চাটমোহরে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত
- প্রকাশিত সময় ০৩:২৬:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ নভেম্বর ২০২২
- / 105
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধিঃ
‘বঙ্গবন্ধু’র দর্শনসমবায়ে উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্য-কে সামনে নিয়ে সারাদেশের মত পাবনার চাটমোহর উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে (৫ নভেম্বর) শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে ৫১ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে চাটমোহর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সকালে বাদ্যযন্ত্র সহযোগে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে অবস্থিত পতাকা স্ট্যান্ডে মিলিত হয়, সেখানে সমবেত জাতীয় সংগীত পরিবেশনের সাথে জাতীয় পতাকা ও সমবায়ী পতাকা উত্তোলন করা হয়। শেষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা।
চাটমোহর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন-১ এ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহলের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. আব্দুল হালিম-এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত সমবাসীদের উদ্দেশ্যে স্বাগতিক বক্তব্য দেন পাবনা জেলা সমবায় অধিদপ্তর পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন।
আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ. এ. মাসুম বিল্লাহ্, দৈনিক আমাদের বড়াল পত্রিকা সম্পাদক হেলালুর রহমান জুয়েল। সমবায়ীদের মাঝ থেকে বক্তব্য দেন- চাটমোহর পৌর ভোগ্যপণ্য সমবায় সমিতি লি: এর সেক্রেটারি সাংবাদিক কে. এম. বেলাল হোসেন স্বপন, মথুরাপুর খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ লি: এর সভাপতি মি. আভাস গমেজ, বিলকুড়ালিয়া পানি ব্যবস্থাপনা উন্নয়ন সমবায় সমিতি লি: এর সেক্রেটারি মো. শহিদুল ইসলাম প্রমূখ।
আলোচনা সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা. মমতাজ মহল সমবায়ীদের বলেন, “বঙ্গবন্ধু’র সুখী সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়তে সমবায়ের গুরুত্ব অপরিসীম। নিজের অধিকার সম্পর্কে আপনাদের আরও সচেতন হতে হবে এবং অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ সৃষ্টি করতে হবে। সরকার থেকে ঋণের বিপরীতে ওয়ান ডিজিট সূদ নির্ধারণ করে দেয়ার পরেও বহু এনজিও/সমিতি ফ্রি ডিজিটে চড়া সূদে অর্থ লগ্নি করছে। যা রীতিমত অমানবিক ও আইন বিরোধী। আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে ঋণের খপ্পরে পড়ে কাউকে যেন আত্মহত্যা করতে না হয়।”
ইউএনও মমতাজ মহল আরও বলেন, “আপামোর জনতাকে নিয়ে দেশের উন্নয়ন ঘটাতে হবে। নিম্ন আয়ের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সমবায় সমিতি গঠন করা হয়ে থাকে। আমাদের টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে হবে। সর্বপরি নারীর ক্ষমতায়নে সমবায় সমিতি গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়তে শোষণনীতি পরিহার করা প্রয়োজন।”
আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ বলেন, “সমবায় নীতিমালা অনুযায়ী সুফলভোগীরা প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক সমবায় সমিতিতে চড়া সুদে ঋণ ব্যবসা চলছে। সমবায় অফিসে চলমান ঘুষ কালচার বন্ধ করতে হবে। অফিশিয়াল তদারকি বাড়াতে হবে। সমিতি গুলোয় বার্ষিক অডিট শর্তাবলি শিথিল করে সমবায় আন্দোলনকে বেগবান করা প্রয়োজন।”
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে সমবায় সমিতির সভাপতি/সেক্রেটারিগণ সহ সমবায়ীগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়া কর্মীগণ জাতীয় সমবায় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন।