ঢাকা ০১:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

সাঁথিয়ার গ্যারকার বিলে কচুরীপানায় সয়লাব হাজার হাজার একর জমির আমন ধান নষ্টের আশঙ্কা

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ০৪:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
  • / 72
কচুরিপানার দাপটে গ্যারকার বিলে হাজার হাজার একর জমির আমন ধান নষ্টের আশঙ্কা | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, অক্টোবর ১৪, ২০২২

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্যারকার বিলে জালের মত বিছানো কচুরীপানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে সয়লাব। ১৩টি মৌজার হাজার হাজর একর জমির আমন ধান বিনষ্টের আশঙ্কায় ভুগছে কৃৃষকরা। ফসল রক্ষায় কচুরী পানা অপসরনের দাবী। জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাটি, মাধপুর, তৈলকপি, রঘুনাথপুর, আড়িয়াডাঙ্গী, কাজিপুর, ইসলামপুর, চকবায়সা, কুমিরগাড়ী, বামনডাঙ্গা, পদ্মবিলাসহ ১৩টি মৌজার জমি নিয়ে এ গ্যারকার বিল।

এ বিলে হাজার হাজার একর জমিতে আমন ধানের চাষ করছেন বিলপাড়ের প্রায় ১৯/২০ গ্রামের কৃষকরা। আমন ধানই তাদের বছরের পরিবার পরিজনের খাদ্যের একমাত্র সম্বল। চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্যারকা, গোবরাগারা, ডিপেরগাড়া, মোল্লাগাড়া, বিপচাসিং, দুবলাগাড়া, বিলবাইসাসহ পাশের অন্যান্য বিলেও কচুরী পানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে ভরপুরে একাকার।

কচুরীপানা আমন ধানের উপরে উঠে ধান গাছ ঢেকে নষ্ট করছে। চরপাড়া গ্রামের কৃষক কোরবান আলী, আলতাব আলী, মোসলেম বিশ্বাস, গাঙ্গহাটি গ্রামের আঃ সালাম, আঃ কাদের, আবুল কাশেম, বামনডাঙ্গা গ্রামের আঃ গফুর, ইসলামপুর গ্রামের ফজলু মিয়া, নায়েব আলী, মাধপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বাচ্চু খান, আঃ মজিদ, শমসের আলী, তৈলকপি গামের আজম আলী, দুলাল, তারা খন্দকারসহ ১৯/২০ গ্রামের শত শত কৃষক বলেন, প্রতি বছর আমন ধানের চাষ করলেও কচুরীর কারনে গত ৬/৭ বছর ধান ঘড়ে উঠাতে পারি না।

তারা আরো বলেন, কচুরীপানার কারনে জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকে। সময় মত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা হয়। কার্তিক অগ্রাায়ন মাসে বিলের অন্তর্ভক্ত জমিতে পেয়াজ, রসুন, খেসারী, কলাই, জব, গম, ছোলাসহ বিভিন্ন রবি ফসল সময়মত ফলাতে পারি না।

একৃষকরা জানান, বিলের সিংহভাগই ইরিগ্রেশন স্কীম। কৃষকদের জমি থেকে কচুরীপানা অপসরন করতে অনেক অর্থ ও শ্রমের প্রয়োজন, যা তারা ব্যয় করতে পারছে না। যে কারনে কচুরীপানায় প্রতি বছরের মত এবছরেও খেয়ে ফেলবে তাদের কষ্টার্জিত ফসল। ভুক্তভোগী কৃষকরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ওই বিলের কচুরীপানা অপসরনের জোড়দাবী জানান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জিব গোস্বামী বলেন, কৃষি বিভাগের আর্থিক কোন ব্যবস্থা নাই, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ঔষধের পরামর্শ দিব। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা নিবে।
 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ


সাঁথিয়ার গ্যারকার বিলে কচুরীপানায় সয়লাব হাজার হাজার একর জমির আমন ধান নষ্টের আশঙ্কা

