয়নি অদ্যবধি। বিমাতা সুলভ আচরনের শিকার হয়েও এই বাহিনীর সদস্যদের অমানবিকভাবে দুই/তিন শিপ্ট ডিউটি শেষে বিশ্রাম নেওয়া ও রাত্রী যাপনের তিনটি ব্যারকও অতি নিম্নমানের। ঐসব ব্যারাকের দরজা-জানালা ভাঙ্গা,গোসলখানা নেই,টয়লেট ব্যবহার অনুপযোগী,রান্না ঘর নেই বললেই চলে।

যা আছে তাও গরু ছাগলের গোয়াল ঘরের চেয়েও নিম্নমানের। বাধ্য হয়েই তাদের ঐসব গোয়াল ঘরেই থাকতে হয়। শুধুকি তাই, ঈশ্বরদী অস্ত্র শাখার অফিস ও পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তার (সিআরএনবির) অফিসটির অবস্থাও তথৈইবচ ! দীর্ঘদিনের পুরাতন টিনসেডে পাকশী বিভাগীয় অফিস এবং ধার করা পরিত্যক্ত বিল্ডিং এ অস্ত্র শাখার অফিসটির অবস্থা খুবই নাজুক। সামান্য বৃষ্টিতে পানি পড়ে ফাইল-পত্র নষ্ট হয়। ছাদের প্লাস্টার ভেঙ্গে আহত হতে হয় কর্মকর্তা-সদস্যদের। যে কোন সময় বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু থাকবে না। রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর বাস্তব অবস্থা দেখে সচেতন মহলের কেউ কেউ মনে করেন বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক হয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত সাম্রাজ্য রক্ষার দাযিত্ব পালন করলেও মূলত তাদেরকে চরমভাবে অবহেলা করা হচ্ছে।
 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