ঢাকা ০৮:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

বিরামপুরে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত সময় ০৩:১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২
  • / 213

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

পতিত জমিতে মৌসুমী ড্রাগন চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার আয়ড়া মোড়ের এএইচএম কামরুজ্জামান। কম খরচে লাভ বেশী হওয়ায় এই প্রথমবারের মত উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ১৫ বিঘা পতিত জমিতে ২ হাজার ৪শ গাছ রোপন করে বানিজ্যিকভাবে স্বাস্থ্য সন্মত মৌসুমী ড্রগন ফলের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে সে প্রতিবছরে ৭ লক্ষ টাকা আয় করছে। ৫ বছরে ড্রগন ফল বিক্রি করে ৩৪ লক্ষ টাকা আয় করেন।

উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আয়ড়া মোড়ের দক্ষিণ পাশের করমজি গ্রামে অধ্যাবদি ১৫০ বিঘা পতিত জমিতে নিজের উদ্যোগে নানা জাতের ফলের বাগান করেছেন এএইচএম কামরুজ্জামান। এর মধ্যে ড্রাগন ফলের গাছ রোপনের এক বছর থেকেই ফল পেতে শুরু করেছেন। দু’বছর পর মৌসুমের শুরুতেই প্রথম বারের মত বাগান থেকে ড্রাগন ফল তুলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রথম চালানে প্রায় ১ লক্ষ্য টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। চারা রোপনের এক বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তেমন কোন ক্ষতির আশংখা নেই। পরিচর্যা ছাড়া তেমন কোন খরচও করতে হয়না। অল্প খরচে লাভ বেশী হওয়ায় এই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার জানান, ড্রাগন ফল অত্যন্ত সু-স্বাদু ও স্বাস্থ্য সম্মত ড্রাগন ফলটি দেশের ফলের খাদ্য তালিতায় অন্তর্ভুক্ত হবে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, ড্রাগন ফল দুই জাতের হয়ে থাকে। এই ফল খুবই মিষ্টি ও সু-সাদু। দেশের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বাহিরে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ড্রাগন ফলের ফুল রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে ফুল ফোটে। ফুল আসার ২১দিনের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। 

ইজিএগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, তার ১৫০ বিঘা পতিত জমিতে ড্রাগন ফল ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে নারিকেল, আম, কাঠাল ও কলাসহ নানা জাতের ফলের চাষ বাণিজ্যি ভাবে হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন ড্রাগনফলে জুন-জুলাই মাসের দিক থেকে ফুল আসা শুরু। ফুল আসার ২১ দিনের মধ্যে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। 

বাগানের ম্যানেজার তৌহিদুর রহমান জানান, ড্রাগন ফল জনপ্রিয়ভাবে চাষ হচ্ছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত ভালো। ইজি এগ্রোফার্মের স্বত্তাধিকারী এএইচএম কামরুজ্জামান তিনি প্রতিবছর চায়নাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ড্রাগন,কলা, নারিকেল, কাঁঠাল এসব চারা নিয়ে এসে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন।

বিরামপুরে বানিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে ড্রাগন ফল

প্রকাশিত সময় ০৩:১২:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর ২০২২

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ

পতিত জমিতে মৌসুমী ড্রাগন চাষ করে লাভের মুখ দেখেছেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকার আয়ড়া মোড়ের এএইচএম কামরুজ্জামান। কম খরচে লাভ বেশী হওয়ায় এই প্রথমবারের মত উপজেলা কৃষি অফিসের সহযোগিতায় ১৫ বিঘা পতিত জমিতে ২ হাজার ৪শ গাছ রোপন করে বানিজ্যিকভাবে স্বাস্থ্য সন্মত মৌসুমী ড্রগন ফলের চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এতে করে সে প্রতিবছরে ৭ লক্ষ টাকা আয় করছে। ৫ বছরে ড্রগন ফল বিক্রি করে ৩৪ লক্ষ টাকা আয় করেন।

উপজেলার বিনাইল ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী আয়ড়া মোড়ের দক্ষিণ পাশের করমজি গ্রামে অধ্যাবদি ১৫০ বিঘা পতিত জমিতে নিজের উদ্যোগে নানা জাতের ফলের বাগান করেছেন এএইচএম কামরুজ্জামান। এর মধ্যে ড্রাগন ফলের গাছ রোপনের এক বছর থেকেই ফল পেতে শুরু করেছেন। দু’বছর পর মৌসুমের শুরুতেই প্রথম বারের মত বাগান থেকে ড্রাগন ফল তুলে স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে ঢাকা, চিটাগাং সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রথম চালানে প্রায় ১ লক্ষ্য টাকার ড্রাগন ফল বিক্রি করেছেন। চারা রোপনের এক বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগের তেমন কোন ক্ষতির আশংখা নেই। পরিচর্যা ছাড়া তেমন কোন খরচও করতে হয়না। অল্প খরচে লাভ বেশী হওয়ায় এই ড্রাগন ফল চাষে আগ্রহ বেড়েছে অনেকের।

বিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিমল কুমার সরকার জানান, ড্রাগন ফল অত্যন্ত সু-স্বাদু ও স্বাস্থ্য সম্মত ড্রাগন ফলটি দেশের ফলের খাদ্য তালিতায় অন্তর্ভুক্ত হবে ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, ড্রাগন ফল দুই জাতের হয়ে থাকে। এই ফল খুবই মিষ্টি ও সু-সাদু। দেশের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বাহিরে পাঠানোর সম্ভাবনা রয়েছে। ড্রাগন ফলের ফুল রাত ৯টা থেকে ১২টার মধ্যে ফুল ফোটে। ফুল আসার ২১দিনের মধ্যে ফল পাওয়া যায়। 

ইজিএগ্রো ফার্মের স্বত্তাধিকারী এএইচএম কামরুজ্জামান জানান, তার ১৫০ বিঘা পতিত জমিতে ড্রাগন ফল ছাড়াও বিভিন্ন মৌসুমে নারিকেল, আম, কাঠাল ও কলাসহ নানা জাতের ফলের চাষ বাণিজ্যি ভাবে হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন ড্রাগনফলে জুন-জুলাই মাসের দিক থেকে ফুল আসা শুরু। ফুল আসার ২১ দিনের মধ্যে ড্রাগন ফল পাওয়া যায়। 

বাগানের ম্যানেজার তৌহিদুর রহমান জানান, ড্রাগন ফল জনপ্রিয়ভাবে চাষ হচ্ছে। এখানকার মাটি ও আবহাওয়া অত্যন্ত ভালো। ইজি এগ্রোফার্মের স্বত্তাধিকারী এএইচএম কামরুজ্জামান তিনি প্রতিবছর চায়নাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ড্রাগন,কলা, নারিকেল, কাঁঠাল এসব চারা নিয়ে এসে বানিজ্যিক ভাবে চাষ করছেন।