প্রকাশিত সময় ০৪:৩৮:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ অক্টোবর ২০২২
কচুরিপানার দাপটে গ্যারকার বিলে হাজার হাজার একর জমির আমন ধান নষ্টের আশঙ্কা | ছবি: স্বতঃকণ্ঠ

সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ৪:৩৮ পূর্বাহ্ন, অক্টোবর ১৪, ২০২২

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার গ্যারকার বিলে জালের মত বিছানো কচুরীপানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে সয়লাব। ১৩টি মৌজার হাজার হাজর একর জমির আমন ধান বিনষ্টের আশঙ্কায় ভুগছে কৃৃষকরা। ফসল রক্ষায় কচুরী পানা অপসরনের দাবী। জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার গাঙ্গহাটি, মাধপুর, তৈলকপি, রঘুনাথপুর, আড়িয়াডাঙ্গী, কাজিপুর, ইসলামপুর, চকবায়সা, কুমিরগাড়ী, বামনডাঙ্গা, পদ্মবিলাসহ ১৩টি মৌজার জমি নিয়ে এ গ্যারকার বিল।

এ বিলে হাজার হাজার একর জমিতে আমন ধানের চাষ করছেন বিলপাড়ের প্রায় ১৯/২০ গ্রামের কৃষকরা। আমন ধানই তাদের বছরের পরিবার পরিজনের খাদ্যের একমাত্র সম্বল। চলতি বর্ষা মৌসুমে গ্যারকা, গোবরাগারা, ডিপেরগাড়া, মোল্লাগাড়া, বিপচাসিং, দুবলাগাড়া, বিলবাইসাসহ পাশের অন্যান্য বিলেও কচুরী পানা, দল ও আড়াইল জাতীয় ঘাসে ভরপুরে একাকার।

কচুরীপানা আমন ধানের উপরে উঠে ধান গাছ ঢেকে নষ্ট করছে। চরপাড়া গ্রামের কৃষক কোরবান আলী, আলতাব আলী, মোসলেম বিশ্বাস, গাঙ্গহাটি গ্রামের আঃ সালাম, আঃ কাদের, আবুল কাশেম, বামনডাঙ্গা গ্রামের আঃ গফুর, ইসলামপুর গ্রামের ফজলু মিয়া, নায়েব আলী, মাধপুর গ্রামের ইউপি সদস্য বাচ্চু খান, আঃ মজিদ, শমসের আলী, তৈলকপি গামের আজম আলী, দুলাল, তারা খন্দকারসহ ১৯/২০ গ্রামের শত শত কৃষক বলেন, প্রতি বছর আমন ধানের চাষ করলেও কচুরীর কারনে গত ৬/৭ বছর ধান ঘড়ে উঠাতে পারি না।

তারা আরো বলেন, কচুরীপানার কারনে জমিতে বর্ষার পানি জমে থাকে। সময় মত পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় জলাবদ্ধতা হয়। কার্তিক অগ্রাায়ন মাসে বিলের অন্তর্ভক্ত জমিতে পেয়াজ, রসুন, খেসারী, কলাই, জব, গম, ছোলাসহ বিভিন্ন রবি ফসল সময়মত ফলাতে পারি না।

একৃষকরা জানান, বিলের সিংহভাগই ইরিগ্রেশন স্কীম। কৃষকদের জমি থেকে কচুরীপানা অপসরন করতে অনেক অর্থ ও শ্রমের প্রয়োজন, যা তারা ব্যয় করতে পারছে না। যে কারনে কচুরীপানায় প্রতি বছরের মত এবছরেও খেয়ে ফেলবে তাদের কষ্টার্জিত ফসল। ভুক্তভোগী কৃষকরা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে ওই বিলের কচুরীপানা অপসরনের জোড়দাবী জানান। এ বিষয়ে সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিসার সঞ্জিব গোস্বামী বলেন, কৃষি বিভাগের আর্থিক কোন ব্যবস্থা নাই, তবে আমরা প্রয়োজনীয় ঔষধের পরামর্শ দিব। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ব্যবস্থা নিবে।
 


 আরও পড়ুনঃ

 আরও পড়ুনঃ