ঢাকা ০২:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞপ্তি :
সারাদেশের জেলা উপোজেলা পর্যায়ে দৈনিক স্বতঃকণ্ঠে সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে । আগ্রহী প্রার্থীগন জীবন বৃত্তান্ত ইমেইল করুন shatakantha.info@gmail.com // দৈনিক স্বতঃকণ্ঠ অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন ০১৭১১-৩৩৩৮১১, ০১৭৪৪-১২৪৮১৪

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতেই জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা: মিজানুর রহমান মিজু

বার্তাকক্ষ
  • প্রকাশিত সময় ১২:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২
  • / 113

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশ থেকে চিরতরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু।

আজ ৩ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মেহেরা প্লাজায় জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ৩রা নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর ও কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটিকে পরাজিত শক্তিরা তাদের কবজায় নেওয়ার জন্য ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ১৯৭৫ সালে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৫ আগস্ট ভোরে। এর আড়াই মাস পর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

তিনি বলেন, ৭৫’র সেই পেতাত্মারা এখনো সক্রিয়। ইতিমধ্যে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে তৎপর হয়েছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রত্যেকটি স্বাধীনতা প্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কোন ভাবেই তাদেরকে আরেকটি ১৫ই আগষ্ট বা ৩রা নভেম্বর ঘটানোর সুযোগ দেয়া যাবে না। স্বাধীনতা বিরোধী সকল শক্তিকে দেশ থেকে সমূলে নির্মূল করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সিরাজ) এর সভাপতি আব্দুল জলিল,  কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ. আর. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আক্কাস আলী খান, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাত দিপু মীর, নারীনেত্রী রোকসানা আমিন সুরমা, এলিজা রহমান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সি এম মানিক, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তরের সভাপতি মঈনুল হোসেন মিলন জোয়ার্দার সহ পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় চার নেতার রুহে মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতেই জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা: মিজানুর রহমান মিজু

প্রকাশিত সময় ১২:৫৯:৩২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৪ নভেম্বর ২০২২

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার পর দেশ থেকে চিরতরে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মুছে ফেলতে জাতীয় চার নেতাকে জেলে হত্যা করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান জননেতা মিজানুর রহমান মিজু।

আজ ৩ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর মেহেরা প্লাজায় জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির উদ্যোগে জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মিজানুর রহমান মিজু বলেন, ৩রা নভেম্বর স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি বেদনাবিধুর ও কলঙ্কময় দিন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় এই দিনটি। বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটিকে পরাজিত শক্তিরা তাদের কবজায় নেওয়ার জন্য ইতিহাসের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল ১৯৭৫ সালে। স্বাধীনতা প্রাপ্তির সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় ১৫ আগস্ট ভোরে। এর আড়াই মাস পর ১৯৭৫ সালের ৩রা নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে চার জাতীয় নেতা বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, মন্ত্রিসভার সদস্য ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং এএইচএম কামারুজ্জামানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। কারারুদ্ধ থাকা অবস্থায় বর্বরোচিত এ ধরনের হত্যাকাণ্ড পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল।

তিনি বলেন, ৭৫’র সেই পেতাত্মারা এখনো সক্রিয়। ইতিমধ্যে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে তৎপর হয়েছে। তাদেরকে প্রতিহত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের প্রত্যেকটি স্বাধীনতা প্রিয় মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কোন ভাবেই তাদেরকে আরেকটি ১৫ই আগষ্ট বা ৩রা নভেম্বর ঘটানোর সুযোগ দেয়া যাবে না। স্বাধীনতা বিরোধী সকল শক্তিকে দেশ থেকে সমূলে নির্মূল করতে হবে।

আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (শাহজাহান সিরাজ) এর সভাপতি আব্দুল জলিল,  কাজী আরেফ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কাজী মাসুদ আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলনের চেয়ারম্যান এ. আর. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মুফতি মাসুম বিল্লাহ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ওবায়দুল হক, তৃণমূল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মোঃ আক্কাস আলী খান, জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান আবু আহাত দিপু মীর, নারীনেত্রী রোকসানা আমিন সুরমা, এলিজা রহমান, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির যুগ্ম সম্পাদক সি এম মানিক, ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ঢাকা উত্তরের সভাপতি মঈনুল হোসেন মিলন জোয়ার্দার সহ পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় চার নেতার রুহে মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।